ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ওডেগোরের কাছে আর্সেনাল ও সিটির দ্বৈরথে উত্তাপ থাকাটা স্বাভাবিক

  • আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: গত দুই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াইটা মূলত হয় আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে। দুইবারই শেষ হাসি হাসে সিটি। দুই দলের দ্বৈরথে দেখা যায় বাড়তি উত্তাপ, ঘটে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও। এসবকে অবশ্য স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগোর।

২০২৩-২৪ মৌসুমে শেষ দিন পর্যন্ত সিটির সঙ্গে শিরোপার লড়াই চলে আর্সেনালের। কিন্তু লন্ডনের ক্লাবটিকে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ঘরে তোলে সিটি। ২০২২-২৩ মৌসুমেও রানার্স-আপ হয় মিকেল আর্তেতার দল। আর্সেনাল ও সিটির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গত দুই মৌসুমে পৌঁছে গেছে অন্য উচ্চতায়। দুই দলের সবশেষ দেখায় তো মাঠেই তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিবেশ। ওডেগারের স্বদেশী আর্লিং হলান্ড আর্সেনালের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইসকে বল ছুঁড়ে মারেন।

ওই ঘটনায় মাঠেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান আর্তেতা। হলান্ডের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো আর্সেনাল কোচ সিটির তারকা স্ট্রাইকারকে ‘নম্র থাকতে’ বলেন। চলতি মৌসুমে লিগে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ ২-২ গোলে শেষ হয়। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোববার সিটির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। আগের দিন ওডেগোরের সংবাদ সম্মেলনে ওঠে তাদের মধ্যকার ঝাঁজ নিয়ে প্রশ্ন। সেখানেই তিনি তুলে ধরেন নিজের ভাবনা। “আমার মনে হয়, ফুটবলে এ ধরনের ম্যাচে আবেগ অনেক বেশি থাকে এবং উত্তেজনা থাকে। এসব মাঠে ঘটতে পারে। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর সেসবও শেষ হয়ে যায়।”

“এটা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবছি না। এই ধরনের বড় ম্যাচগুলি খেলার সময় বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকাটা স্বাভাবিক। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় সবাই সেরা হতে চায়। তাই এসব ম্যাচে এমনই হওয়া উচিত এবং মাঝেমধ্যে কিছুটা উত্তাপ ছড়ানো উচিত।” আর্সেনালের তারকা মিডফিল্ডার ওডেগোরের মতে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে মাঠের ঝামেলা মাঠেই রেখে আসেন তারা। মাঠের বাইরের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। “আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দল থেকে একে অপরকে চেনে- ইংল্যান্ড, ব্রাজিল এবং আর্লিংয়ের সঙ্গে আমার- তাই মাঠ এবং মাঠের বাইরের বিষয় কিছুটা আলাদা। আমরা যখন মাঠে থাকি, তখন ভালো লড়াই হয়।”

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওডেগোরের কাছে আর্সেনাল ও সিটির দ্বৈরথে উত্তাপ থাকাটা স্বাভাবিক

আপডেট সময় : ০৪:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: গত দুই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা লড়াইটা মূলত হয় আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার সিটির মধ্যে। দুইবারই শেষ হাসি হাসে সিটি। দুই দলের দ্বৈরথে দেখা যায় বাড়তি উত্তাপ, ঘটে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনাও। এসবকে অবশ্য স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগোর।

২০২৩-২৪ মৌসুমে শেষ দিন পর্যন্ত সিটির সঙ্গে শিরোপার লড়াই চলে আর্সেনালের। কিন্তু লন্ডনের ক্লাবটিকে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি ঘরে তোলে সিটি। ২০২২-২৩ মৌসুমেও রানার্স-আপ হয় মিকেল আর্তেতার দল। আর্সেনাল ও সিটির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গত দুই মৌসুমে পৌঁছে গেছে অন্য উচ্চতায়। দুই দলের সবশেষ দেখায় তো মাঠেই তৈরি হয় উত্তপ্ত পরিবেশ। ওডেগারের স্বদেশী আর্লিং হলান্ড আর্সেনালের ডিফেন্ডার গাব্রিয়েল মাগালিয়াইসকে বল ছুঁড়ে মারেন।

ওই ঘটনায় মাঠেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান আর্তেতা। হলান্ডের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো আর্সেনাল কোচ সিটির তারকা স্ট্রাইকারকে ‘নম্র থাকতে’ বলেন। চলতি মৌসুমে লিগে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ ২-২ গোলে শেষ হয়। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে রোববার সিটির মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। আগের দিন ওডেগোরের সংবাদ সম্মেলনে ওঠে তাদের মধ্যকার ঝাঁজ নিয়ে প্রশ্ন। সেখানেই তিনি তুলে ধরেন নিজের ভাবনা। “আমার মনে হয়, ফুটবলে এ ধরনের ম্যাচে আবেগ অনেক বেশি থাকে এবং উত্তেজনা থাকে। এসব মাঠে ঘটতে পারে। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর সেসবও শেষ হয়ে যায়।”

“এটা নিয়ে আমি খুব বেশি ভাবছি না। এই ধরনের বড় ম্যাচগুলি খেলার সময় বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকাটা স্বাভাবিক। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় সবাই সেরা হতে চায়। তাই এসব ম্যাচে এমনই হওয়া উচিত এবং মাঝেমধ্যে কিছুটা উত্তাপ ছড়ানো উচিত।” আর্সেনালের তারকা মিডফিল্ডার ওডেগোরের মতে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে মাঠের ঝামেলা মাঠেই রেখে আসেন তারা। মাঠের বাইরের পরিবেশ সম্পূর্ণ ভিন্ন। “আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দল থেকে একে অপরকে চেনে- ইংল্যান্ড, ব্রাজিল এবং আর্লিংয়ের সঙ্গে আমার- তাই মাঠ এবং মাঠের বাইরের বিষয় কিছুটা আলাদা। আমরা যখন মাঠে থাকি, তখন ভালো লড়াই হয়।”