ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিলো চীনের নতুন মহাকাশযান

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিয়ে একই দিনে অক্ষত অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরেছে চীনের নতুন মহাকাশযান। এই ঘটনাকে পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির বিকাশে বড় পদক্ষেপ বলে বিবৃতি দিয়েছে চীন। তবে নতুন মহাকাশযান এবং সেটির উড্ডয়ন/অবতরণের কোনো ছবি বা ভিডিও, এমনকি এর গমনপথ নিয়ে গণমাধ্যমগুলোকে কোনো তথ্য দেয়নি চীন কর্তৃপক্ষ।
‘চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন’ (সিএএসসি) এর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করে উত্তরপশ্চিম চীন থেকে। নির্ধারিত কার্যপ্রণালী মেনে ফ্লাইট শেষে মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফিরে আসে ওই দিনই। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিএএসসি। চীন সরকারের জন্য মিসাইল সিস্টেমের মতো মারণাস্ত্র থেকে শুরু করে নতুন মহাকাশযানের নকশা ও নির্মাণসহ অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উপর। নতুন মহাকাশযানটি পৃথিবীতে “আনুভূমিকভাবে” অবতরণ করেছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে হলে একটি মহাকাশযানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে অন্তত একশ’ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে হয়। তবে চীনের মহাকাশযানটি ঠিক কত কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল– সিএএসসি সেই তথ্য প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
“পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির এই বিকাশ, মহাকাশ অভিযানে সক্ষম শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে চীনের আত্মপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক”, মন্তব্য করেছে সিএএসসি। অন্যদিকে রয়টার্স মন্তব্য করেছে, পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটের কারণে বাড়বে মহাকাশে মিশনের সংখ্যা আর কমবে মিশনের খরচ । ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চীন কক্ষপথে একটি পরীক্ষামূলক মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। মিশন শেষে দুই দিন পর পৃথিবীতে ফিরেছিল যানটি। অন্যদিকে, নতুন মহাকাশযান নিয়ে চীনের সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে। চীন ইউএস এয়ার ফোর্সের এক্স-৩৭বি এর মতো দীর্ঘ সময় কক্ষপথে থাকতে এবং মিশন শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভূপৃষ্ঠে ফিরতে সক্ষম মহাকাশযান তৈরির চেষ্টা করছে এমনটা আঁচ করেছিলেন অনেকেই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিলো চীনের নতুন মহাকাশযান

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

প্রত্যাশা ডেস্ক : ওজনহীনতার অভিজ্ঞতা নিয়ে একই দিনে অক্ষত অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরেছে চীনের নতুন মহাকাশযান। এই ঘটনাকে পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির বিকাশে বড় পদক্ষেপ বলে বিবৃতি দিয়েছে চীন। তবে নতুন মহাকাশযান এবং সেটির উড্ডয়ন/অবতরণের কোনো ছবি বা ভিডিও, এমনকি এর গমনপথ নিয়ে গণমাধ্যমগুলোকে কোনো তথ্য দেয়নি চীন কর্তৃপক্ষ।
‘চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কর্পোরেশন’ (সিএএসসি) এর তথ্য অনুসারে, শুক্রবার মহাকাশযানটি যাত্রা শুরু করে উত্তরপশ্চিম চীন থেকে। নির্ধারিত কার্যপ্রণালী মেনে ফ্লাইট শেষে মহাকাশযানটি পৃথিবীতে ফিরে আসে ওই দিনই। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সিএএসসি। চীন সরকারের জন্য মিসাইল সিস্টেমের মতো মারণাস্ত্র থেকে শুরু করে নতুন মহাকাশযানের নকশা ও নির্মাণসহ অনেক গুরুদায়িত্ব রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির উপর। নতুন মহাকাশযানটি পৃথিবীতে “আনুভূমিকভাবে” অবতরণ করেছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করতে হলে একটি মহাকাশযানকে ভূপৃষ্ঠ থেকে অন্তত একশ’ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে হয়। তবে চীনের মহাকাশযানটি ঠিক কত কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল– সিএএসসি সেই তথ্য প্রকাশ করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
“পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির এই বিকাশ, মহাকাশ অভিযানে সক্ষম শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে চীনের আত্মপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক”, মন্তব্য করেছে সিএএসসি। অন্যদিকে রয়টার্স মন্তব্য করেছে, পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেটের কারণে বাড়বে মহাকাশে মিশনের সংখ্যা আর কমবে মিশনের খরচ । ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চীন কক্ষপথে একটি পরীক্ষামূলক মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। মিশন শেষে দুই দিন পর পৃথিবীতে ফিরেছিল যানটি। অন্যদিকে, নতুন মহাকাশযান নিয়ে চীনের সামাজিক মাধ্যমে নানা মন্তব্য করেছেন অনেকে। চীন ইউএস এয়ার ফোর্সের এক্স-৩৭বি এর মতো দীর্ঘ সময় কক্ষপথে থাকতে এবং মিশন শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভূপৃষ্ঠে ফিরতে সক্ষম মহাকাশযান তৈরির চেষ্টা করছে এমনটা আঁচ করেছিলেন অনেকেই।