ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

ওমিক্রন ঠেকাবে অ্যান্টিবডি ককটেল, আশা অ্যাস্ট্রাজেনেকার

  • আপডেট সময় : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১০৫ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের অ্যান্টিবডি ককটেল এজেডডি৭৪৪২ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই অ্যান্টিবডি ককটেলের কার্যকারিতা বাড়াতে ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগও করছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘করোনার নতুন ধরন হিসেবে আমরা বি.১.১৫২৯ (ওমিক্রন) বিষয়ক যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং এই মুহূর্তে যেসব তথ্য আমাদের কাছে আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ ‘পাশাপাশি, আমরা এজেড৭৪৪২ নামে যে অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করেছিলাম, সেটিকে ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এটির কার্যকারিতা আরও বাড়ানো যায় কি না সে বিষয়ে পরামর্শ করতে ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় বি.১.১৫২৯ নামের এই রূপান্তরিত ধরনটি, পরে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ইতোমধ্যে এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে পাওয়া গেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান। যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া রূপান্তরিত ধরনটির স্পাইক প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। ফলে, মূল করোনাভাইরাস থেকে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি- এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি মূল ভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে বা মানুষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম। ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসব পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে- করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশ্বের অন্যতম সফল করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্যতম উদ্ভাবক ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক মহামারিবিদ ও জীবাণু বিশেষজ্ঞের কয়েকবার রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কারণে ওমিক্রন ধরনটির টিকাপ্রতিরোধী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে; অর্থাৎ করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিরাও এই ধরনটির দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওমিক্রন ঠেকাবে অ্যান্টিবডি ককটেল, আশা অ্যাস্ট্রাজেনেকার

আপডেট সময় : ১১:১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের অ্যান্টিবডি ককটেল এজেডডি৭৪৪২ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছে ব্রিটিশ-সুইডিশ বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই অ্যান্টিবডি ককটেলের কার্যকারিতা বাড়াতে ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগও করছে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘করোনার নতুন ধরন হিসেবে আমরা বি.১.১৫২৯ (ওমিক্রন) বিষয়ক যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি এবং এই মুহূর্তে যেসব তথ্য আমাদের কাছে আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’ ‘পাশাপাশি, আমরা এজেড৭৪৪২ নামে যে অ্যান্টিবডি ককটেল তৈরি করেছিলাম, সেটিকে ফের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। এটির কার্যকারিতা আরও বাড়ানো যায় কি না সে বিষয়ে পরামর্শ করতে ইতোমধ্যে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগও শুরু হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় বি.১.১৫২৯ নামের এই রূপান্তরিত ধরনটি, পরে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ইতোমধ্যে এই ধরনটি দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে পাওয়া গেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান। যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া রূপান্তরিত ধরনটির স্পাইক প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। ফলে, মূল করোনাভাইরাস থেকে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি- এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি মূল ভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে বা মানুষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম। ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসব পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে- করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন।
বিশ্বের অন্যতম সফল করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অন্যতম উদ্ভাবক ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে। অনেক আন্তর্জাতিক মহামারিবিদ ও জীবাণু বিশেষজ্ঞের কয়েকবার রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কারণে ওমিক্রন ধরনটির টিকাপ্রতিরোধী হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে; অর্থাৎ করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা ব্যক্তিরাও এই ধরনটির দ্বারা সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন।