নিজস্ব প্রতিবেদক :ঢাকা মহানগর গোয়েন্দারা আট ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন; যারা ওয়্যারলেস, হ্যান্ডকাফের মতো পুলিশি সরঞ্জাম ব্যবহার করে ডাকাতি করত। গত রোববার ধারাবাহিক অভিযানে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তারের ভাষ্য, “ডাকাতদের এ চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা ও সামরিক বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত বেশকিছু সদস্যের সম্পৃক্ততা আছে।”
গ্রেপ্তাররা হলেন- মোজাম্মেল হোসেন আপেল, জাহাঙ্গীর আলম, জমির খান, মজিবর রহমান মজিদ, মাসুম গাজী, শফিকুল খরাদী, কুদ্দুস আলী ও কাউছার মিয়া। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিলভার রঙয়ের হায়েস মাইক্রোবাস, একটি বাটযুক্ত ব্যারেল কাটা দোনলা বন্দুক, একটি ওয়্যারলেস সেট, একটি হ্যান্ডকাফ, দুটি ডিবি লেখা নকল জ্যাকেট, দুটি লোহার চাপাতি ও দুটি লোহার ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মোহাম্মদপুরের বসিলা তিন রাস্তার মোড় নূর বিরিয়ানি দোকানের সামনে একটি ডাকাত দলের সদস্যরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাত পৌনে ৮টার দিকে সেই জায়গায় গিয়ে মাইক্রোবাসটির সামনে ডিবি লেখা স্টিকার লাগানো এবং ড্রাইভারের পাশের সিটে বসা ব্যক্তির হাতে ওয়্যারলেস সেট দেখতে পায়।
“পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য গোয়েন্দা পুলিশের দলটি সামনে গেলে মাইক্রোবাসটির সামনে থাকা প্রাইভেটকারটি দ্রুত গতিতে গাবতলীর দিকে চলে যায়। অবস্থা বিবেচনায় মাইক্রোবাসটিকে পুলিশ ঘিরে ফেলে।” পরে সেখানে থাকা ডাকাতদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে গত রোববার মোহাম্মদপুর থানায় ডাকাতির মামলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওয়্যারলেস, হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নকল পুলিশের ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৮
জনপ্রিয় সংবাদ