ক্রীড়া প্রতিবেদক : ইনিংস শুরু করতে নেমে ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেন ধরলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। দুজনে উপহার দিলেন দারুণ দুটি সেঞ্চুরি। তাদের আড়াইশ ছাড়ানো উদ্বোধনী জুটিতে বিশাল পুঁজি গড়ল অস্ট্রেলিয়া। পরে অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে দেড়শর আগেই গুটিয়ে গেল ইংল্যান্ড। রেকর্ড গড়া জয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হোয়াইটওয়াশ করল স্বাগতিকরা। মেলবোর্নে গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টিবিঘিœত তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ২২১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই প্রথম দুইশ রানের জয় পেল তারা। আগের সেরা জয় ছিল ১৬২ রানের, ১৯৯৯ সালে মেলবোর্নেই।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের বিব্রতকর রেকর্ড গড়ল ইংলিশরা। এর আগে কলম্বোয় ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১৯ রানে হেরেছিল তারা। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দুই দফায় বৃষ্টি হানা দিলে ৪৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৫ উইকেটে ৩৫৫ রান করে প্যাট কামিন্সের দল। ডিএলএস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৬৪ রানে। সফরকারীরা পারল না কোনো ধরনের লড়াই করতে। গুঁড়িয়ে গেল ১৪২ রানে। অস্ট্রেলিয়াকে পাহাড়সম সংগ্রহ এনে দেওয়ার কারিগর ওয়ার্নার ও হেড গড়েন ২৬৯ রানের জুটি। ওয়ানডেতে মেলবোর্নে যেকোনো উইকেটে যা রেকর্ড জুটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শুরুর জুটিতে সেরাও এই দুজনের, ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অ্যাডিলেইডে ২৮৪ রানের। ২ ছক্কা ও ৮ চারে ১০২ বলে ১০৬ রান করেন ওয়ার্নার। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৪ ছক্কা ও ১৬ চারে ১৩০ বলে ১৫২ রানের ইনিংস খেলেন হেড। ওয়ানডেতে তার আগের সেরা ১২৮। অস্ট্রেলিয়ার বড় জয়ের পথে লেগ স্পিনার জ্যাম্পা ৩১ রানে নেন ৪ উইকেট। দুটি করে প্রাপ্তি কামিন্স ও শন অ্যাবটের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৫ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন হেড। দলের রান ১০০ স্পর্শ করে ১০৯ বলে। ২০ ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে আধা ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকে খেলা। এরপর ওয়ার্নার পঞ্চাশ করেন ৫৩ বলে।
ক্রিস ওকসকে চার মেরে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে হেড পা রাখেন ৯১ বলে। ঠিক একইভাবে শতকের উল্লাসে মাতেন ওয়ার্নার। অলি স্টোনকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৯তম সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি ৯৭ বলে। এই ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় ছাড়িয়ে যান তিনি মার্ক ওয়াহকে। ২৯ সেঞ্চুরি নিয়ে এখন ওয়ার্নারের ওপরে আছেন কেবল রিকি পন্টিং। স্টোন ৩৯তম ওভারে ধরেন জোড়া শিকার। ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকেই। ওয়ার্নার ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন, হেড হন বোল্ড। ৪৩ ওভারের সময় আবার বৃষ্টি নামে। এরপর খেলা শুরু হলে কমিয়ে দেওয়া হয় দুই ওভার। শেষ দিকে মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স কেয়ারিরা মিলে পার করেন সাড়ে তিনশ রান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার স্টোন। রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ৯৫ রানে হারায় তারা ৭ উইকেট। প্রথম ৭ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেবল তিনজন যেতে পারেন দুই অঙ্কে। কিন্তু কেউই খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। ৬ চারে তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ওপেনার জেসন রয়। মইন আলি, জস বাটলার, ক্রিস ওকসকে ফেরান জ্যাম্পা। পরে স্টোনকে বোল্ড করে প্রতিপক্ষের ইনিংস গুটিয়ে দেন তিনি।
ওয়ার্নার ও হেডের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