ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে প্রধান উপদেষ্টা

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫’-এ যোগ দিতে দুদিনের সফরে দুবাইয়ে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। এসময় প্রধান উপদেষ্টাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি স্বাগত জানান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। গত রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার দুবাই সফরের বিষয়ে জানান, ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করছেন। ২০১৩ সালে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলন সরকারি অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবন বিনিময়ের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। গত দশক ধরে এটি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করার জন্য ১৪০ টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নীতিনির্ধারক, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাধারণ রাজনৈতিক স্বার্থের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন, যারা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এ ছাড়াও বস্ত্র, কৃষি পণ্য ও জ্বালানির মতো খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) অনুষ্ঠেয় ‘ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫’-এ যোগ দিতে দুদিনের সফরে দুবাইয়ে রয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার দুবাইয়ের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিটে তিনি পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম। এসময় প্রধান উপদেষ্টাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়া মন্ত্রী আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি স্বাগত জানান। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে ড. ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। গত রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার দুবাই সফরের বিষয়ে জানান, ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের সময় প্রধান উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বৈঠক করছেন। ২০১৩ সালে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলন সরকারি অভিজ্ঞতা এবং উদ্ভাবন বিনিময়ের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে। গত দশক ধরে এটি একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনে সহায়তা করার জন্য ১৪০ টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নীতিনির্ধারক, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, যা অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সাধারণ রাজনৈতিক স্বার্থের মাধ্যমে আরও জোরদার হয়েছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন, যারা রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন। এ ছাড়াও বস্ত্র, কৃষি পণ্য ও জ্বালানির মতো খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারিত হচ্ছে।