ঢাকা ০৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

এমন শাস্তি দেব, কল্পনাও করতে পারবে না : মোদি

  • আপডেট সময় : ০৮:২১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের খুঁজে বের করবে এবং এমন শাস্তি দেবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ধ্বংস করার সময় এসেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, কেউ নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন, কেউ নিজের জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন, কেউ আবার নিজের ভাইকে হারিয়েছেন। এই হামলা শুধুই কিছু পর্যটকদের ওপর হয়নি, শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপরেও আঘাত আনার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোক ও ক্ষোভ রয়েছে।

পুরো দেশ শোকাহত পরিবারের সঙ্গে আছে। সরকার আহতদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। মোদি বলেন, ‘আমি সমগ্র বিশ্বকে বলছি। ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের তাড়া করব। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ভারতের চেতনা কখনও ভাঙা যাবে না। সমগ্র জাতি এই সংকল্পে দৃঢ়। মানবতায় বিশ্বাসী প্রত্যেকেই আমাদের সঙ্গে আছে। আমি বিভিন্ন দেশের জনগণ এবং তাদের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই যারা এই সময়ে আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে ২৬ পর্যটক নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। এই হামলায় ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। একইসঙ্গে পাকিস্তানিদের দেওয়া বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ ও নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানিদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর চিরবৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে নয়াদিল্লি। বুধবার ভারতের মন্ত্রিপরিষদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় মেডিকেল ভিসা-সহ পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইতোমধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য জারি করা সব ধরনের বৈধ ভারতীয় ভিসা আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) থেকে বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া ওই দেশের নাগরিকদের দেওয়া সকল মেডিকেল ভিসাও মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত বৈধ থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত সকল পাকিস্তানি নাগরিককে সংশোধিত এই সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই ভারত ত্যাগ করতে হবে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, যেসব পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে ভারতীয় ভিসা রয়েছে, তারা ভারত ত্যাগ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় পাবেন। ভিসা বাতিলের পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করেছে ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি নাগরিকরা ভারত ভ্রমণের জন্য কোনও ধরনের নথি পাবেন না।
কাশ্মীরিদের ‘শত্রু’ না ভাবার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ তার দেশের জনগণের উদ্দেশে একটি মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, কাশ্মীরের জনগণকে যেন শত্রু হিসেবে বিবেচনা না করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শ্রীনগরে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান। ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, আমি দেশের জনগণের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি— দয়া করে এমনটা ভাববেন না কাশ্মীরিরা আপনাদের শত্রু। আমরা এই সহিংসতার জন্য দায়ী নই। গত ৩৫ বছর ধরে আমরাও সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার যন্ত্রণা বহন করে আসছি। ওমর আব্দুল্লাহ এই মন্তব্য করেন এমন এক সময়ে, যখন পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া বর্বর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরিদের ওপর সহিংসতা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষরাও রাস্তায় নেমে এই বার্তা দিয়েছে— এই হামলায় তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কাশ্মীরিদের পক্ষেও ছিল না। পহেলগাঁওয়ে হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ২৫ জন এখানে ঘুরতে এসেছিলেন, আর তাদের সঙ্গে ছিলেন আমাদেরই এক স্থানীয় যিনি অন্যদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ পর্যটক নিহত হন। আহত হন ২০ জনের বেশি। ভারতীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সেখানকার সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি সহযোগী সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার পর পহেলগাঁও ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত ও আন্তঃরাজ্য চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এ ঘটনার ফলে কাশ্মীরের পর্যটন খাতে বড় ধাক্কা লেগেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে আসন্ন অমরনাথ যাত্রার আগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এমন শাস্তি দেব, কল্পনাও করতে পারবে না : মোদি

আপডেট সময় : ০৮:২১:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সন্ত্রাসীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভারত প্রত্যেক সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের খুঁজে বের করবে এবং এমন শাস্তি দেবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। সন্ত্রাসের আশ্রয়স্থলে যা কিছু অবশিষ্ট আছে তা ধ্বংস করার সময় এসেছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে একটি সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, কেউ নিজের ছেলেকে হারিয়েছেন, কেউ নিজের জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন, কেউ আবার নিজের ভাইকে হারিয়েছেন। এই হামলা শুধুই কিছু পর্যটকদের ওপর হয়নি, শত্রুরা ভারতের আত্মার ওপরেও আঘাত আনার চেষ্টা করেছে। তিনি আরও বলেন, কারগিল থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোক ও ক্ষোভ রয়েছে।

