ক্যাম্পাস ক্যারিয়ার ডেস্ক : খাদ্য প্রকৌশল নিয়ে পড়ার সুযোগ আছে ঢাকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এসইউবি)। বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগে খাদ্যশিল্পের নানা দিক শেখানো হয়। বিভিন্ন প্রকার পানীয়, পাস্তুরিত তরল ও গুঁড়া দুধ, বেকারি ইত্যাদি প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বায়োবর্জ্য কাজে লাগানো কিংবা পরিশোধন ব্যবস্থাপনাও খাদ্যশিল্পের অংশ।
এসইউবির খাদ্য প্রকৌশল বিভাগে খাদ্যশিল্পের জন্য সঠিক জায়গা নির্ধারণ থেকে শুরু করে কারখানার লে-আউট ও ডিজাইন, মেশিন নির্ধারণ ও স্থাপন, পণ্য প্রণয়ন ও উৎপাদন, সময়ের চাহিদা অনুযায়ী নতুন পণ্যের উদ্ভাবন, দীর্ঘদিন নিরাপদ ও গুণগত মান বজায় রাখা, মোড়কজাতকরণ ইত্যাদি শেখানো হয়। এ ছাড়া একটি খাদ্যদ্রব্যের বিভিন্ন জৈব রাসায়নিক উপাদান ও সেগুলোর বৈশিষ্ট্য, গঠন, মানবদেহের জন্য স্বাস্থ্যকর বা ক্ষতিকর কি না, এসব বিষয়ের গবেষণাও বিভাগের পড়ালেখার অন্তর্ভুক্ত। বিভাগীয় প্রধান আনিস আলম সিদ্দিকী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক সমাজে প্রক্রিয়াজাত খাবারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে খাদ্য প্রকৌশলের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কার্যক্রমের সিলেবাস আধুনিক বিশ্বের খাদ্যশিল্পের সার্বিক উন্নয়নের কথা চিন্তা করেই সাজানো হয়েছে।
খাদ্য প্রকৌশলের বিভিন্ন কোর্সের মধ্যে রয়েছে ইউনিট অপারেশন, থার্মোডায়নামিক ও ফ্লুইড মেকানিকস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল লে-আউট অ্যান্ড ডিজাইন, ডেইরি ইঞ্জিনিয়ারিং, সিরিয়াল টেকনোলোজি, পুষ্টি ইত্যাদি। চতুর্থ বর্ষে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে শেখার জন্য খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে তিন মাস মেয়াদি ইন্টার্নশিপের সুযোগ পান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এখন খাদ্য প্রকৌশলের ৫১তম ব্যাচ চলছে। ১২ শতাধিক স্নাতক এ বিষয়ে পড়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত আছেন।
এসইউবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তির প্রাক্তন ছাত্রী তাসমিয়া বারী বর্তমানে নিজ বিভাগেই শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আমাদের অ্যালামনাইরা দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। ভিনদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণায়ও যুক্ত আছেন কেউ কেউ। অনেকে বাংলাদেশে খাদ্যশিল্পের কারখানায় সম্মানের সঙ্গে কাজ করছেন। এই পরিবারের অংশ হতে পেরে আমি গর্বিত।’ বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আছে এসইউবির। খাদ্য প্রকৌশল বিভাগে বিএসসি (চার বছর) ও এমএসসি (এক বছর) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারেন। বিস্তারিত জানা যাবে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে: িি.িংঁন.বফঁ.নফ
এসইউবিতে খাদ্য প্রকৌশলে পড়ার সুযোগ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