ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

এমবাপের জোড়া গোলে ডাচদের উড়িয়ে দিল ফ্রান্স

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যে তিনবার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল ফ্রান্স। ভাইরাস সংক্রমণে আগের দিন পাঁচ জন খেলোয়াড়কে হারানো নেদারল্যান্ডস পারল না পাল্টা জবাব দিতে। অনায়াস জয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই শুরু করল দিদিয়ে দেশমের দল। প্যারিসে শুক্রবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে কাতার বিশ্বকাপের রানার্সআপরা। অঁতোয়ান গ্রিজমান দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়দ উপেমেকানো। খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর পর শেষ দিকে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে। অভিজ্ঞ গ্রিজমানকে উপেক্ষা করে এমবাপেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় ফরাসি শিবিরে কিছু অপ্রত্যাশিত সমস্যা সৃষ্টির আভাস মিলেছিল। এমবাপের কথায় গ্রিজমানের ‘অসন্তোষের’ খবরের সত্যতাও উঠে এসেছিল। তবে তারা মাঠে নামতেই যেন এক নিমিষে সমাধান হয়ে গেল সব সমস্যার। এই দুজনের বোঝাপড়ায় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেন গ্রিজমান, সেই সুযোগে কোলো মুয়ানি বল ধরে একটু এগিয়ে বাঁ দিকে খুঁজে নেন এমবাপেকে। তার পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড এমবাপে। অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলেও জড়িয়ে গ্রিজমানের নাম। ডান দিক থেকে তার বক্সে বাড়ানো ক্রসে বল শেষ মুহূর্তে বাঁক খায়, এতে গোলরক্ষক নাগালে পেয়েও ধরতে পারেননি বল। তার বুকে লেগে বল সামনে ছুটে আসা উপেমেকানোর গায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ২১তম মিনিটে আরও এক গোল খেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। অহেলিয়া চুয়ামেনির থ্রু বল ধরতে গিয়ে ডামি করে ছেড়ে দেন মুয়ানি। এরপর বক্সে ফাঁকায় বল ধরে ঠা-া মাথার প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এমবাপে।
অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে উঠছিল সফরকারীরাও, কিন্তু সুবিধা করতে পারছিল না। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত আরও, তবে এ যাত্রায় ইব্রাহিমা কোনাতের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। বিরতির পরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে এমবাপেরা। তেমন উল্লেখযোগ্য সুযোগ যদিও পাচ্ছিল না তারা। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া নেদারল্যান্ডস প্রথমার্ধের মতো পজেশন রেখে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু তারাও পারছিল না আক্রমণে যথেষ্ট কার্যকর হতে। ৭৮তম মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হতে বসেছিল। তবে এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন সিলেসেন। কাতার বিশ্বকাপে আট গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ী এমবাপে ৮৮তম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন। বল পায়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ফ্রান্সের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার উপেমেকানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ব্যবধান কমানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেমফিস ডিপাই। তার শট ঠেকিয়ে দেন উগো লরিসের অবসরের পর ফ্রান্সের মূল গোলরক্ষক হয়ে ওঠা মাইক মিয়াঁ। জাল অক্ষত রেখে দারুণ জয়ের আনন্দে নতুন বছর শুরু করল ফ্রান্স। আগামী সোমবার পরের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। বাছাইয়ে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে একই দিনে জিব্রাল্টার বিপক্ষে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এমবাপের জোড়া গোলে ডাচদের উড়িয়ে দিল ফ্রান্স

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

ক্রীড়া ডেস্ক : ম্যাচ শুরুর ২১ মিনিটের মধ্যে তিনবার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিল ফ্রান্স। ভাইরাস সংক্রমণে আগের দিন পাঁচ জন খেলোয়াড়কে হারানো নেদারল্যান্ডস পারল না পাল্টা জবাব দিতে। অনায়াস জয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই শুরু করল দিদিয়ে দেশমের দল। প্যারিসে শুক্রবার রাতে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে কাতার বিশ্বকাপের রানার্সআপরা। অঁতোয়ান গ্রিজমান দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দায়দ উপেমেকানো। খানিক পর ব্যবধান বাড়ানোর পর শেষ দিকে নিজের চতুর্থ গোলটি করেন কিলিয়ান এমবাপে। অভিজ্ঞ গ্রিজমানকে উপেক্ষা করে এমবাপেকে নেতৃত্ব দেওয়ায় ফরাসি শিবিরে কিছু অপ্রত্যাশিত সমস্যা সৃষ্টির আভাস মিলেছিল। এমবাপের কথায় গ্রিজমানের ‘অসন্তোষের’ খবরের সত্যতাও উঠে এসেছিল। তবে তারা মাঠে নামতেই যেন এক নিমিষে সমাধান হয়ে গেল সব সমস্যার। এই দুজনের বোঝাপড়ায় ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রতিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নেন গ্রিজমান, সেই সুযোগে কোলো মুয়ানি বল ধরে একটু এগিয়ে বাঁ দিকে খুঁজে নেন এমবাপেকে। তার পাস বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে গোলটি করেন আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড এমবাপে। অষ্টম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলেও জড়িয়ে গ্রিজমানের নাম। ডান দিক থেকে তার বক্সে বাড়ানো ক্রসে বল শেষ মুহূর্তে বাঁক খায়, এতে গোলরক্ষক নাগালে পেয়েও ধরতে পারেননি বল। তার বুকে লেগে বল সামনে ছুটে আসা উপেমেকানোর গায়ে লেগে গোললাইন পেরিয়ে যায়। ২১তম মিনিটে আরও এক গোল খেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। অহেলিয়া চুয়ামেনির থ্রু বল ধরতে গিয়ে ডামি করে ছেড়ে দেন মুয়ানি। এরপর বক্সে ফাঁকায় বল ধরে ঠা-া মাথার প্লেসিং শটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন এমবাপে।
অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে পাল্টা আক্রমণে উঠছিল সফরকারীরাও, কিন্তু সুবিধা করতে পারছিল না। ৩৬তম মিনিটে ব্যবধান বাড়তে পারত আরও, তবে এ যাত্রায় ইব্রাহিমা কোনাতের হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলরক্ষক ইয়াসপের সিলেসেন। বিরতির পরও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে এমবাপেরা। তেমন উল্লেখযোগ্য সুযোগ যদিও পাচ্ছিল না তারা। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া নেদারল্যান্ডস প্রথমার্ধের মতো পজেশন রেখে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করতে থাকে, কিন্তু তারাও পারছিল না আক্রমণে যথেষ্ট কার্যকর হতে। ৭৮তম মিনিটে নেদারল্যান্ডসের ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হতে বসেছিল। তবে এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন সিলেসেন। কাতার বিশ্বকাপে আট গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ী এমবাপে ৮৮তম মিনিটে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন। বল পায়ে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। যোগ করা সময়ের শেষ দিকে ফ্রান্সের ডি-বক্সে ডিফেন্ডার উপেমেকানোর হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে ব্যবধান কমানোর সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মেমফিস ডিপাই। তার শট ঠেকিয়ে দেন উগো লরিসের অবসরের পর ফ্রান্সের মূল গোলরক্ষক হয়ে ওঠা মাইক মিয়াঁ। জাল অক্ষত রেখে দারুণ জয়ের আনন্দে নতুন বছর শুরু করল ফ্রান্স। আগামী সোমবার পরের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। বাছাইয়ে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে একই দিনে জিব্রাল্টার বিপক্ষে মাঠে নামবে নেদারল্যান্ডস।