ঢাকা ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

ওজন কমাতে এড়িয়ে চলতে হবে যে চারটি খাবার

  • আপডেট সময় : ১১:৩৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এমনই চারটি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
সাদা রুটি বা পাউরুটি : সাদা রুটি প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি যা ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্রের মেনোয়াতে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই’র নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ড. জিনান বান্না ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সাদা রুটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে না তাই প্রয়োজনের তুলনায় বার বার ক্যালরি গ্রহণ করতে হয় ও ওজন বৃদ্ধি পায়।”
সাদা রুটি থেকে আঁশ আলাদা করে ফেলায় তা পেট ভরার অনুভূতি দেয় না। তাই ওজন কমাতে চাইলে খাবার তালিকা থেকে সাদা রুটি ধরনের খাবার বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
ভাজা খাবার : খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব কম তেলে ভাজা খাবার রাখা উচিত। ড. বান্নার মতে, “ভাজা খাবার উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এবং ক্যালরি খরচের তুলনায় বাড়তি ক্যালরি যোগ করলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।” গবেষণায় দেখা গেছে, ভাজাপোড়া ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতার সমস্যার জন্য দায়ী। ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের বংশগতভাবেই স্থূলতার সমস্যা রয়েছে তাদের ভাজাপোড়া ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
চিনিযুক্ত খাবার : যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ জেনেট কোলম্যান একই প্রতিবেদনে বলেন, “ওজন কমাতে চাইলে চিনি-জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া উচিত।” “ক্যালরির মান শূন্য লেখা থাকলেও তা বাদ দেওয়া প্রয়োজন। কেননা এটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমানোর পথে বাধার সৃষ্টি করে।” বলেন কোলম্যান। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, এইসব উপাদানে ইন্সুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকায় তা ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
কম আঁশালো খাবার : ‘আপলিফট ফুড ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কারা ল্যান্ডাও বলেন, “কম আঁশ-জাতীয় খাবার যেমন- সাদা রুটি, আটার পিঠা, আলুর চিপ্স এবং শস্যজাতীয় নয় এমন অন্যান্য খাবার ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।”
উদাহরণ স্বরূপ, দ্রবীভূত আঁশ গ্যাস নিঃসরণ ধীর করে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়। বার বার খাওয়ার ইচ্ছে কমে। তিনি আরও বলেন, “ওজন কমাতে আঁশ-জাতীয় খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক। এই ধরনের খাবার অন্ত্রে প্রবেশ করে হজমে সহায়তা করে এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে গাঁজাতে সহায়তা করে।” “এই গাঁজানো প্রক্রিয়ার উপজাত উপাদান দেহে ইন্সুলিনের প্রতি প্রতিক্রিয়া বাড়ায় ফলে কোমড়ের বাড়তি মেদ হ্রাস পায়।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ওজন কমাতে এড়িয়ে চলতে হবে যে চারটি খাবার

আপডেট সময় : ১১:৩৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : ওজন কমাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হলে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি বাড়তি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এমনই চারটি খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
সাদা রুটি বা পাউরুটি : সাদা রুটি প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট দিয়ে তৈরি যা ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করে। যুক্তরাষ্ট্রের মেনোয়াতে অবস্থিত ‘ইউনিভার্সিটি অফ হাওয়াই’র নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ ড. জিনান বান্না ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “সাদা রুটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে না তাই প্রয়োজনের তুলনায় বার বার ক্যালরি গ্রহণ করতে হয় ও ওজন বৃদ্ধি পায়।”
সাদা রুটি থেকে আঁশ আলাদা করে ফেলায় তা পেট ভরার অনুভূতি দেয় না। তাই ওজন কমাতে চাইলে খাবার তালিকা থেকে সাদা রুটি ধরনের খাবার বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
ভাজা খাবার : খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব কম তেলে ভাজা খাবার রাখা উচিত। ড. বান্নার মতে, “ভাজা খাবার উচ্চ ক্যালরিযুক্ত এবং ক্যালরি খরচের তুলনায় বাড়তি ক্যালরি যোগ করলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।” গবেষণায় দেখা গেছে, ভাজাপোড়া ধরনের খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বৃদ্ধি বা স্থূলতার সমস্যার জন্য দায়ী। ‘ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল’য়ে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, যাদের বংশগতভাবেই স্থূলতার সমস্যা রয়েছে তাদের ভাজাপোড়া ধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
চিনিযুক্ত খাবার : যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ জেনেট কোলম্যান একই প্রতিবেদনে বলেন, “ওজন কমাতে চাইলে চিনি-জাতীয় খাবার বাদ দেওয়া উচিত।” “ক্যালরির মান শূন্য লেখা থাকলেও তা বাদ দেওয়া প্রয়োজন। কেননা এটা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায় এবং ওজন কমানোর পথে বাধার সৃষ্টি করে।” বলেন কোলম্যান। এছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে, এইসব উপাদানে ইন্সুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকায় তা ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
কম আঁশালো খাবার : ‘আপলিফট ফুড ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং নিবন্ধিত পুষ্টিবিদ কারা ল্যান্ডাও বলেন, “কম আঁশ-জাতীয় খাবার যেমন- সাদা রুটি, আটার পিঠা, আলুর চিপ্স এবং শস্যজাতীয় নয় এমন অন্যান্য খাবার ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।”
উদাহরণ স্বরূপ, দ্রবীভূত আঁশ গ্যাস নিঃসরণ ধীর করে। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা অনুভূত হয়। বার বার খাওয়ার ইচ্ছে কমে। তিনি আরও বলেন, “ওজন কমাতে আঁশ-জাতীয় খাবার গ্রহণ করা আবশ্যক। এই ধরনের খাবার অন্ত্রে প্রবেশ করে হজমে সহায়তা করে এবং উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে গাঁজাতে সহায়তা করে।” “এই গাঁজানো প্রক্রিয়ার উপজাত উপাদান দেহে ইন্সুলিনের প্রতি প্রতিক্রিয়া বাড়ায় ফলে কোমড়ের বাড়তি মেদ হ্রাস পায়।”