ঢাকা ০৬:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

এ বছরও ধস নামবে মোবাইল ফোন, পিসি’র বাজারে?

  • আপডেট সময় : ১০:৪২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ধস নামতে পারে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের বাজারে। আর ফোনের বেলায় এরইমধ্যে দশকের সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার এই সম্ভাব্য ধসের কথা জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা কোম্পানি গার্টনার। তাদের অনুমান বলছে, এই বছর মোবাইল ফোনের সরবরাহ ২০২২ সালের একশ ৪০ কোটি ইউনিট থেকে চার শতাংশ কমে গিয়ে ঠেকতে পারে একশ ৩৪ কোটি ইউনিটে। গার্টনারের হিসাবে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল একশ ৪৩ কোটি ইউনিট।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এটি ২০০৯ সালের সরবরাহ সংখ্যার কাছাকাছি। সে সময় ফোনের বাজারে ব্ল্যাকবেরি ও নকিয়ার নেতৃত্ব থাকলেও অ্যাপল তাদের একচেটিয়া রাজত্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৫ সালে একশ ৯০ কোটি ইউনিটের সরবরাহ স্পর্শ করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছিল মোবাইল ফোনের বাজার। গার্টনারের গবেষণা পরিচালক রানজিত আতওয়াল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোভিড মহামারি এমন এক মৌলিক পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে বাসা থেকে কাজ করা লোকজনের ঘন ঘন ফোন বদলানোর প্রবণতা বন্ধ হয়ে যায়।
“গ্রাহকরা প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত বাড়তি সময় পুরোনো ফোন ধরে রাখছেন। নতুন কোনো অর্থপূর্ণ প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতে তারা নির্দিষ্ট সেবা প্যাকেজের বদলে নমনীয় প্যাকেজের দিকে গিয়েছেন।” –বলেন তিনি। মহামারি চলাকালীন স্মার্টফোন ও পিসি’র চাহিদা প্রাথমিকভাবে বাড়লেও গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি ফের কমতে শুরু করে। বৈশ্বিক সুদের হার ও জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যপক হারে কমেছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে স্যামসাং থেকে শুরু করে অ্যাপলের মতো কোম্পানিতেও। গার্টনার আরও বলছে, ২০২২ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সরবরাহ ১৬ শতাংশ কমলেও এই বছর তা কমতে পারে ছয় দশমিক আট শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে সেরা তিন পিসি নির্মাতা কোম্পানি হলো লেনোভো, এইচপি ও ডেল। গার্টনার বলেছে, ডিভাইস বাজারে মন্দার কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রত্যাশার পাশাপাশি ভোক্তা ও ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধির গতিও তুলনামূলক কমে আসবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এ বছরও ধস নামবে মোবাইল ফোন, পিসি’র বাজারে?

আপডেট সময় : ১০:৪২:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

প্রযুক্তি ডেস্ক : টানা দ্বিতীয় বছরের মতো ধস নামতে পারে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও মোবাইল ফোনের বাজারে। আর ফোনের বেলায় এরইমধ্যে দশকের সবচেয়ে বাজে ফলাফল দেখা গেছে।
গত মঙ্গলবার এই সম্ভাব্য ধসের কথা জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা কোম্পানি গার্টনার। তাদের অনুমান বলছে, এই বছর মোবাইল ফোনের সরবরাহ ২০২২ সালের একশ ৪০ কোটি ইউনিট থেকে চার শতাংশ কমে গিয়ে ঠেকতে পারে একশ ৩৪ কোটি ইউনিটে। গার্টনারের হিসাবে ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল একশ ৪৩ কোটি ইউনিট।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, এটি ২০০৯ সালের সরবরাহ সংখ্যার কাছাকাছি। সে সময় ফোনের বাজারে ব্ল্যাকবেরি ও নকিয়ার নেতৃত্ব থাকলেও অ্যাপল তাদের একচেটিয়া রাজত্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ২০১৫ সালে একশ ৯০ কোটি ইউনিটের সরবরাহ স্পর্শ করে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছিল মোবাইল ফোনের বাজার। গার্টনারের গবেষণা পরিচালক রানজিত আতওয়াল এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কোভিড মহামারি এমন এক মৌলিক পরিবর্তনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে বাসা থেকে কাজ করা লোকজনের ঘন ঘন ফোন বদলানোর প্রবণতা বন্ধ হয়ে যায়।
“গ্রাহকরা প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘ সময় অর্থাৎ ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত বাড়তি সময় পুরোনো ফোন ধরে রাখছেন। নতুন কোনো অর্থপূর্ণ প্রযুক্তির অনুপস্থিতিতে তারা নির্দিষ্ট সেবা প্যাকেজের বদলে নমনীয় প্যাকেজের দিকে গিয়েছেন।” –বলেন তিনি। মহামারি চলাকালীন স্মার্টফোন ও পিসি’র চাহিদা প্রাথমিকভাবে বাড়লেও গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এটি ফের কমতে শুরু করে। বৈশ্বিক সুদের হার ও জীবনযাত্রার খরচ বেড়ে যাওয়ায় স্মার্টফোনের চাহিদা ব্যপক হারে কমেছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে স্যামসাং থেকে শুরু করে অ্যাপলের মতো কোম্পানিতেও। গার্টনার আরও বলছে, ২০২২ সালে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সরবরাহ ১৬ শতাংশ কমলেও এই বছর তা কমতে পারে ছয় দশমিক আট শতাংশ পর্যন্ত। বর্তমানে সেরা তিন পিসি নির্মাতা কোম্পানি হলো লেনোভো, এইচপি ও ডেল। গার্টনার বলেছে, ডিভাইস বাজারে মন্দার কারণে ২০২৩ সালের অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রত্যাশার পাশাপাশি ভোক্তা ও ব্যবসায়িক খরচ বৃদ্ধির গতিও তুলনামূলক কমে আসবে।