ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
জয়নুল আবদিন ফারুক

এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে

  • আপডেট সময় : ০২:১৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আপনি দেশে গণহত্যা চালাবেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করবেন। ভারতীয় সমর্থনের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করবেন। আবার দেশে আসতে চাইবেন তা হবে না। আল্লাহর কসম, এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।’

পবিত্র কুরআন অবমাননা ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন ফারুক। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে ‘আমার ভোট আমি দেব’—এই মৌলিক অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। শেখ হাসিনা মোদীর আশ্রয়ে আবার দেশে ফিরে এসে ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করুক তা কখনোই হতে দেওয়া হবে না।

ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন ভারতের হাতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ নয়, বরং পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তিস্তা নদীতে আমরা পানি পাই না, ফারাক্কা বাঁধ সময়মতো খোলে না, ফেলানির লাশ সীমান্তে ঝুলে থাকে—তারপরও তারা বলে, মোদী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) আমাদের বন্ধু। মোদি কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়েছিলেন, আজ তাদের অনেককেই রাজাকার বলা হচ্ছে। মেজর জলিল, সিরাজ শিকদার—এরা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। অথচ আজ তাদের নাম বিকৃত করা হচ্ছে।

ফারুক সমালোচনা করে বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেননি। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হেলিকপ্টারে করে ভোটের বাক্স এনে রেজাল্ট পরিবর্তন করা হতো। আজ শেখ হাসিনা সেই একই পথ অনুসরণ করছেন। ‘বাবা বাবা’ বলে সারাদেশে মূর্তি গড়ে তুলেছেন, অথচ মানুষের অধিকার হরণ করেছেন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন বলেন, এখন আর বিভক্ত থাকার সময় নয়। একসঙ্গে দাঁড়ান। যারা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, ইনশাআল্লাহ হাসিনা আর কখনো ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। আমার ভোট আমি দেব, মৃত মানুষ আর কখনো ভোট দেবে না। আসুন সবাই মিলে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিরোধীদলের সাবেক চিফ হুইপ ফারুক বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য আমি শুনেছি—আমি তার জন্য দোয়া করি, আপনার কথাটা যেন ঠিক থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসে যেন নির্বাচন হয়।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আলমগীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

এসি/আপ্র/১৯/১০/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নেশার টাকা না দেওয়ায় দাদাকে হত্যা করলো নাতি

জয়নুল আবদিন ফারুক

এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে

আপডেট সময় : ০২:১৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘আপনি দেশে গণহত্যা চালাবেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করবেন। ভারতীয় সমর্থনের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করবেন। আবার দেশে আসতে চাইবেন তা হবে না। আল্লাহর কসম, এমন কোনো শক্তি নেই যা শেখ হাসিনাকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে পারবে।’

পবিত্র কুরআন অবমাননা ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন ফারুক। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এই সমাবেশের আয়োজন করে।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমি এমন বাংলাদেশ চাই না, যেখানে ‘আমার ভোট আমি দেব’—এই মৌলিক অধিকারটি প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে। শেখ হাসিনা মোদীর আশ্রয়ে আবার দেশে ফিরে এসে ফ্যাসিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠা করুক তা কখনোই হতে দেওয়া হবে না।

ফারুক অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন ভারতের হাতের ক্রীড়নক হয়ে পড়েছে। তারা বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ নয়, বরং পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। তিস্তা নদীতে আমরা পানি পাই না, ফারাক্কা বাঁধ সময়মতো খোলে না, ফেলানির লাশ সীমান্তে ঝুলে থাকে—তারপরও তারা বলে, মোদী (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) আমাদের বন্ধু। মোদি কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়েছিলেন, আজ তাদের অনেককেই রাজাকার বলা হচ্ছে। মেজর জলিল, সিরাজ শিকদার—এরা দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। অথচ আজ তাদের নাম বিকৃত করা হচ্ছে।

ফারুক সমালোচনা করে বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর জনগণকে শান্তিতে থাকতে দেননি। সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হেলিকপ্টারে করে ভোটের বাক্স এনে রেজাল্ট পরিবর্তন করা হতো। আজ শেখ হাসিনা সেই একই পথ অনুসরণ করছেন। ‘বাবা বাবা’ বলে সারাদেশে মূর্তি গড়ে তুলেছেন, অথচ মানুষের অধিকার হরণ করেছেন।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আবদিন বলেন, এখন আর বিভক্ত থাকার সময় নয়। একসঙ্গে দাঁড়ান। যারা শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে, তারা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, ইনশাআল্লাহ হাসিনা আর কখনো ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। আমার ভোট আমি দেব, মৃত মানুষ আর কখনো ভোট দেবে না। আসুন সবাই মিলে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিই।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিরোধীদলের সাবেক চিফ হুইপ ফারুক বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য আমি শুনেছি—আমি তার জন্য দোয়া করি, আপনার কথাটা যেন ঠিক থাকে। ফেব্রুয়ারি মাসে যেন নির্বাচন হয়।

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানি, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আলমগীর হোসেন, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

এসি/আপ্র/১৯/১০/২০২৫