ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে কর সুবিধা

  • আপডেট সময় : ০১:২০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের কর সুবিধা দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চারভিত্তিক অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল হচ্ছে এপিআই, যা প্রায় সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রফতানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। প্রজ্ঞাপনে এই সুবিধা ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়, যা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো- ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব কারখানায় স্থানীয়ভাবে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।
২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর অন্তত ৫টি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর বিধি অনুসারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা আরোপিত হবে এবং ওই বছরের কর সুবিধা বাতিল করা হবে ইত্যাদি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশে ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রফতানি নীতি করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফার্মসিউটিক্যাল পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। এপিআই না থাকায় ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমদানি নির্ভর কাঁচামালের ওপর ওষুধ শিল্প টেকসই হয় না এমন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশীয়ভাবে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেলো স্বামী-স্ত্রীর

ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে কর সুবিধা

আপডেট সময় : ০১:২০:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের কর সুবিধা দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশে নিবন্ধিত দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চারভিত্তিক অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল হচ্ছে এপিআই, যা প্রায় সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রফতানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। প্রজ্ঞাপনে এই সুবিধা ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়, যা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নিবন্ধিত (দেশীয় ও জয়েন্ট ভেঞ্চার) অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনক্রিডেন্স (এপিআই) মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে আয়কর থেকে শর্ত সাপেক্ষে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো হলো- ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তার নিজস্ব কারখানায় স্থানীয়ভাবে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।
২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সম্পূর্ণ করমুক্ত সুবিধা পেতে এপিআই মলিকিউল ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর অন্তত ৫টি নতুন এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন করতে হবে।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর বিধি অনুসারে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা আরোপিত হবে এবং ওই বছরের কর সুবিধা বাতিল করা হবে ইত্যাদি।
২০১৮ সালে বাংলাদেশে ওষুধ খাতে বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে জাতীয় এপিআই (কার্যকর ওষুধ উপকরণ) ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদন-রফতানি নীতি করা হয়। ওই নীতিমালায় বাংলাদেশে নিবন্ধিত সব এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক উৎপাদনকারীদের জন্য কর অবকাশ সুবিধার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফার্মসিউটিক্যাল পণ্য অভ্যন্তরীণ চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ মিটিয়ে থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। এপিআই না থাকায় ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমদানি নির্ভর কাঁচামালের ওপর ওষুধ শিল্প টেকসই হয় না এমন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দেশীয়ভাবে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে কর অবকাশসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার।