ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

এমবাপে ও নেইমারের গোলের হ্যাটট্রিক, মেসির অ্যাসিস্টের

  • আপডেট সময় : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ঠিক যেন আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। আবারও একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন পিএসজির আক্রমণভাগের তিন তারকা। হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমার। সতীর্থদের তিনটি গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। ক্লেহমোঁকে উড়িয়ে লিগ টেবিলে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। লিগ ওয়ানে প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে ৬-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। প্রথমার্ধে দুই গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের মধ্যে তারা করেছে চারটি। লিগে প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল প্যারিসের দলটি। সবশেষ দুই রাউন্ডে ১১ গোল করা পিএসজি হজম করেছে দুটি। আগের ম্যাচে লরিয়েঁকে ৫-১ ব্যবধানে হারাতে দুটি করে গোল করেছিলেন এমবাপে ও নেইমার, একটি মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আগেভাগে বিদায়, লিগ ওয়ানে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হার- সব মিলিয়ে পিএসজির সময়টা কাটছিল ভীষণ কঠিন। লিগে পরপর দুই ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে ছন্দে ফিরল তারা। মেসি-নেইমারের নৈপুণ্যে ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। আর্জেন্টাইন তারকার পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ত্রয়োদশ মিনিটে আবারও এই দুই জনের ঝলক। নেইমারের পাস ডি-বক্সের সামনে খুঁজে পায় মেসিকে। কয়েক জনের বাধা এড়িয়ে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শটে বল ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে যায়। আক্রমণত্রয়ীর নৈপুণ্যে ১৯তম মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। বাঁ দিক থেকে নেইমারের ক্রস মেসি বুক দিয়ে নামিয়ে বাড়ান ডি-বক্সে। এমবাপের ডান পায়ের লব এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। দারুণ এক আক্রমণে ৪২তম মিনিটে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাসে কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান জোদেল দুসু। পরক্ষণেই ব্যবধান আবার বাড়তে পারত। ডি-বক্সে এমবাপের কাটব্যাকে বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে দুই জনের মাঝ দিয়ে নেইমারের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান গোলরক্ষক। ৬২তম মিনিটে দারুণ এক সেভ করেন পিএসজির জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জেজন বেরথোমিয়ের জোরাল ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে এমবাপেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। সতীর্থের ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে হেডে জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ৭১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। ডি-বক্সে এমবাপে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। দুই মিনিট পরই স্কোরলাইন ৪-১ করেন এমবাপে। মাঝমাঠের কাছে মেসির পাস পেয়ে নেইমার লম্বা করে বাড়ান ডি-বক্সে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জালে পাঠান ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার। ৮০তম মিনিটে এমবাপে পূর্ণ করেন গোলের হ্যাটট্রিক, আর মেসি অ্যাসিস্টের। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার পাস পেয়ে ওপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। চলতি লিগ ওয়ানে ২৮ ম্যাচে ২০ গোল করে তালিকার শীর্ষে উঠে গেলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। দুই মিনিট পর তার পাস থেকেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার। বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারীদের। ৩১ ম্যাচে ২২ জয় ও ৫ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৭১। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেন। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মার্সেই, এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সংগঠনের প্রতি উমামার কমিটমেন্ট ছিল কি না, প্রশ্ন রিফাতের

এমবাপে ও নেইমারের গোলের হ্যাটট্রিক, মেসির অ্যাসিস্টের

আপডেট সময় : ১১:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ঠিক যেন আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। আবারও একসঙ্গে জ্বলে উঠলেন পিএসজির আক্রমণভাগের তিন তারকা। হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসলেন কিলিয়ান এমবাপে ও নেইমার। সতীর্থদের তিনটি গোলে অবদান রাখলেন লিওনেল মেসি। ক্লেহমোঁকে উড়িয়ে লিগ টেবিলে ১৫ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। লিগ ওয়ানে প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে ৬-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। প্রথমার্ধে দুই গোলের পর দ্বিতীয়ার্ধে ১২ মিনিটের মধ্যে তারা করেছে চারটি। লিগে প্রথম দেখায় গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিল প্যারিসের দলটি। সবশেষ দুই রাউন্ডে ১১ গোল করা পিএসজি হজম করেছে দুটি। আগের ম্যাচে লরিয়েঁকে ৫-১ ব্যবধানে হারাতে দুটি করে গোল করেছিলেন এমবাপে ও নেইমার, একটি মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আগেভাগে বিদায়, লিগ ওয়ানে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হার- সব মিলিয়ে পিএসজির সময়টা কাটছিল ভীষণ কঠিন। লিগে পরপর দুই ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্সে ছন্দে ফিরল তারা। মেসি-নেইমারের নৈপুণ্যে ষষ্ঠ মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। আর্জেন্টাইন তারকার পাস ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
ত্রয়োদশ মিনিটে আবারও এই দুই জনের ঝলক। নেইমারের পাস ডি-বক্সের সামনে খুঁজে পায় মেসিকে। কয়েক জনের বাধা এড়িয়ে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের শটে বল ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে উড়ে যায়। আক্রমণত্রয়ীর নৈপুণ্যে ১৯তম মিনিটে দ্বিগুণ হয় ব্যবধান। বাঁ দিক থেকে নেইমারের ক্রস মেসি বুক দিয়ে নামিয়ে বাড়ান ডি-বক্সে। এমবাপের ডান পায়ের লব এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়ায় জালে। দারুণ এক আক্রমণে ৪২তম মিনিটে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের পাসে কাছ থেকে ফাঁকা জালে বল পাঠান জোদেল দুসু। পরক্ষণেই ব্যবধান আবার বাড়তে পারত। ডি-বক্সে এমবাপের কাটব্যাকে বল পেয়ে একজনকে কাটিয়ে দুই জনের মাঝ দিয়ে নেইমারের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকান গোলরক্ষক। ৬২তম মিনিটে দারুণ এক সেভ করেন পিএসজির জানলুইজি দোন্নারুম্মা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে জেজন বেরথোমিয়ের জোরাল ভলি ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।
পরের মিনিটে এমবাপেকে বল বাড়িয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। সতীর্থের ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে হেডে জালে পাঠান তিনি। কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজান রেফারি। ৭১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান নেইমার। ডি-বক্সে এমবাপে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল পিএসজি। দুই মিনিট পরই স্কোরলাইন ৪-১ করেন এমবাপে। মাঝমাঠের কাছে মেসির পাস পেয়ে নেইমার লম্বা করে বাড়ান ডি-বক্সে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জালে পাঠান ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার। ৮০তম মিনিটে এমবাপে পূর্ণ করেন গোলের হ্যাটট্রিক, আর মেসি অ্যাসিস্টের। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকার পাস পেয়ে ওপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড। চলতি লিগ ওয়ানে ২৮ ম্যাচে ২০ গোল করে তালিকার শীর্ষে উঠে গেলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। দুই মিনিট পর তার পাস থেকেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন নেইমার। বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সফরকারীদের। ৩১ ম্যাচে ২২ জয় ও ৫ ড্রয়ে পিএসজির পয়েন্ট হলো ৭১। সমান ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেন। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে মার্সেই, এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা।