ঢাকা ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

এমবাপের জোড়া গোলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

  • আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ফিনিশিংয়ে নিজের সামর্থ্য দেখালেন কিলিয়ান এমবাপে। জোড়া গোলে বিশ্ব মঞ্চে স্পর্শ করলেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলের কীর্তি। ২৭১ মিনিটের খরা কাটিয়ে একবার সমতা ফেরাল ডেনমার্ক। কিন্তু শেষ সময়ের গোলে সবার আগে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শনিবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে দিদিয়ে দেশমের দল। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। নেশন্স লিগের দুই হারের কথা মনে রেখেই হয়তো তেতে ছিল ফ্রান্স। শুরু থেকেই খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল। ডেনমার্ক বল পায়ে রাখে বেশি, কিন্তু আক্রমণ বেশি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এমবাপের গতি, উসমান দেম্বেলের কারিকুরি আর ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের বিপজ্জনক উপস্থিতি কাঁপন ধরায় ডেনমার্কের রক্ষণে।
বল পেলেই সোজা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে প্রথম ভালো সুযোগটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২১তম মিনিট পর্যন্ত। অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি কিকে আদ্রিওঁ রাবিওর হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান কাসপের স্মাইকেল। একের পর এক আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে থাকে ডেনমার্ক। ৩৪তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্যর্থ করে দেয় ফ্রান্সের দুটি চেষ্টা। জিরুদের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে আচমকা শট নেন গ্রিজমান। তবে প্রস্তুত ছিলেন স্মাইকেল। ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন চেষ্টা। একটু পরে দেম্বেলের শট ব্লক করেন ডেনমার্কের এক খেলোয়াড়। ৩৭তম মিনিটে জিরুদের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর বিপজ্জনক জায়গায় বল পান এমবাপে। বিস্ময়করভাবে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গায় অনেক উপর দিয়ে মারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩ শট নেয় ফ্রান্স, তিনটি ছিল লক্ষ্যে। ডেনমার্কের দুটি শটই হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধে ডেনমার্কও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করলে দারুণ জমে ওঠে লড়াই। সুযোগ বেশি তৈরি করে ফ্রান্স। ৫৬তম মিনিটে এমবাপের শট ফিরিয়ে দেন স্মাইকেল। চার মিনিট পর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে গ্রিজমানের ভলি যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। ৬১তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। থিও এরনঁদেজের সঙ্গে এমবাপের দারুণ বোঝা পড়ার ফসল এই গোল। ওয়ান-টু খেলে ডি-বক্সে ঢুকে যান এমবাপে। বাইলাইন থেকে এসি মিলানের কাটব্যাকে বল ফিরে পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে সারেন বাকিটা।
জুস্ত ফঁতেনের পর ফ্রান্সের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন এমবাপে। সাত মিনিট পর সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। কর্নার থেকে ইওয়াখিম আনাসনের হেডে বল পান আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেন। বার্সেলোনা ডিফেন্ডার দারুণ এক হেডে খুঁজে নেন জাল। লক্ষ্যে এটাই ছিল ডেনিসদের প্রথম চেষ্টা। এতে বিশ্বকাপে ২৭১ মিনিটের গোল-খরা কাটে ডেনমার্কের। আর ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার টানা তিন বিশ্বকাপ ম্যাচে গোল হজম করল ফ্রান্স। ৭৩তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ডেনমার্ক। তবে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ইয়েসপার লিন্ডস্ট্রোমের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন উগো লরিস। ৮৬তম মিনিটে ফের ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন এমবাপে। গ্রিজমানের চমৎকার ক্রসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। খুব বেশি কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের। ২৪ স্পর্শ করার আগে পেলের সর্বোচ্চ ৭ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন এমবাপে। ফাইনালের দুই দিন পর ২৪ পূর্ণ করতে যাওয়া ফরোয়ার্ডের সামনে রেকর্ড নিজের নেওয়ার সুযোগ থাকছেই। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ফ্রান্স। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের দুটি জায়গায় আছে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এমবাপের জোড়া গোলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

