ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা ফিঞ্চের

  • আপডেট সময় : ১০:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

Australia's captain Aaron Finch looks on in the field during the 2019 Cricket World Cup group stage match between England and Australia at Lord's Cricket Ground in London on June 25, 2019. (Photo by Saeed KHAN / AFP) / RESTRICTED TO EDITORIAL USE

ক্রীড়া ডেস্ক : সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পারফরম্যান্সে টের পাচ্ছেন ভাটার টান, ভোগাচ্ছে চোটও। তাই আর দেরি করার কোনো অর্থ দেখছেন না অ্যারন ফিঞ্চ। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই সংস্করণে তার পথচলা। কেয়ার্নসে রোববার শেষবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামবেন ফিঞ্চ। অনেক দিন ধরে তিনিই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এখন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক খুঁজতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন ফিঞ্চ। “অবিশ্বাস্য কিছু স্মৃতিসহ এটা ছিল দুর্দান্ত একটা যাত্রা। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে কয়েকটি অসাধারণ ওয়ানডে দলের অংশ হতে পেরেছি। সে সব দলে যাদের সঙ্গে খেলেছি, পর্দার পেছনে যাদের পেয়েছি, তাদের পেয়ে আমি ধন্য।” “এখন সময় এসেছে, আগামী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও জয়ের জন্য নতুন অধিনায়ককে সম্ভাব্য সেরা সুযোগ দেওয়ার। এই পর্যায়ে আসতে যারাই আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ফিঞ্চের। মাত্র ১৩ গড়ে করেছেন ১৬৯ রান। সবশেষ ১২ ইনিংসের পাঁচটিতেই খুলতে পারেননি রানের খাতা। এর মধ্যে আছে দুই দিন আগে কেয়ার্নসের ম্যাচও। সবশেষ ৭ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের রান কেবল ২৬। ২০২৩ সালে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে শেষের একটা ভাবনা ছিল ফিঞ্চের। তবে শনিবার তিনি জানান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়েক দিন আগে খেলা সিরিজ শুরুর আগেই অবসর নিয়ে ভাবতে শুরু করেন এবং উপলব্ধি করেন আগামী বছরের বিশ্ব আসর তার ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাগালের ভেতরে যেটা, সেটা নিয়েই এখন তার ভাবনা। সব মনোযোগ এখন গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো জেতা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার দিকে।
“আমি হয়তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে হয়তো এমসিজিতে রূপকথার মতো একটা সমাপ্তি হতো। কিন্তু কোনোভাবেই কেবল নিজের কথা ভাবা কখনও আমার ধরন নয়।” “যেই নেতৃত্ব দিক, যেই ওপেন করুক, তাকে দলকে এগিয়ে নিতে এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ জিততে সেরা সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত, সেই পর্যন্ত টিকে থাকতে পারব না আমার শরীরের জন্য এবং কিছুটা ছন্দের জন্যও।” আগামী ২২ অক্টোবর এসসিজিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার আটটি টি-টোয়েন্টি (সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ) আছে। ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য তাই বেশ কিছু সুযোগ আছে ফিঞ্চের সামনে। “আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টিতে আমার ফর্ম বেশ ভালো, গত বেশ কিছু দিন ধরে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্করণ। আমি এখনও ভালো খেলছি, স্রেফ অনেক রান করতে পারছি না। জানি না, পার্থক্যটা কোথায়, হতে পারে অভিপ্রায়ে কিংবা ঝুঁকি নেওয়ায়, যেটা করা হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।”
ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে বাজে সময় কাটালেও ফিঞ্চের ওয়ানডে রেকর্ড সমৃদ্ধ। ১৭ সেঞ্চুরিতে ৫ হাজার ৪০০ এর বেশি রান আছে তার। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তিন জনের। ২০১৩ সালে এমসিজিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফিঞ্চের। সেই বছর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিতে খেলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। ২০১৯ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৫৩ রান। রান খরা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে হওয়া সমালোচনার জবাব হয়ে আসে ওই ইনিংস। পরে বছরটা কাটে দুর্দান্ত, চার সেঞ্চুরিতে করেন ১ হাজার ১৪১ রান। অস্ট্রেলিয়া দলে অধিনায়ক হিসেবে ফিঞ্চের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তবে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্টিভেন স্মিথের কাছে এই সংস্করণের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ওই টুর্নামেন্টের প্রথমভাগে খেলেননি ফিঞ্চ। পরে ২০১৮ সালের বল-টেম্পারিং কা-ের পর স্মিথ নিষিদ্ধ হলে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্ব পান ফিঞ্চ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যান সেমি-ফাইনালে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার হাত ধরে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয় অস্ট্রেলিয়ার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায়ের ঘোষণা ফিঞ্চের

