ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এলজিবিটিকিউ-দের ‘মানসিকঅসুস্থ’ বলতে দেবে মেটা

  • আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্ল্যাটফর্মে হেইট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের গাইডলাইনে বড় পরিবর্তন এনেছে মেটা। এর আওতায় কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে বা এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলার অনুমতি দেবে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার নিজেদের ‘মডারেশন পলিসি অ্যান্ড প্রাকটিস’-এ আনা নানা পরিবর্তনের মধ্যে এটি অন্যতম বড় পরিবর্তন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

এতোদিন ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস-এ কারও বুদ্ধি বা মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে অবমাননার বিষয়টি নিষিদ্ধ ছিল। তবে, সর্বশেষ নির্দেশিকায় এখন এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের সমকামী বা হিজড়া হওয়ার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ বলা যাবে এমন বিষয় সম্প্রতি যোগ করেছে মেটা।

কোম্পানির সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “লিঙ্গ বা যৌন পছন্দের ওপর ভিত্তি করে আমরা মানসিক অসুস্থতা বা অস্বাভাবিকতার অভিযোগকে অনুমোদন দিচ্ছি।

কারণ ট্রান্সজেন্ডারিজম ও সমকামিতা সম্পর্কে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আলোচনা এবং উইয়ার্ড শব্দের ব্যবহারের বিষয়টি সাধারণত তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

নতুন ‘হেইট স্পিচ’ নির্দেশিকায় পরিবর্তনের দীর্ঘ তালিকার মধ্যে আরও রয়েছে জাতি, জাতিগত বিষয়, প্রতিবন্ধীতা, ধর্মীয়, বর্ণ, যৌন দৃষ্টিভঙ্গি, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় ও গুরুতর রোগের উপর ভিত্তি করে কোনও ব্যক্তির চেহারা সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য নিষিদ্ধ করে এমন বিভিন্ন নিয়ম সরিয়ে ফেলার বিষয়টিও।

মেটা এমন নীতিও বাতিল করেছে, যেখানে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ ও ব্যবহারকারীদের হিজড়া বা ননবাইনারি ব্যক্তিদের বেলায় ‘এটি’ সর্বনাম ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।

এলজিবিটিকিউ অধিকার সংগঠন জিএলএএডি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সারাহ কেট এলিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ঘৃণা ও বিদ্বেষ রোধে দরকারি এই নীতিমালা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে মেটা এলজিবিটিকিউ ব্যক্তি, নারী, অভিবাসী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা, নিন্দা এবং অমানবিক আচরণের লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিচ্ছে মেটা।”

“এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবহারকারীদের ও সত্যিকারের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এলজিবিটিকিউদের প্রতি ঘৃণাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলছে মেটা। কোম্পানিটির ফ্যাক্ট-চেকিং ও হেইট স্পিচ পলিসি মানুষের বাকস্বাধীনতাকে সুরক্ষা দিচ্ছিল।

” তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এনবিসির অনুরোধে সাড়া দেননি মেটার এক মুখপাত্র। প্রযুক্তি কোম্পানি ও এর নির্বাহী প্রধানরা সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক তহবিলে ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে অ্যামাজন, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান’সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও এর প্রধানরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলার সংকট-লোডশেডিং,গাজীপুরে বন্ধ হয়ে গেল ৪০ বছরের পুরোনো কারখানা

এলজিবিটিকিউ-দের ‘মানসিকঅসুস্থ’ বলতে দেবে মেটা

আপডেট সময় : ০৭:৪০:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : প্ল্যাটফর্মে হেইট স্পিচ বা বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের গাইডলাইনে বড় পরিবর্তন এনেছে মেটা। এর আওতায় কোটি কোটি ব্যবহারকারীকে তাদের লিঙ্গ পরিচয়ের ভিত্তিতে বা এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের মানসিকভাবে অসুস্থ বলার অনুমতি দেবে কোম্পানিটি।

মঙ্গলবার নিজেদের ‘মডারেশন পলিসি অ্যান্ড প্রাকটিস’-এ আনা নানা পরিবর্তনের মধ্যে এটি অন্যতম বড় পরিবর্তন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

এতোদিন ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস-এ কারও বুদ্ধি বা মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কে অবমাননার বিষয়টি নিষিদ্ধ ছিল। তবে, সর্বশেষ নির্দেশিকায় এখন এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের সমকামী বা হিজড়া হওয়ার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ বলা যাবে এমন বিষয় সম্প্রতি যোগ করেছে মেটা।

কোম্পানির সংশোধিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “লিঙ্গ বা যৌন পছন্দের ওপর ভিত্তি করে আমরা মানসিক অসুস্থতা বা অস্বাভাবিকতার অভিযোগকে অনুমোদন দিচ্ছি।

কারণ ট্রান্সজেন্ডারিজম ও সমকামিতা সম্পর্কে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আলোচনা এবং উইয়ার্ড শব্দের ব্যবহারের বিষয়টি সাধারণত তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

নতুন ‘হেইট স্পিচ’ নির্দেশিকায় পরিবর্তনের দীর্ঘ তালিকার মধ্যে আরও রয়েছে জাতি, জাতিগত বিষয়, প্রতিবন্ধীতা, ধর্মীয়, বর্ণ, যৌন দৃষ্টিভঙ্গি, লিঙ্গ, লিঙ্গ পরিচয় ও গুরুতর রোগের উপর ভিত্তি করে কোনও ব্যক্তির চেহারা সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য নিষিদ্ধ করে এমন বিভিন্ন নিয়ম সরিয়ে ফেলার বিষয়টিও।

মেটা এমন নীতিও বাতিল করেছে, যেখানে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ ও ব্যবহারকারীদের হিজড়া বা ননবাইনারি ব্যক্তিদের বেলায় ‘এটি’ সর্বনাম ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।

এলজিবিটিকিউ অধিকার সংগঠন জিএলএএডি’র প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সারাহ কেট এলিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ঘৃণা ও বিদ্বেষ রোধে দরকারি এই নীতিমালা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে মেটা এলজিবিটিকিউ ব্যক্তি, নারী, অভিবাসী ও অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীর প্রতি সহিংসতা, নিন্দা এবং অমানবিক আচরণের লক্ষ্যবস্তু বানানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিচ্ছে মেটা।”

“এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজেদের ব্যবহারকারীদের ও সত্যিকারের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য এলজিবিটিকিউদের প্রতি ঘৃণাকে গ্রহণযোগ্য করে তুলছে মেটা। কোম্পানিটির ফ্যাক্ট-চেকিং ও হেইট স্পিচ পলিসি মানুষের বাকস্বাধীনতাকে সুরক্ষা দিচ্ছিল।

” তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এনবিসির অনুরোধে সাড়া দেননি মেটার এক মুখপাত্র। প্রযুক্তি কোম্পানি ও এর নির্বাহী প্রধানরা সুসম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।

গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিষেক তহবিলে ১০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে অ্যামাজন, অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক ও ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান’সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও এর প্রধানরা।