পুরো দেশ শোকাহত পরিবারের সঙ্গে আছে। সরকার আহতদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। মোদি বলেন, ‘আমি সমগ্র বিশ্বকে বলছি। ভারত প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের চিহ্নিত করবে, তাদের খুঁজে বের করবে এবং শাস্তি দেবে। আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত তাদের তাড়া করব। সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে ভারতের চেতনা কখনও ভাঙা যাবে না। সমগ্র জাতি এই সংকল্পে দৃঢ়। মানবতায় বিশ্বাসী প্রত্যেকেই আমাদের সঙ্গে আছে। আমি বিভিন্ন দেশের জনগণ এবং তাদের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই যারা এই সময়ে আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরের পহেলগামে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণে ২৬ পর্যটক নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। এই হামলায় ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু পানি বণ্টন চুক্তি বাতিল করেছে ভারত। একইসঙ্গে পাকিস্তানিদের দেওয়া বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল, আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধ ও নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানিদের ভিসা স্থগিত করল ভারত
ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর চিরবৈরী প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে নয়াদিল্লি। বুধবার ভারতের মন্ত্রিপরিষদের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পাঁচটি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতীয় মেডিকেল ভিসা-সহ পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করেছে ভারত। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইতোমধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য জারি করা সব ধরনের বৈধ ভারতীয় ভিসা আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) থেকে বাতিল হয়ে যাবে।
এছাড়া ওই দেশের নাগরিকদের দেওয়া সকল মেডিকেল ভিসাও মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত বৈধ থাকবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে অবস্থানরত সকল পাকিস্তানি নাগরিককে সংশোধিত এই সময়সীমার মধ্যে অবশ্যই ভারত ত্যাগ করতে হবে। দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলেছে, যেসব পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে ভারতীয় ভিসা রয়েছে, তারা ভারত ত্যাগ করার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় পাবেন। ভিসা বাতিলের পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা পরিষেবাও স্থগিত করেছে ভারত। এর ফলে পাকিস্তানি নাগরিকরা ভারত ভ্রমণের জন্য কোনও ধরনের নথি পাবেন না।
কাশ্মীরিদের ‘শত্রু’ না ভাবার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
এদিকে ভারতশাসিত কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ তার দেশের জনগণের উদ্দেশে একটি মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন, কাশ্মীরের জনগণকে যেন শত্রু হিসেবে বিবেচনা না করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) শ্রীনগরে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান। ওমর আব্দুল্লাহ বলেন, আমি দেশের জনগণের কাছে বিনীতভাবে অনুরোধ করছি— দয়া করে এমনটা ভাববেন না কাশ্মীরিরা আপনাদের শত্রু। আমরা এই সহিংসতার জন্য দায়ী নই। গত ৩৫ বছর ধরে আমরাও সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার যন্ত্রণা বহন করে আসছি। ওমর আব্দুল্লাহ এই মন্তব্য করেন এমন এক সময়ে, যখন পহেলগাঁওয়ে ঘটে যাওয়া বর্বর সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরিদের ওপর সহিংসতা ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, কাশ্মীরের মানুষরাও রাস্তায় নেমে এই বার্তা দিয়েছে— এই হামলায় তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা কাশ্মীরিদের পক্ষেও ছিল না। পহেলগাঁওয়ে হামলায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের প্রতি গভীর শোক ও সহানুভূতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া ২৫ জন এখানে ঘুরতে এসেছিলেন, আর তাদের সঙ্গে ছিলেন আমাদেরই এক স্থানীয় যিনি অন্যদের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁওয়ের বাইসারান উপত্যকায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ পর্যটক নিহত হন। আহত হন ২০ জনের বেশি। ভারতীয় বিভিন্ন সূত্রের বরাতে সেখানকার সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামে লস্কর-ই-তৈয়বার একটি সহযোগী সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার পর পহেলগাঁও ও আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হচ্ছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত ও আন্তঃরাজ্য চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এ ঘটনার ফলে কাশ্মীরের পর্যটন খাতে বড় ধাক্কা লেগেছে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। একইসঙ্গে আসন্ন অমরনাথ যাত্রার আগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।