ঢাকা ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার যেসব দেশে বাড়ছে ডেলটার সংক্রমণ

  • আপডেট সময় : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে মে মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল তুঙ্গে। সে সময় সংক্রমণ ছিল চার লাখের বেশি। এই সংক্রমণ এখন কমতে শুরু করেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৭০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫৫৩ জন। সেখানে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল ডেলটা ভেরিয়েন্ট। ভারতে এখন সংক্রমণ কমে এলেও এশিয়ার অন্য দেশগুলোয় এই ভেরিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। বিবিসির এক বিশ্লেষণে এসব দেশে সংক্রমণের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
ডেলটার ভেরিয়েন্টের প্রভাবে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সংকট প্রকট হয়েছে।
এশিয়ায় যেমন সংক্রমণ বাড়ছে, সেই তুলনায় করোনার টিকা দেওয়ার হার কম। ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এ পর্যন্ত যেসব ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ভারতে শনাক্ত ভেরিয়েন্টটি সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায়।
ভারত ছাড়াও যে কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া বাকি তিন দেশে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এই তিন দেশের মধ্যে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল নেপালে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে পড়েছিল।
ভারতের পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ আফগানিস্তানে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে গত জুনে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াজিদ মাজরুহ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ৬০ শতাংশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দায়ী ডেলটা ভেরিয়েন্ট। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই ভেরিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে।
ইন্দোনেশিয়া
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন কার্যকর রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। ২০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। গত জুনের শুরুর দিকে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই সময় সরকার বলেছিল, ডেলটা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত তিন সপ্তাহের নমুনা থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ডেলটা ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশটিতে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তবে খুব বেশি যে অগ্রগতি হয়েছে, এমনটা নয়। এ পর্যন্ত ৫ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো টিকাদানের নতুন একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি চাইছেন, এক দিনে ১০ লাখ টিকা দিতে। আর আগস্টে গিয়ে এই টিকাদানের হার দ্বিগুণ করতে চান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে। এ ছাড়া হাসপাতালে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের সংকট বেড়েছে দেশটিতে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ১৬তম অবস্থানে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন ৬১ হাজারের বেশি করোনা রোগী।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশেও করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি কেমন তা বোঝা যায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য থেকে। আইইডিসিআর বলছে, দেশে গত মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশের দেহে ভারতে শনাক্ত হওয়া ‘ডেলটা’ ধরন পাওয়া গেছে। গত রোববার তারা এ তথ্য জানিয়েছে। ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্টের (ধরন) সর্বশেষ তথ্য’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে আইইডিসিআর বলেছে, এখন দেশে করোনার এই ধরনের সুস্পষ্ট প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ডেলটা ধরন শনাক্ত হওয়ার পর এর হার বাড়তে শুরু করে। মে মাসে এ ধরন ৪৫ শতাংশ এবং জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনা শনাক্ত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, দেশটিতে করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহেই তারা বলেছে, রাজধানী ব্যাংককে সংক্রমিত রোগীর ২৬ শতাংশ ডেলটা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। কিন্তু এরপরও পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে থাইল্যান্ড। এই দেশটি প্রথম পর্যটকদের কোয়ারেন্টিন ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিল। যদিও দেশটিতে টিকাদানের হার কম। এ পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন এমন নাগরিকের সংখ্যা ৪ শতাংশ।
মঙ্গোলিয়া
এশিয়ায় যে দেশগুলো টিকাদানে এগিয়ে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মঙ্গোলিয়া। দেশটির এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এসব টিকার অধিকাংশই চীনের সিনোফার্মের তৈরি। তবে দেশটিতে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর কিছু কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের টিকা কার্যকর না হওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সরকার। তারা বলছে, লকডাউন প্রত্যাহার করায় বাড়ছে সংক্রমণ।

রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের সাগরে ২৮ আরোহীসহ বিমান বিধ্বস্ত

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এশিয়ার যেসব দেশে বাড়ছে ডেলটার সংক্রমণ