আপডেট সময় : ১০:৫১:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পারফরম্যান্সে টের পাচ্ছেন ভাটার টান, ভোগাচ্ছে চোটও। তাই আর দেরি করার কোনো অর্থ দেখছেন না অ্যারন ফিঞ্চ। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই সংস্করণে তার পথচলা। কেয়ার্নসে রোববার শেষবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামবেন ফিঞ্চ। অনেক দিন ধরে তিনিই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। এখন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক খুঁজতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন ফিঞ্চ। “অবিশ্বাস্য কিছু স্মৃতিসহ এটা ছিল দুর্দান্ত একটা যাত্রা। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে কয়েকটি অসাধারণ ওয়ানডে দলের অংশ হতে পেরেছি। সে সব দলে যাদের সঙ্গে খেলেছি, পর্দার পেছনে যাদের পেয়েছি, তাদের পেয়ে আমি ধন্য।” “এখন সময় এসেছে, আগামী (ওয়ানডে) বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ও জয়ের জন্য নতুন অধিনায়ককে সম্ভাব্য সেরা সুযোগ দেওয়ার। এই পর্যায়ে আসতে যারাই আমাকে সাহায্য করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।”
চলতি বছর ওয়ানডে ক্রিকেটে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না ফিঞ্চের। মাত্র ১৩ গড়ে করেছেন ১৬৯ রান। সবশেষ ১২ ইনিংসের পাঁচটিতেই খুলতে পারেননি রানের খাতা। এর মধ্যে আছে দুই দিন আগে কেয়ার্নসের ম্যাচও। সবশেষ ৭ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের রান কেবল ২৬। ২০২৩ সালে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে শেষের একটা ভাবনা ছিল ফিঞ্চের। তবে শনিবার তিনি জানান, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়েক দিন আগে খেলা সিরিজ শুরুর আগেই অবসর নিয়ে ভাবতে শুরু করেন এবং উপলব্ধি করেন আগামী বছরের বিশ্ব আসর তার ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাগালের ভেতরে যেটা, সেটা নিয়েই এখন তার ভাবনা। সব মনোযোগ এখন গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো জেতা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার দিকে।
“আমি হয়তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে হয়তো এমসিজিতে রূপকথার মতো একটা সমাপ্তি হতো। কিন্তু কোনোভাবেই কেবল নিজের কথা ভাবা কখনও আমার ধরন নয়।” “যেই নেতৃত্ব দিক, যেই ওপেন করুক, তাকে দলকে এগিয়ে নিতে এবং ২০২৩ বিশ্বকাপ জিততে সেরা সুযোগ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিশ্চিত, সেই পর্যন্ত টিকে থাকতে পারব না আমার শরীরের জন্য এবং কিছুটা ছন্দের জন্যও।” আগামী ২২ অক্টোবর এসসিজিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে নামার আগে অস্ট্রেলিয়ার আটটি টি-টোয়েন্টি (সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ) আছে। ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য তাই বেশ কিছু সুযোগ আছে ফিঞ্চের সামনে। “আমি মনে করি, টি-টোয়েন্টিতে আমার ফর্ম বেশ ভালো, গত বেশ কিছু দিন ধরে। এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্করণ। আমি এখনও ভালো খেলছি, স্রেফ অনেক রান করতে পারছি না। জানি না, পার্থক্যটা কোথায়, হতে পারে অভিপ্রায়ে কিংবা ঝুঁকি নেওয়ায়, যেটা করা হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে।”
ক্যারিয়ারের শেষভাগে এসে বাজে সময় কাটালেও ফিঞ্চের ওয়ানডে রেকর্ড সমৃদ্ধ। ১৭ সেঞ্চুরিতে ৫ হাজার ৪০০ এর বেশি রান আছে তার। এই সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তিন জনের। ২০১৩ সালে এমসিজিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফিঞ্চের। সেই বছর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিতে খেলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। ২০১৯ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ১৫৩ রান। রান খরা নিয়ে বিশ্বকাপের আগে হওয়া সমালোচনার জবাব হয়ে আসে ওই ইনিংস। পরে বছরটা কাটে দুর্দান্ত, চার সেঞ্চুরিতে করেন ১ হাজার ১৪১ রান। অস্ট্রেলিয়া দলে অধিনায়ক হিসেবে ফিঞ্চের যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে, টি-টোয়েন্টি দিয়ে। তবে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে স্টিভেন স্মিথের কাছে এই সংস্করণের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি। ওই টুর্নামেন্টের প্রথমভাগে খেলেননি ফিঞ্চ। পরে ২০১৮ সালের বল-টেম্পারিং কা-ের পর স্মিথ নিষিদ্ধ হলে সীমিত ওভারের দুই সংস্করণে পাকাপাকিভাবে নেতৃত্ব পান ফিঞ্চ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যান সেমি-ফাইনালে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার হাত ধরে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয় অস্ট্রেলিয়ার।