ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক সংসদ সদস্য, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্ব ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর এই জোট। শরিকদলগুলোর চেয়ারম্যানরা জোটের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জোটের আত্মপ্রকাশকালে স্বাগত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দিনে-দিনে উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের অবারিত মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস জনগণের জীবন। হাসপাতালে-হাসপাতালে মৃত্যুর রোনাজারি। প্রশাসনে নানারকম অনিয়ম, দুর্নীতি।’
তিনি বলেন, ‘এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। একইভাবে সংবিধানসম্মত উপায়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া শুরু করার আহŸান জানাই।’ তিনি উল্লেখ করেন, দেশের একটি জরুরি মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। গত প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা অন্তত ২০টি দলের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে অবশেষে ১৫টি দলকে চূড়ান্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্ব›দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতোমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে হাজির করেছে আমাদের সামনে। জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে- ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি; নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ; বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ; বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট; বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি ; বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ; বাংলাদেশ জনমত পার্টি; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বি এন জে পি) ; ইসলামী লিবারেল পার্টি; জনতার কথা বলে; বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি; বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি; সাধারণ ঐক্য আন্দোলন; বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। জোটের কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- মাও হারিছুল হক; সৈয়দ সামসুল আলম হাসু; মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল; প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ; খন্দকার এনামুল নাছির; সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান; ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী; মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি; মো: নাঈম হাসান; ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল; মো. আখতার হোসেন; হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ; মো. আনোয়ার হোসেন; অধ্যক্ষ মো রফিকুল ইসলাম।

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫ দলীয় প্রগতিশীল ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ

আপডেট সময় : ১১:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক সংসদ সদস্য, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্ব ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা দলগুলোর এই জোট। শরিকদলগুলোর চেয়ারম্যানরা জোটের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জোটের আত্মপ্রকাশকালে স্বাগত বক্তব্যে এম এ আউয়াল বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি দিনে-দিনে উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের অবারিত মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস জনগণের জীবন। হাসপাতালে-হাসপাতালে মৃত্যুর রোনাজারি। প্রশাসনে নানারকম অনিয়ম, দুর্নীতি।’
তিনি বলেন, ‘এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। একইভাবে সংবিধানসম্মত উপায়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া শুরু করার আহŸান জানাই।’ তিনি উল্লেখ করেন, দেশের একটি জরুরি মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে প্রগতিশীল, ইসলামী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। গত প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা অন্তত ২০টি দলের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে অবশেষে ১৫টি দলকে চূড়ান্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করছে, একটি গণবিরোধী শক্তি রাজনৈতিক দ্ব›দ্বমুখী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ক্ষমতার ফায়দা লুটতে চায়। ইতোমধ্যে নানা বিদেশি রাষ্ট্র, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের মতো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ শুরু করেছে যার মধ্য দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নকে নতুন করে হাজির করেছে আমাদের সামনে। জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে- ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি; নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ; বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ; বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট; বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি ; বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ; বাংলাদেশ জনমত পার্টি; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বি এন জে পি) ; ইসলামী লিবারেল পার্টি; জনতার কথা বলে; বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি; বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি; সাধারণ ঐক্য আন্দোলন; বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। জোটের কো-চেয়ারম্যানরা হলেন- মাও হারিছুল হক; সৈয়দ সামসুল আলম হাসু; মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল; প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ; খন্দকার এনামুল নাছির; সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান; ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী; মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি; মো: নাঈম হাসান; ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল; মো. আখতার হোসেন; হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ; মো. আনোয়ার হোসেন; অধ্যক্ষ মো রফিকুল ইসলাম।