ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

ওয়াশিংটনে বিমান দুর্ঘটনায় নদী থেকে ১৯ দেহ’ উদ্ধার

  • আপডেট সময় : ০৮:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মাঝ আকাশে মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওয়াশিংটন ডিসির পটোম্যাক নদীতে আছড়ে পড়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৬৪ জনকে বহন করছিল। উদ্ধারকর্মীরা নদী থেকে ১৯টি ‘দেহ’ উদ্ধার করেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিলেও কর্তৃপক্ষ হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। জমাট ঠাণ্ডা পানিতে আরোহীদের খোঁজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধার ও অনুসন্ধানকারী দলগুলো।

এদিকে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। নিকটস্থ রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সব ফ্লাইটের উড্ডয়ন বন্ধ রাখা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৪৩২ ফ্লাইটটি রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার পথে মাঝ আকাশেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

নামে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের হলেও, ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিল পিএসএ এয়ারলাইন্স। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীবাহী এ বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে৭০০ বিমানটি ৬০ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কানসাসের উইচিটো থেকে রওনা হয়েছিল। বিমানটি যে হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেটি ছিল সিকোর্স্কি এইচ-৬০, এটি উড়েছিল ভার্জিনিয়ার ফোর্ট বেলভয়ার থেকে। হেলিকপ্টারটিতে তিন মার্কিন সেনা ছিল বলে জানিয়েছে সিবিএস।
এফএএ বলেছে, তারা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেইফটি বোর্ডকে (এনটিএসবি) সঙ্গে নিয়ে এ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সিবিএসের প্রতিবেদনে পটোম্যাক নদী থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি দেহ উদ্ধার করার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের শুরুর দিকের খবরে যাত্রীবাহী বিমানটিকে নদীতে দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় এবং হেলিকপ্টারটি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে যাওয়া জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় যাত্রীবাহী বিমানটিকে দুর্ঘটনায় দেখেন আরি শুলমান। এনবিসি ওয়াশিংটনকে তিনি বলেন, প্রথমদিকে বিমানটির গতিবিধি স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল, হঠাৎ বিমানটি ডানদিকে অনেকখানি কাত হয়ে যায়। “বিমানটির নিচে আগুনের স্ফুলিঙ্গের স্রোত দেখা যাচ্ছিল, এর পেটটা আলোকিত হয়ে উঠেছিল,” বলেন শুলমান। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জিমি মাজেও এয়ারপোর্টের কাছে একটি পার্কে বান্ধবীর সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন, তখনই মাঝ আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ দেখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া জরুরি পরিষেবা ও এর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ঘটনা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফিও।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ভিডিওতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রবার্ট ইসমকে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওয়াশিংটনে বিমান দুর্ঘটনায় নদী থেকে ১৯ দেহ’ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:১৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : মাঝ আকাশে মার্কিন সেনা হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর ওয়াশিংটন ডিসির পটোম্যাক নদীতে আছড়ে পড়া আমেরিকান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটি যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ৬৪ জনকে বহন করছিল। উদ্ধারকর্মীরা নদী থেকে ১৯টি ‘দেহ’ উদ্ধার করেছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খবর দিলেও কর্তৃপক্ষ হতাহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। জমাট ঠাণ্ডা পানিতে আরোহীদের খোঁজে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধার ও অনুসন্ধানকারী দলগুলো।

এদিকে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। নিকটস্থ রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে সব ফ্লাইটের উড্ডয়ন বন্ধ রাখা হয়েছে, জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বলছে, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ৫৪৩২ ফ্লাইটটি রোনাল্ড রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নামার পথে মাঝ আকাশেই যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।

নামে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের হলেও, ফ্লাইটটি পরিচালনা করছিল পিএসএ এয়ারলাইন্স। আমেরিকান এয়ারলাইন্সের তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীবাহী এ বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে৭০০ বিমানটি ৬০ যাত্রী ও ৪ ক্রু নিয়ে কানসাসের উইচিটো থেকে রওনা হয়েছিল। বিমানটি যে হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেটি ছিল সিকোর্স্কি এইচ-৬০, এটি উড়েছিল ভার্জিনিয়ার ফোর্ট বেলভয়ার থেকে। হেলিকপ্টারটিতে তিন মার্কিন সেনা ছিল বলে জানিয়েছে সিবিএস।
এফএএ বলেছে, তারা ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেইফটি বোর্ডকে (এনটিএসবি) সঙ্গে নিয়ে এ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে নেমেছে। সিবিএসের প্রতিবেদনে পটোম্যাক নদী থেকে এখন পর্যন্ত ১৮টি দেহ উদ্ধার করার কথা বলা হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের শুরুর দিকের খবরে যাত্রীবাহী বিমানটিকে নদীতে দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় এবং হেলিকপ্টারটি উল্টে পড়ে থাকতে দেখা যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বিমানবন্দরের পাশ দিয়ে যাওয়া জর্জ ওয়াশিংটন পার্কওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় যাত্রীবাহী বিমানটিকে দুর্ঘটনায় দেখেন আরি শুলমান। এনবিসি ওয়াশিংটনকে তিনি বলেন, প্রথমদিকে বিমানটির গতিবিধি স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল, হঠাৎ বিমানটি ডানদিকে অনেকখানি কাত হয়ে যায়। “বিমানটির নিচে আগুনের স্ফুলিঙ্গের স্রোত দেখা যাচ্ছিল, এর পেটটা আলোকিত হয়ে উঠেছিল,” বলেন শুলমান। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জিমি মাজেও এয়ারপোর্টের কাছে একটি পার্কে বান্ধবীর সঙ্গে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন, তখনই মাঝ আকাশে বিমান ও হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ দেখেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তিনি পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া জরুরি পরিষেবা ও এর সদস্যদের ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স ঘটনা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য প্রার্থনা করতে অনুরোধ করেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ও পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফিও।

আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ভিডিওতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী রবার্ট ইসমকে ‘গভীর দুঃখ’ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।