ঢাকা ০৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

এ দশকেই বছরে সাড়ে পাঁচশ ভয়াবহ দুর্যোগ দেখবে পৃথিবী

  • আপডেট সময় : ১১:৪২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবজাতির জন্য কী ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেই উপলব্ধি না থাকার কারণে মানুষ এমন কাজ করে থাকে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব কাজ বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে বিশ্বকে। ফলে বাড়ছে দুর্যোগের সংখ্যা। এ পরিস্থিতিতে এ দশকেই সাড়ে পাঁচশ ভয়াবহ দুর্যোগ দেখতে হবে পৃথিবীবাসীকে। এ তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বিষয়গুলো দ্রুত অনুধাবন করতে না পারলে দুর্যোগ ও বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হয়ে যেতে পারে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনবিষয়ক দপ্তরের (ইউএনডিআরআর) এক প্রতিবেদনে এ সতর্কতা দেয়া হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত দুই দশকে প্রতিবছর ৩৫০ থেকে ৫০০টি মধ্যম থেকে ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হয়েছে বিশ্ববাসী, যা আগের তিন দশকের গড় দুর্যোগের পাঁচ গুণেরও বেশি।
দুর্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ খরা, বন্যা, বাড়তি তাপমাত্রা। এসব দুর্যোগ সম্প্রতি ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে বিশ্বে। শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত উদ্বেগের তথ্য হল- ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এমন দুর্যোগের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বছরে ৫৬০টিতে; যা দৈনিক গড়ে দুটির কাছাকাছি। বিবৃতিতে ইউএনডিআরআর বিশ্বজুড়ে দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে দুর্যোগের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধিগত সমস্যাকে দেখানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেকেই মনে করেন, তারা সহজেই দুর্যোগ জয় করতে পারবেন। এমনকি অনেক সময় সাংগঠনিক কিংবা রাষ্ট্রীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও এমন মানসিকতা দেখা যায় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইউএনডিআরআর। বলা হয়, এসব সিদ্ধান্তে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ঝুঁকির দিকটিতে মনোযোগ না দিয়ে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকা-কে অগ্রাধিকার দেয়ায় তা অনেক সময় ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। দুর্যোগ ঝুঁকি নিয়ে এমন আচরণে মানুষ নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এ দশকেই বছরে সাড়ে পাঁচশ ভয়াবহ দুর্যোগ দেখবে পৃথিবী

আপডেট সময় : ১১:৪২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানবজাতির জন্য কী ঝুঁকি তৈরি হতে পারে সেই উপলব্ধি না থাকার কারণে মানুষ এমন কাজ করে থাকে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব কাজ বিপর্যয়ের মুখে ফেলছে বিশ্বকে। ফলে বাড়ছে দুর্যোগের সংখ্যা। এ পরিস্থিতিতে এ দশকেই সাড়ে পাঁচশ ভয়াবহ দুর্যোগ দেখতে হবে পৃথিবীবাসীকে। এ তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বিষয়গুলো দ্রুত অনুধাবন করতে না পারলে দুর্যোগ ও বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হয়ে যেতে পারে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনবিষয়ক দপ্তরের (ইউএনডিআরআর) এক প্রতিবেদনে এ সতর্কতা দেয়া হয়। প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত দুই দশকে প্রতিবছর ৩৫০ থেকে ৫০০টি মধ্যম থেকে ভয়াবহ দুর্যোগের শিকার হয়েছে বিশ্ববাসী, যা আগের তিন দশকের গড় দুর্যোগের পাঁচ গুণেরও বেশি।
দুর্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ খরা, বন্যা, বাড়তি তাপমাত্রা। এসব দুর্যোগ সম্প্রতি ঘন ঘন দেখা যাচ্ছে বিশ্বে। শুধু তা-ই নয়, আগামী দিনগুলোতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত উদ্বেগের তথ্য হল- ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে এমন দুর্যোগের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বছরে ৫৬০টিতে; যা দৈনিক গড়ে দুটির কাছাকাছি। বিবৃতিতে ইউএনডিআরআর বিশ্বজুড়ে দুর্যোগ বেড়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ হিসেবে দুর্যোগের ঝুঁকি সম্পর্কে মানুষের উপলব্ধিগত সমস্যাকে দেখানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেকেই মনে করেন, তারা সহজেই দুর্যোগ জয় করতে পারবেন। এমনকি অনেক সময় সাংগঠনিক কিংবা রাষ্ট্রীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও এমন মানসিকতা দেখা যায় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইউএনডিআরআর। বলা হয়, এসব সিদ্ধান্তে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগের ঝুঁকির দিকটিতে মনোযোগ না দিয়ে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকা-কে অগ্রাধিকার দেয়ায় তা অনেক সময় ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। দুর্যোগ ঝুঁকি নিয়ে এমন আচরণে মানুষ নিজেদের ধ্বংস ডেকে আনছে বলে মন্তব্য করেন জাতিসংঘের উপ-মহাসচিব আমিনা মোহাম্মদ।