ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫

এলজিইডির দুটি সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তমঞ্চ যেন রূপ নিয়েছে এক জীবন্ত চিত্রশালায়। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার লাল ফুলের সৌন্দর্য। তা উপভোগ করতে প্রতিদিন সকাল থেকেই মুক্তমঞ্চে আসছেন তরুণ-তরুণী, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। মুক্তমঞ্চ ঘিরে থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো এখন ফুলে ফুলে ভরা। ঝরে পড়া ফুলে রাস্তার ধারে তৈরি হয়েছে এক লাল গালিচা আজকের প্রত্যাশা

পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীতে দীর্ঘদিন ধরে এলজিইডির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় স্টার্ন্ড ওয়ারের বা ক্যাবল আমদানি বন্ধ থাকায় সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে নির্মাণকাজে যেমন দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে, তেমনি স্থানীয় বাসিন্দারাও সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির ‘পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ (সিআইবিআরআর) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় ৪৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালে। এক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর এ বছর ৩০ জুন সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ অনেকটাই থমকে আছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ডার নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা ১২.৭ মিলিমিটার স্টার্ন্ড ওয়ারের আমদানি বন্ধ থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা এই ক্যাবল না আশা পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব হবে না। এর ফলে সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য সাটারিং করা হলেও ক্যাবল সংকটে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ আছে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণাধীন এই সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারাও হতাশা প্রকাশ করেছেন। নির্ধারিত সময় সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা।
দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুর রহমান বলেন, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পারের মানুষকে ওপারে যেতে নৌকায় পার হতে হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার বিষয়ে প্রধান কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য এই ক্যাবলগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। যে মাপের ক্যাবল ধরা আছে তা এখন মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়ত সম্ভব হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা লাগতে পারে।
সেতু দুটির নির্মাণ হলে জেলা শহরের সঙ্গে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এলজিইডির দুটি সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধে দুর্ভোগে এলাকাবাসী

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীতে দীর্ঘদিন ধরে এলজিইডির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় স্টার্ন্ড ওয়ারের বা ক্যাবল আমদানি বন্ধ থাকায় সেতুর নির্মাণ কাজ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে নির্মাণকাজে যেমন দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে, তেমনি স্থানীয় বাসিন্দারাও সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির ‘পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ’ (সিআইবিআরআর) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলায় ৪৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ শুরু হয় ২০২০ সালে। এক দফা মেয়াদ বৃদ্ধি করার পর এ বছর ৩০ জুন সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ব্রিজের নির্মাণ কাজ অনেকটাই থমকে আছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলছেন, গার্ডার নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা ১২.৭ মিলিমিটার স্টার্ন্ড ওয়ারের আমদানি বন্ধ থাকায় সংকট তৈরি হয়েছে। চীন থেকে আমদানি করা এই ক্যাবল না আশা পর্যন্ত কাজ করা সম্ভব হবে না। এর ফলে সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য সাটারিং করা হলেও ক্যাবল সংকটে ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ আছে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণাধীন এই সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারাও হতাশা প্রকাশ করেছেন। নির্ধারিত সময় সেতুর কাজ শেষ করার দাবি জানান তারা।
দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুর রহমান বলেন, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পারের মানুষকে ওপারে যেতে নৌকায় পার হতে হয়। স্কুলে যাওয়ার সময় ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরাও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত।
পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হোসেন আলী মীর জানান, এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যার বিষয়ে প্রধান কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। সেতুর গার্ডার নির্মাণের জন্য এই ক্যাবলগুলো চীন থেকে আমদানি করা হয়ে থাকে। যে মাপের ক্যাবল ধরা আছে তা এখন মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়ত সম্ভব হবে না। প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা লাগতে পারে।
সেতু দুটির নির্মাণ হলে জেলা শহরের সঙ্গে গলাচিপা ও দশমিনা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা স্থানীয় অর্থনীতি ও জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।