আপডেট সময় : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে মে মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছিল তুঙ্গে। সে সময় সংক্রমণ ছিল চার লাখের বেশি। এই সংক্রমণ এখন কমতে শুরু করেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪ হাজার ৭০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫৫৩ জন। সেখানে সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রেখেছিল ডেলটা ভেরিয়েন্ট। ভারতে এখন সংক্রমণ কমে এলেও এশিয়ার অন্য দেশগুলোয় এই ভেরিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। বিবিসির এক বিশ্লেষণে এসব দেশে সংক্রমণের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
ডেলটার ভেরিয়েন্টের প্রভাবে ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। দেশটিতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সংকট প্রকট হয়েছে।
এশিয়ায় যেমন সংক্রমণ বাড়ছে, সেই তুলনায় করোনার টিকা দেওয়ার হার কম। ফলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, এ পর্যন্ত যেসব ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ভারতে শনাক্ত ভেরিয়েন্টটি সবচেয়ে দ্রুত ছড়ায়।
ভারত ছাড়াও যে কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে এই ভেরিয়েন্ট ছড়িয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়া বাকি তিন দেশে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। এই তিন দেশের মধ্যে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল নেপালে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঝুঁকির মুখে পড়েছিল।
ভারতের পার্শ্ববর্তী আরেক দেশ আফগানিস্তানে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করে গত জুনে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওয়াজিদ মাজরুহ জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ৬০ শতাংশ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দায়ী ডেলটা ভেরিয়েন্ট। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এই ভেরিয়েন্টের কারণে ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে।
ইন্দোনেশিয়া
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউন কার্যকর রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। ২০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে। গত জুনের শুরুর দিকে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। ওই সময় সরকার বলেছিল, ডেলটা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত তিন সপ্তাহের নমুনা থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা রোগীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ডেলটা ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশটিতে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তবে খুব বেশি যে অগ্রগতি হয়েছে, এমনটা নয়। এ পর্যন্ত ৫ শতাংশ নাগরিককে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো টিকাদানের নতুন একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। তিনি চাইছেন, এক দিনে ১০ লাখ টিকা দিতে। আর আগস্টে গিয়ে এই টিকাদানের হার দ্বিগুণ করতে চান তিনি।
ইন্দোনেশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট বলেছে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে। এ ছাড়া হাসপাতালে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। অক্সিজেনের সংকট বেড়েছে দেশটিতে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় ১৬তম অবস্থানে ইন্দোনেশিয়া। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর মারা গেছেন ৬১ হাজারের বেশি করোনা রোগী।
বাংলাদেশ
বাংলাদেশেও করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতি কেমন তা বোঝা যায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য থেকে। আইইডিসিআর বলছে, দেশে গত মাসে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশের দেহে ভারতে শনাক্ত হওয়া ‘ডেলটা’ ধরন পাওয়া গেছে। গত রোববার তারা এ তথ্য জানিয়েছে। ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভেরিয়েন্টের (ধরন) সর্বশেষ তথ্য’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে আইইডিসিআর বলেছে, এখন দেশে করোনার এই ধরনের সুস্পষ্ট প্রাধান্য দেখা যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে ডেলটা ধরন শনাক্ত হওয়ার পর এর হার বাড়তে শুরু করে। মে মাসে এ ধরন ৪৫ শতাংশ এবং জুন মাসে ৭৮ শতাংশ নমুনা শনাক্ত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশজুড়ে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, দেশটিতে করোনার ডেলটা ভেরিয়েন্টের প্রভাবে সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি সপ্তাহেই তারা বলেছে, রাজধানী ব্যাংককে সংক্রমিত রোগীর ২৬ শতাংশ ডেলটা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত। কিন্তু এরপরও পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে থাইল্যান্ড। এই দেশটি প্রথম পর্যটকদের কোয়ারেন্টিন ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিল। যদিও দেশটিতে টিকাদানের হার কম। এ পর্যন্ত দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন এমন নাগরিকের সংখ্যা ৪ শতাংশ।
মঙ্গোলিয়া
এশিয়ায় যে দেশগুলো টিকাদানে এগিয়ে রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মঙ্গোলিয়া। দেশটির এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মানুষকে পুরোপুরি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এসব টিকার অধিকাংশই চীনের সিনোফার্মের তৈরি। তবে দেশটিতে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর কিছু কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের টিকা কার্যকর না হওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে সরকার। তারা বলছে, লকডাউন প্রত্যাহার করায় বাড়ছে সংক্রমণ।

রাশিয়ার দূর প্রাচ্যের সাগরে ২৮ আরোহীসহ বিমান বিধ্বস্ত