ঢাকা ১১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

এবার ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন

  • আপডেট সময় : ০১:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে এর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে এ বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে। আদেশে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের সময়ে এই সাত জেলায় সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) বন্ধ থাকবে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
দেশে একদিনে শনাক্ত সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো, মৃত্যু ৭৮ : এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৬৩৬ জন। গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেশি। গত রোববার (২০ জুন) একদিন তিন হাজার ৬৪১ জন শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে সর্ববেশষ গত ২০ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৫৬৯ জন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত বাড়লেও কমেছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ৫২৮টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এর মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১২৬টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৫৬টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন আর নারী ২২ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন নয় হাজার ৭৬৮ জন আর নারী মারা গেলেন তিন হাজার ৮৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টার মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৩৯ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আট জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সাতজন আর ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ১৪ জন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, সিলেট বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগের নয়জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। ৭৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন নয়জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ছয়জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ৭ জেলায় কঠোর লকডাউন

আপডেট সময় : ০১:০৬:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রাজধানী ঢাকাকে সুরক্ষিত রাখতে এর পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জে এ বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে। আদেশে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধের সময়ে এই সাত জেলায় সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল (জনসাধারণের চলাচলসহ) বন্ধ থাকবে।
তবে আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, যেমন-কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের (নদীবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
দেশে একদিনে শনাক্ত সাড়ে ৪ হাজার ছাড়ালো, মৃত্যু ৭৮ : এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চার হাজার ৬৩৬ জন। গতকাল সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় এক হাজার বেশি। গত রোববার (২০ জুন) একদিন তিন হাজার ৬৪১ জন শনাক্তের খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর আগে সর্ববেশষ গত ২০ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৫৬৯ জন শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল অধিদফতর। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত বাড়লেও কমেছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৮২ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৭৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশে বর্তমানে ৫২৮টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, এর মধ্যে আরটি-পিসিআরের মাধ্যমে হচ্ছে ১২৬টি পরীক্ষাগারে, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে ৪৬টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৫৬টি পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৭৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৫৬ জন আর নারী ২২ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেলেন নয় হাজার ৭৬৮ জন আর নারী মারা গেলেন তিন হাজার ৮৫৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টার মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ৩৯ জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ২৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী আট জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সাতজন আর ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, খুলনা বিভাগের ১৪ জন, বরিশাল বিভাগের তিনজন, সিলেট বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগের নয়জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। ৭৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৬৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন নয়জন আর বাড়িতে মারা গেছেন ছয়জন।