ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

এমপক্স কি বিশ্বজুড়ে আরেকটি মহামারি ছড়াবে?

  • আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় এবার প্রথম শনাক্ত হয় মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। তবে দেশটির সীমানা ছাড়িয়ে আরও কয়েকটি দেশে সংক্রামক এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সর্বশেষ খবরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সে সংক্রমিত এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমিত ব্যক্তি একজন পুরুষ। বয়স ৩৩ বছর। তাঁর দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করার কোনো ইতিহাস নেই। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ফিলিপাইনে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত কোনো রোগী শনাক্ত হলেন।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। তা হলো করোনা মহামারির ক্ষত না শুকাতে বিশ্বজুড়ে নতুন করে কি আরেকটি মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো কম। কেননা, সোয়াইন ফ্লু ও করোনা ছিল মূলত বায়ুবাহিত ভাইরাস। বায়ুবাহিত হওয়ায় এসব ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়েছিল। এমনকি যেসব মানুষের মধ্যে উপসর্গ ছিল না, তাঁরাও অজান্তে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
যতদূর জানা যায়, এমপক্স ছড়ায় ত্বক থেকে ত্বকে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে তবেই। তবে এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে দৃশ্যমান ক্ষত দেখা দেয়। কাজেই এমন ক্ষত দেখার পর যে কারও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার গতি হবে মন্থর।
তাই জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদে থাকতে হবে। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই শৌচাগার, কাপড় ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা যাবে না। হাত ধোয়ার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গত শুক্রবার ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানায়, আফ্রিকা থেকে ইউরোপে এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে ইউরোপে স্থানীয়ভাবে এর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা তুলনামূলক কম। এ কারণে আফ্রিকায় সংক্রমিত এলাকাগুলোয় ভ্রমণকারীদের এমপক্স প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। বিজ্ঞানীরাও বলছেন, এমপক্সের সংক্রমণ ঘটেছে—এমন অঞ্চলে ভ্রমণ না করলে এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সীমিত।
এমপক্স ও করোনা কতটা আলাদা: করোনাভাইরাস বেশ দ্রুত ছড়ায়। সেই তুলনায় এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার গতি মন্থর। চীনে শনাক্ত হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায়। এমনকি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬০০। অথচ তত দিনে চীনে করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়ার মাত্র মাস তিনেক পেরিয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে লাখখানেক মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন শ দুয়েক মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আরেকটি বিষয় হলো চিকিৎসা ও টিকা। করোনা মহামারির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাপ্রক্রিয়া, এমনকি টিকা ছিল না। মহামারি চলাকালে করোনার টিকা তৈরি করতে হয়েছে। অন্যদিকে এমপক্সের টিকা ও চিকিৎসা—দুটিই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস বেরার বলেন, ‘এমপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে যা করার দরকার, সে ব্যবস্থা আমাদের আছে। করোনা মহামারির সময় আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, এখনকার পরিস্থিতি তেমন নয়। তখন টিকা ছিল না। অ্যান্টিভাইরাল ছিল না।’ এমপক্স সংক্রমণ কখন বন্ধ হবে: এটা স্পষ্ট নয়। ২০২২ সালের এমপক্সের সংক্রমণের কথা জানা যায়। তখন ৭০টির বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা গিয়েছিল। এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল টিকা কার্যক্রমের। এমনকি ধনী দেশের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা এমপক্সের টিকা ও ওষুধ নিয়েছিলেন। এখন এমপক্স সংক্রমণের বেশির ভাগই আফ্রিকায়। বিশেষ করে ৯৬ শতাংশ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কঙ্গোয়। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ এটি। অপুষ্টি, কলেরা ও হামের প্রাদুর্ভাবে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থাও ভঙ্গুর। কঙ্গো দাতাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ লাখ এমপক্সের টিকা চেয়েছে। এখনো কোনো টিকা হাতে পায়নি। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালেও বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তখনো আফ্রিকার দেশগুলো যৎসামান্য টিকা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী পেয়েছিল। ডিউক ইউনিভার্সিটির ক্রিস বেরার বলেন, আফ্রিকায় এমপক্স সংক্রমণের লাগাম টানতে বিশ্বের এখন নিজের স্বার্থেই বিনিয়োগ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে আমরা আসলে একটি ভালো অবস্থানে আছি; যদিও আফ্রিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এমপক্স কি বিশ্বজুড়ে আরেকটি মহামারি ছড়াবে?

