বিনোদন প্রতিবেদক :বিনদন জগতের নতুন মাধ্যম ওটিটি। এর মাধ্যমে যেকোনও সময়, যেকোনও জায়গা থেকে বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন দর্শক। দেশেও সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি দারুণ বিস্তার লাভ করেছে। তবে এই মাধ্যমটির জন্য নীতিমালা ও সেন্সরশিপের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। তার ভাষ্য, ‘ওটিটি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। ভবিষ্যতে ওটিটির মাধ্যমে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নেতৃত্ব দেবে। এখানকার চলচ্চিত্রের সেন্সরশিপের বিষয়টি আলোচনা করা বা পরিস্কার করা প্রয়োজন।’
গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে ‘ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই উল্লেখিত কথাগুলো বলেন রোকেয়া প্রাচী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রভাষক, গবেষক শুভ কর্মকার। গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকির নির্বাহী পরিচালক ও নির্মাতা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘ওটিটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য ওটিটি টিকিয়ে রাখতে হবে। এর নীতিমালা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। গে¬াবাল বিজনেস প্লাটফর্মকে মাথায় রেখে দেশের ওটিটি নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। এই নীতিমালা যেন গে¬াবাল পলিসির সঙ্গে যেন সাংঘর্ষিক না হয়।’ সেমিনারে অংশ নিয়েছেন এ সময়ের আলোচিত নির্মাতা রায়হান রাফীও। তার বক্তব্য, ‘কোভিডের সময় ওটিটির মাধ্যমে দর্শক তৈরি হয়েছে। বর্তমানে সিনেমা হলে এতো দর্শক আসছে, এরা সবাই ওটিটি কন্টেন্ট দেখা মানুষ। ওটিটি ঘিরে নতুন নতুন নির্মাতা তৈরি হচ্ছে। সেন্সরশিপ দিয়ে বা নীতিমালা দিয়ে এটাকে যেন বাধাগ্রস্থ না করা হয়।’ এই সেমিনারে স্বাগত আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও গবেষকগণ।
ওটিটির সেন্সরশিপের বিষয়টি পরিষ্কার করা প্রয়োজন: প্রাচী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