আপডেট সময় : ১২:৫৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : ফিনিশিংয়ে নিজের সামর্থ্য দেখালেন কিলিয়ান এমবাপে। জোড়া গোলে বিশ্ব মঞ্চে স্পর্শ করলেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলের কীর্তি। ২৭১ মিনিটের খরা কাটিয়ে একবার সমতা ফেরাল ডেনমার্ক। কিন্তু শেষ সময়ের গোলে সবার আগে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেল ফ্রান্স। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শনিবার ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে দিদিয়ে দেশমের দল। তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। নেশন্স লিগের দুই হারের কথা মনে রেখেই হয়তো তেতে ছিল ফ্রান্স। শুরু থেকেই খেলে আক্রমণাত্মক ফুটবল। ডেনমার্ক বল পায়ে রাখে বেশি, কিন্তু আক্রমণ বেশি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এমবাপের গতি, উসমান দেম্বেলের কারিকুরি আর ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের বিপজ্জনক উপস্থিতি কাঁপন ধরায় ডেনমার্কের রক্ষণে।
বল পেলেই সোজা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে প্রথম ভালো সুযোগটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২১তম মিনিট পর্যন্ত। অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি কিকে আদ্রিওঁ রাবিওর হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান কাসপের স্মাইকেল। একের পর এক আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে থাকে ডেনমার্ক। ৩৪তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্যর্থ করে দেয় ফ্রান্সের দুটি চেষ্টা। জিরুদের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে আচমকা শট নেন গ্রিজমান। তবে প্রস্তুত ছিলেন স্মাইকেল। ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন চেষ্টা। একটু পরে দেম্বেলের শট ব্লক করেন ডেনমার্কের এক খেলোয়াড়। ৩৭তম মিনিটে জিরুদের হেড একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর বিপজ্জনক জায়গায় বল পান এমবাপে। বিস্ময়করভাবে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গায় অনেক উপর দিয়ে মারেন পিএসজি ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ১৩ শট নেয় ফ্রান্স, তিনটি ছিল লক্ষ্যে। ডেনমার্কের দুটি শটই হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। দ্বিতীয়ার্ধে ডেনমার্কও আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করলে দারুণ জমে ওঠে লড়াই। সুযোগ বেশি তৈরি করে ফ্রান্স। ৫৬তম মিনিটে এমবাপের শট ফিরিয়ে দেন স্মাইকেল। চার মিনিট পর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে গ্রিজমানের ভলি যায় ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে। ৬১তম মিনিটে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। থিও এরনঁদেজের সঙ্গে এমবাপের দারুণ বোঝা পড়ার ফসল এই গোল। ওয়ান-টু খেলে ডি-বক্সে ঢুকে যান এমবাপে। বাইলাইন থেকে এসি মিলানের কাটব্যাকে বল ফিরে পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে সারেন বাকিটা।
জুস্ত ফঁতেনের পর ফ্রান্সের মাত্র দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন এমবাপে। সাত মিনিট পর সমতা ফেরায় ডেনমার্ক। কর্নার থেকে ইওয়াখিম আনাসনের হেডে বল পান আন্দ্রেয়াস ক্রিস্তেনসেন। বার্সেলোনা ডিফেন্ডার দারুণ এক হেডে খুঁজে নেন জাল। লক্ষ্যে এটাই ছিল ডেনিসদের প্রথম চেষ্টা। এতে বিশ্বকাপে ২৭১ মিনিটের গোল-খরা কাটে ডেনমার্কের। আর ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার টানা তিন বিশ্বকাপ ম্যাচে গোল হজম করল ফ্রান্স। ৭৩তম মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ডেনমার্ক। তবে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে ইয়েসপার লিন্ডস্ট্রোমের শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন উগো লরিস। ৮৬তম মিনিটে ফের ফ্রান্সকে এগিয়ে নেন এমবাপে। গ্রিজমানের চমৎকার ক্রসে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। খুব বেশি কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের। ২৪ স্পর্শ করার আগে পেলের সর্বোচ্চ ৭ গোলের রেকর্ডে ভাগ বসালেন এমবাপে। ফাইনালের দুই দিন পর ২৪ পূর্ণ করতে যাওয়া ফরোয়ার্ডের সামনে রেকর্ড নিজের নেওয়ার সুযোগ থাকছেই। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ফ্রান্স। ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১ পয়েন্ট করে নিয়ে পরের দুটি জায়গায় আছে ডেনমার্ক ও তিউনিসিয়া।