আপডেট সময় : ১২:৩২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় এবার প্রথম শনাক্ত হয় মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স। তবে দেশটির সীমানা ছাড়িয়ে আরও কয়েকটি দেশে সংক্রামক এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শনাক্ত হয়েছে আফ্রিকা, ইউরোপ ও এশিয়ায়। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সর্বশেষ খবরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্সে সংক্রমিত এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমিত ব্যক্তি একজন পুরুষ। বয়স ৩৩ বছর। তাঁর দেশের বাইরে যাওয়া-আসা করার কোনো ইতিহাস নেই। দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ গতকাল সোমবার এসব তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের পর এই প্রথম ফিলিপাইনে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত কোনো রোগী শনাক্ত হলেন।
জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ পরিস্থিতিতে একটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। তা হলো করোনা মহামারির ক্ষত না শুকাতে বিশ্বজুড়ে নতুন করে কি আরেকটি মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে?
এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা হয়তো কম। কেননা, সোয়াইন ফ্লু ও করোনা ছিল মূলত বায়ুবাহিত ভাইরাস। বায়ুবাহিত হওয়ায় এসব ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়েছিল। এমনকি যেসব মানুষের মধ্যে উপসর্গ ছিল না, তাঁরাও অজান্তে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।
যতদূর জানা যায়, এমপক্স ছড়ায় ত্বক থেকে ত্বকে। আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে তবেই। তবে এমপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে দৃশ্যমান ক্ষত দেখা দেয়। কাজেই এমন ক্ষত দেখার পর যে কারও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশ কম। ফলে এমপক্স ছড়িয়ে পড়ার গতি হবে মন্থর।
তাই জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, এমপক্স থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদে থাকতে হবে। অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই শৌচাগার, কাপড় ও বিছানার চাদর ব্যবহার করা যাবে না। হাত ধোয়ার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। গত শুক্রবার ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) জানায়, আফ্রিকা থেকে ইউরোপে এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে ইউরোপে স্থানীয়ভাবে এর প্রাদুর্ভাবের আশঙ্কা তুলনামূলক কম। এ কারণে আফ্রিকায় সংক্রমিত এলাকাগুলোয় ভ্রমণকারীদের এমপক্স প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। বিজ্ঞানীরাও বলছেন, এমপক্সের সংক্রমণ ঘটেছে—এমন অঞ্চলে ভ্রমণ না করলে এটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সীমিত।
এমপক্স ও করোনা কতটা আলাদা: করোনাভাইরাস বেশ দ্রুত ছড়ায়। সেই তুলনায় এমপক্সের ছড়িয়ে পড়ার গতি মন্থর। চীনে শনাক্ত হওয়ার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যায়। এমনকি প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর জানুয়ারিতে এক সপ্তাহে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যেই বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্ত ১ লাখ ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৬০০। অথচ তত দিনে চীনে করোনা প্রথম শনাক্ত হওয়ার মাত্র মাস তিনেক পেরিয়েছে। এর বিপরীতে ২০২২ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে লাখখানেক মানুষের এমপক্স শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন শ দুয়েক মানুষ। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আরেকটি বিষয় হলো চিকিৎসা ও টিকা। করোনা মহামারির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাপ্রক্রিয়া, এমনকি টিকা ছিল না। মহামারি চলাকালে করোনার টিকা তৈরি করতে হয়েছে। অন্যদিকে এমপক্সের টিকা ও চিকিৎসা—দুটিই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস বেরার বলেন, ‘এমপক্সের সংক্রমণ ঠেকাতে যা করার দরকার, সে ব্যবস্থা আমাদের আছে। করোনা মহামারির সময় আমরা যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি, এখনকার পরিস্থিতি তেমন নয়। তখন টিকা ছিল না। অ্যান্টিভাইরাল ছিল না।’ এমপক্স সংক্রমণ কখন বন্ধ হবে: এটা স্পষ্ট নয়। ২০২২ সালের এমপক্সের সংক্রমণের কথা জানা যায়। তখন ৭০টির বেশি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যে সংক্রমণে লাগাম টানা গিয়েছিল। এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল টিকা কার্যক্রমের। এমনকি ধনী দেশের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা এমপক্সের টিকা ও ওষুধ নিয়েছিলেন। এখন এমপক্স সংক্রমণের বেশির ভাগই আফ্রিকায়। বিশেষ করে ৯৬ শতাংশ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কঙ্গোয়। বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র একটি দেশ এটি। অপুষ্টি, কলেরা ও হামের প্রাদুর্ভাবে দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থাও ভঙ্গুর। কঙ্গো দাতাদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ লাখ এমপক্সের টিকা চেয়েছে। এখনো কোনো টিকা হাতে পায়নি। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালেও বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তখনো আফ্রিকার দেশগুলো যৎসামান্য টিকা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী পেয়েছিল। ডিউক ইউনিভার্সিটির ক্রিস বেরার বলেন, আফ্রিকায় এমপক্স সংক্রমণের লাগাম টানতে বিশ্বের এখন নিজের স্বার্থেই বিনিয়োগ করা দরকার। তিনি আরও বলেন, ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণে আমরা আসলে একটি ভালো অবস্থানে আছি; যদিও আফ্রিকাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’