নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের ব্যাংকগুলোতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের কত টাকা আছে, কী পরিমাণ লেনদেন হয়েছে, সেসব তথ্য জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ- বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের বর্তমান ও আগের সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসালাম। তাকসিম ও তার পরিবারের সদস্যদের তথ্য চেয়ে বৃহস্পতিবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ। ওয়াসা এমডির পরিবারের সদস্যদের তালিকা দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবের পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। তাকসিম গত ১৩ বছর ধরে বেতন-ভাতা বাবদ কত টাকা ওয়াসা থেকে নিয়েছেন, সেই হিসাব দাখিলের নির্দেশ গেল সপ্তাহেই দিয়েছে হাই কোর্ট। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে এই হিসাব দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৭ অগাস্ট দেওয়া ওই আদেশে তাকসিমকে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাকে অপসারণে বিবাদীদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করে আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা ও ওয়াসা বোর্ড এবং তাকসিম এ খানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর চার দফায় বাড়ানো মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর। তার সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তাকসিমের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ায় সরকার।