ঢাকা ১২:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ওজন কমাতে কিসমিশের ভূমিকা

  • আপডেট সময় : ১১:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ৮৬ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক যতেœর অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা। খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা, প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরত তো করবেনই, তার সঙ্গে ডায়েটেও কিছু বিশেষ খাবার যোগ করার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসকরাও অনেক সময় বেশ কিছু ঘরোয়া পানীয়ে আস্থা রাখার কথা বলেন। তেমনই এক কার্যকর একটি পানীয় কিশমিশ ভেজানো পানি। হৃদ্স্পন্দনের হার ঠিক রাখা, শরীরে ক্যালশিয়ামের যোগান, খারাপ কোলেস্টেরলকে ঠেকিয়ে রাখা এবং ওজন বাগে আনতে কিশমিশের এই পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিশমিশে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয়। রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতেও এই পানি খুবই কার্যকর। মেয়েরা রক্তস্বল্পতাজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন বলে এই পানীয় তাদের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, পেটের অসুখ থেকে যকৃতের যেকোনো অসুখ, রক্ত পরিশোধন ইত্যাদি নানা কাজে কিশমিশ উপকারী।
কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ?
১) কিশমিশে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও লেপটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে। লেপটিন ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।
২) কিশমিশে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি ভালো রাখতে বেশ উপকারী। হজম ভালো হলে বিপাক হার বাড়ে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) খালি পেটে শরীরচর্চা করা মোটেই ভালো নয়। ব্যায়ামের আগে কিশমিশ খেলে শরীরে দ্রুত শক্তির সঞ্চার হয়। কিশমিশ ভেজোনো পানি খেলেও আপনি শরীরচর্চা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন।
এই পানীয় খাওয়ার সঠিক নিয়ম : ১০০ গ্রাম কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভালো ফল পেতে ছাঁকা পানি খানিকটা গরম করেও খেতে পারেন। তবে এই পানীয়র পর আধ ঘণ্টা আর কিছু খাবেন না। সপ্তাহে পাঁচ দিন এই পানি খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওজন কমাতে কিসমিশের ভূমিকা

আপডেট সময় : ১১:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক যতেœর অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি। অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা। খারাপ কোলেস্টেরলের সমস্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা, প্রয়োজনীয় শারীরিক কসরত তো করবেনই, তার সঙ্গে ডায়েটেও কিছু বিশেষ খাবার যোগ করার প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসকরাও অনেক সময় বেশ কিছু ঘরোয়া পানীয়ে আস্থা রাখার কথা বলেন। তেমনই এক কার্যকর একটি পানীয় কিশমিশ ভেজানো পানি। হৃদ্স্পন্দনের হার ঠিক রাখা, শরীরে ক্যালশিয়ামের যোগান, খারাপ কোলেস্টেরলকে ঠেকিয়ে রাখা এবং ওজন বাগে আনতে কিশমিশের এই পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিশমিশে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তির যোগান দেয়। রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতেও এই পানি খুবই কার্যকর। মেয়েরা রক্তস্বল্পতাজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন বলে এই পানীয় তাদের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, পেটের অসুখ থেকে যকৃতের যেকোনো অসুখ, রক্ত পরিশোধন ইত্যাদি নানা কাজে কিশমিশ উপকারী।
কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ?
১) কিশমিশে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও লেপটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে। লেপটিন ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।
২) কিশমিশে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি ভালো রাখতে বেশ উপকারী। হজম ভালো হলে বিপাক হার বাড়ে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) খালি পেটে শরীরচর্চা করা মোটেই ভালো নয়। ব্যায়ামের আগে কিশমিশ খেলে শরীরে দ্রুত শক্তির সঞ্চার হয়। কিশমিশ ভেজোনো পানি খেলেও আপনি শরীরচর্চা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন।
এই পানীয় খাওয়ার সঠিক নিয়ম : ১০০ গ্রাম কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভালো ফল পেতে ছাঁকা পানি খানিকটা গরম করেও খেতে পারেন। তবে এই পানীয়র পর আধ ঘণ্টা আর কিছু খাবেন না। সপ্তাহে পাঁচ দিন এই পানি খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।