ঢাকা ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

ওসমান পরিবারের ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

শামীম ওসমান ও স্ত্রী সালমা ওসমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শামীম ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে বিটিআরসি ও সিআইডিকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘জালিয়াতিতে ওসমান পরিবার’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়।

এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার সেই আবেদনের শুনানিতে তদন্তের আদেশ দেয় হাই কোর্ট।

প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, ‘কে টেলিকমের’ কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি।

কে টেলিকমের মালিক ছিল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়।

নথিপত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দিতে এ তিনজনকে মালিক সাজানোর তথ্য দেয় পত্রিকাটি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওসমান পরিবারের ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শামীম ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে তদন্ত করে বিটিআরসি ও সিআইডিকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ আদেশ দেয়।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করা আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ওসমান পরিবারের জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে হাই কোর্ট।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘জালিয়াতিতে ওসমান পরিবার’ শিরোনামে একটি খবর ছাপা হয়।

এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন নামের এক ব্যক্তি। তার সেই আবেদনের শুনানিতে তদন্তের আদেশ দেয় হাই কোর্ট।

প্রথম আলোর খবরে বলা হয়, ‘কে টেলিকমের’ কাছে বিটিআরসির পাওনা ১২৬ কোটি টাকার বেশি।

কে টেলিকমের মালিক ছিল নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের পরিবার। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান ও ছেলে ইমতিনান ওসমানের নামে ২০১২ সালে ১৫ বছরের জন্য কে টেলিকমের লাইসেন্স নেওয়া হয়।

নথিপত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট ওসমান পরিবার কে টেলিকমের মালিকানা সাখাওয়াত হোসেন, সিলেটের স্কুলশিক্ষক দেবব্রত চৌধুরী ও বগুড়ার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী রাকিবুল ইসলামের নামে হস্তান্তর করে। বিটিআরসির ১২৬ কোটি টাকা ফাঁকি দিতে এ তিনজনকে মালিক সাজানোর তথ্য দেয় পত্রিকাটি।