প্রযুক্তি ডেস্ক : ওয়ালটন মোবাইলের আয়োজনে দেশব্যাপী চলছে ভিন্নধর্মী ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) প্রোমোটার ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’র সৌজন্যে পরিচালিত এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিক। সৃজনশীল ফটোগ্রাফির এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য রয়েছে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার।
জানা গেছে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এসডিজি অর্জনের বাস্তব বিষয়বস্তু নিয়েই ওয়ালটন মোবাইলের এই আয়োজন। প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য এসডিজি বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষকে সচেতন করা এবং মানুষের মধ্যে ফটোগ্রাফিক সৃজনশীলতার বিকাশ। এতে প্রথম বিজয়ী পাবেন ১ লাখ টাকা পুরস্কার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিজয়ীর জন্য পুরস্কার হিসেবে রয়েছে যথাক্রমে ৫০ হাজার এবং ২৫ হাজার টাকা।
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আদনান আফজাল জানান, দুই রাউন্ডের এই ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড শুরু হয়েছে ২৩ নভেম্বর ২০২১ থেকে। যা চলবে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই রাউন্ডে অংশগ্রহণকারীরা তাদের ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট প্রেরণ করবেন। আর দ্বিতীয় রাউন্ডে নির্বাচিত ৫০টি ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট ওয়ালটন মোবাইল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে পাবলিক ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বিজয়ী নির্বাচনে প্রতিটি লাইক পাবে ১ মার্ক এবং প্রতিটি শেয়ারের জন্য থাকবে আরও ১ নম্বর। দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর। আর পাবলিক ভোট গ্রহণ শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য কিছু নিয়ম মানতে হবে অংশগ্রহণকারীদের। এর মধ্যে রয়েছে অংশগ্রহণকারীর ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্টের বিষয়বস্তু অবশ্যই এসডিজি’র ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার যেকোনো একটি বা একাধিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কিত হতে হবে। উক্ত লক্ষ্যমাত্রাসমূহ কিভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়ন করা যায় বা অর্জিত হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে। প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে- িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/বাবহঃং/৫৮৩১৫৩১৪৯৪৫৩৪৮১।
ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট অবশ্যই ফটোগ্রাফারের নিজস্ব বা কপিরাইটকৃত হতে হবে। প্রেরিত ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট অবশ্যই প্রতিযোগিতার নির্ধারিত থিম (ওসধমরহব অ ঝঁংঃধরহধনষব ইধহমষধফবংয)-এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক যেকোনো ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট এই প্রতিযোগিতায় অবিবেচিত হিসেবে গণ্য হবে। অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই ওয়ালটন মোবাইলের ফেসবুক ফ্যান পেজে লাইক ও ফলো করে অ্যাকটিভ থাকতে হবে। ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট অবশ্যই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যেকোনো স্থানে ধারণকৃত হতে হবে। অবশ্য ফিল্মে তোলা ছবি স্ক্যান করে ডিজিটাল ফাইল হিসেবে জমা দেওয়া যাবে।
অংশগ্রহণকারীর এন্ট্রি দেওয়া ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্টসমূহের নিজস্ব কপিরাইট থাকতে হবে। একজন প্রতিযোগী সর্বোচ্চ দুটি ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট প্রেরণ করতে পারবেন। প্রতিটি ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্টর সঙ্গে একটি শিরোনাম এবং ক্যাপশন (সর্বোচ্চ ১৫০ শব্দ) থাকতে হবে। যাতে ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্টটি বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে কিভাবে সম্পর্কিত তার উল্লেখ থাকবে। ##ধিষঃড়হথসড়নরষব, ##ধিষঃড়হথসড়নরষবথংফমথঢ়যড়ঃড়থপড়হঃবংঃ, এবং #নবঃঃবৎথনধহমষধফবংযথঃড়সড়ৎৎড়ি এই হ্যাশট্যাগসমূহ ব্যবহার করে অংশগ্রহণকারীকে তাদের ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করতে হবে। অংশগ্রহণকারীকে অবশ্যই তার ফেসবুক এন্ট্রি লিংক ও যোগাযোগের জন্য নাম, ঠিকানা এবং ফোন নম্বরসহ ফটোগ্রাফ বা প্রজেক্ট ধিষঃড়হসড়নরষবংফম@মসধরষ.পড়স ইমেইল ঠিকানায় পাঠাতে হবে। ই-মেইল পাঠাতে অনুসরণ করতে হবে নির্দিষ্ট ডিজিটাল ইমেজ ফরম্যাট। জেপিইজি, এসআরজিবি কালার প্রোফাইল, সর্বোচ্চ ৪০০০ পিক্সেল। যা ২০০০ পিক্সেলের কম হবে না। সর্বাধিক ফাইলের সাইজ ৫ মেগাবাইট এবং সর্বনিম্ম ২ মেগাবাইট হতে হবে। ফাইলের নাম লিখতে হবে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে। ডিজিট ক্রমিক নম্বরথলেখকের নামথশিরোনাম। উদাহরণস্বরূপ: ০১থঅফহধহ ওংষধসথঔড়ু ড়ভ ষরভব । এখানে আদনান ইসলাম লেখকের নাম এবং তার শিরোনাম ঔড়ু ড়ভ ষরভব। ১৮ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে ওয়ালটন মোবাইল কর্তৃপক্ষ। ফলাফল প্রকাশিত হবে ওয়ালটন মোবাইলের ফেসবুক পেজে (িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/ডধষঃড়হগড়নরষব)।