ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ওমিক্রন সংক্রমিত দেশ থেকে আপাতত না ফেরার আহ্বান

  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আফ্রিকা ও ইউরোপের যেসব দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ (ভ্যারিয়েন্ট) ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আপাতত দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ভাই-বোনেরা যারা এ সময় দেশে আসতে চান, যারা দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইউরোপে আছেন, বিশেষ করে যেসব দেশে ওমিক্রণের ভ্যারিয়েন্টটি অধিক সংখ্যায় শনাক্ত হচ্ছে—তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, আপনারা ভ্রমণ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা একেবারে বন্ধ রাখুন। এই কাজটি করলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের সারাদেশে করোনা রোধে যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি আছে, সেটা বেগবান হবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে “ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন” হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আমরা নতুন তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি। এদিকে আমাদের গভীর মনোযোগ আছে এবং সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব প্রাক-প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে ভ্রমণ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। বন্দরগুলোতে আমরা সতর্কতা দিয়েছি। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছিল সেটি আর শিথিল নেই। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ আমরা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের চিহ্নিত করছি। যাদের পরীক্ষার দরকার তাদের পরীক্ষা করছি। সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
৪৮ ঘণ্টা আগের নেভেটিভ সনদ ছাড়া দেশে নয় : দক্ষিণ আফ্রিকা বা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে এলেও ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে যাত্রার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড পরীক্ষার সনদ থাকতে হয়। আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ ছাড়া অন্য সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনও দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ যদি আসে, তাদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। আমরা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘সেসব দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করতে হবে। টেস্টে যদি করোনা নেগেটিভ না হয় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যদি দেখি কোনও দেশ সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে’, বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজই বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ে যাবে। এ কাজে যেসব মন্ত্রণালয় জড়িত তাদেরও চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসব হোটেল ঠিক করা হয়েছিল, সেখানে লোকজন কম আসায় তারা আগের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, এসব হোটেল আবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবারও তালিকা অনুযায়ী এসব হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।”
তবে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে না আসতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রবাসী কারও মাধ্যমে যেন ওমিক্রন আসতে না পারে সেই চেষ্টা সরকার করছে। ‘বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করেন। কারণ, একসঙ্গে যদি আফ্রিকা থেকেই ২০-৩০ হাজার লোক দেশে চলে আসেন, তাহলে কিন্তু সবার কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এই সক্ষমতা আমাদের নেই। সব হোটেল নিলেও ১০-১৫ হাজারের বেশি লোক জায়গা দেওয়া যাবে না’, বলেন মন্ত্রী। বিদেশ থেকে এসে অনেকে পরিচয় গোপন করছে। গত এক মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। ‘আমরা বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করতে চাচ্ছি—তারা অসুস্থ কিনা দেখতে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কার সঙ্গে মিশছে, চিকিৎসার আওতায় আনা। আমরা তো কাউকে জেলে দেবো না। তাদের মঙ্গলের জন্যই খুঁজছি।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

ওমিক্রন সংক্রমিত দেশ থেকে আপাতত না ফেরার আহ্বান

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আফ্রিকা ও ইউরোপের যেসব দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ (ভ্যারিয়েন্ট) ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে, সেসব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আপাতত দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গতকাল বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘প্রবাসী ভাই-বোনেরা যারা এ সময় দেশে আসতে চান, যারা দক্ষিণ আফ্রিকা বা ইউরোপে আছেন, বিশেষ করে যেসব দেশে ওমিক্রণের ভ্যারিয়েন্টটি অধিক সংখ্যায় শনাক্ত হচ্ছে—তাদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, আপনারা ভ্রমণ পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত রাখুন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা একেবারে বন্ধ রাখুন। এই কাজটি করলে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে আমাদের সারাদেশে করোনা রোধে যে সর্বোচ্চ চেষ্টাটি আছে, সেটা বেগবান হবে।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওমিক্রনকে “ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন” হিসেবে ঘোষণা করেছে। এটা সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আমরা নতুন তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছি। এদিকে আমাদের গভীর মনোযোগ আছে এবং সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সব প্রাক-প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে ভ্রমণ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে আমাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। বন্দরগুলোতে আমরা সতর্কতা দিয়েছি। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হয়েছিল সেটি আর শিথিল নেই। কোয়ারেন্টিনের বিধি-নিষেধ আমরা কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যারা এসেছেন, স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের চিহ্নিত করছি। যাদের পরীক্ষার দরকার তাদের পরীক্ষা করছি। সামগ্রিকভাবে এই মুহূর্ত পর্যন্ত সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।’
৪৮ ঘণ্টা আগের নেভেটিভ সনদ ছাড়া দেশে নয় : দক্ষিণ আফ্রিকা বা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। সেই সঙ্গে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ থেকে এলেও ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। জাহিদ মালেক বলেন, আফ্রিকা থেকে আসা যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে যাত্রার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা কোভিড পরীক্ষার সনদ থাকতে হয়। আফ্রিকা এবং ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এমন দেশ ছাড়া অন্য সব দেশের ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। একই সঙ্গে তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট করে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনও দেশ থেকেই করোনা টেস্ট ছাড়া কেউ যদি আসে, তাদের অবশ্যই বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে। আমরা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
‘সেসব দেশ থেকে আসা প্রবাসীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে টেস্ট করতে হবে। টেস্টে যদি করোনা নেগেটিভ না হয় তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হবে। যদি দেখি কোনও দেশ সাংঘাতিকভাবে আক্রান্ত, সেক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে’, বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ সংক্রান্ত নির্দেশনা আজই বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ে যাবে। এ কাজে যেসব মন্ত্রণালয় জড়িত তাদেরও চিঠি পাঠানো হচ্ছে। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য যেসব হোটেল ঠিক করা হয়েছিল, সেখানে লোকজন কম আসায় তারা আগের মতো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে গেছে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, এসব হোটেল আবার প্রস্তুত করা হচ্ছে। আবারও তালিকা অনুযায়ী এসব হোটেলে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।”
তবে এই মুহূর্তে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে বাংলাদেশে না আসতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রবাসী কারও মাধ্যমে যেন ওমিক্রন আসতে না পারে সেই চেষ্টা সরকার করছে। ‘বিশেষ করে আফ্রিকার দেশগুলোতে যারা আছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা স্ব-স্ব কর্মস্থলে অবস্থান করেন। কারণ, একসঙ্গে যদি আফ্রিকা থেকেই ২০-৩০ হাজার লোক দেশে চলে আসেন, তাহলে কিন্তু সবার কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা যাবে না। এই সক্ষমতা আমাদের নেই। সব হোটেল নিলেও ১০-১৫ হাজারের বেশি লোক জায়গা দেওয়া যাবে না’, বলেন মন্ত্রী। বিদেশ থেকে এসে অনেকে পরিচয় গোপন করছে। গত এক মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ২৪০ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আরও সতর্ক হতে সিভিল এভিয়েশনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মানুষকেও সচেতন হতে হবে। ‘আমরা বিদেশ ফেরতদের খুঁজে বের করতে চাচ্ছি—তারা অসুস্থ কিনা দেখতে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, কার সঙ্গে মিশছে, চিকিৎসার আওতায় আনা। আমরা তো কাউকে জেলে দেবো না। তাদের মঙ্গলের জন্যই খুঁজছি।’