প্রযুক্তি ডেস্ক : ঐতিহাসিক আর্কেড মেশিন ‘কম্পিউটার স্পেস’-এর রেপ্লিকা বানিয়েছে ৩ডি প্রিন্টার, যা আশ্রয় পেয়েছে গেইমিংবিষয়ক এক জাদুঘরে। যুক্তরাজ্যের গ্লস্টারশায়ার কাউন্টির শহর স্ট্রাউডে অবস্থিত ‘আর্কেড মিউজিয়ামে’ বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক আর্কেড ভিডিও গেইমিং মেশিনটি অনুপস্থিত ছিল। পরবর্তীতে এ মেশিনের সত্যিকারের রেপ্লিকা তৈরি করতে ‘হেবার’ নামের এক কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। আর্কেড মিউজিয়ামের কিউরেটর নিল টমাস বলেছেন, যেহেতু এটা রেপ্লিকা, আসল নয়, তাই মানুষকে খেলার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে তাদের ভাবার কিছু নেই। মিউজিয়ামের এক মুখপাত্রের মতে, আসল মেশিনটি উন্মোচনের পর তা বাণিজ্যিকভাবে সফল হতে পারেনি। এর কারণ ছিল মেশিনের ‘ভীতিকর কন্ট্রোল ও গেইমপ্লে’। মেশিনটি এখন খুবই বিরল ও খরচসাপেক্ষ, যেখানে নিলামে এর দাম ৭০ হাজার ডলারও ছাড়াতে দেখা গেছে।
বিবিসি বলছে, মেশিনের রেপ্লিকা নিয়ে কাজ করা দলটি এতে আসল মেশিনের মতো অনুভূতি তৈরির পেছনে এতটাই নিবেদিত ছিল যে, তারা মেশিনে খেলার কয়েন পড়ার শব্দ অনুকরণ করতে একটি বিস্কুটের টিনও ব্যবহার করেছে।
“আমরা (৩ডি মেশিনের ধারণাটিকে) তুলনা করি কোনো জাদুঘরে ডাইনোসরের হাড়ের প্লাস্টার দেখানোর সঙ্গে। এটি আসল না হলেও বেশ আকর্ষণীয়। আর এ বিষয় নিয়ে কথোপকথনের ক্ষেত্রেও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে রেপ্লিকাটি,” বলেন টমাস। “এর রেপ্লিকা হওয়ার আরেকটি ভালো দিক হল, মানুষকে এটি খেলতে দেওয়ার বিষয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই।” মেশিনটি তৈরির পেছনে কাজ করা কোম্পানি হেবারের পরিচালক রিচার্ড হর্নের দাবি, এটি আর্কেড জগতের একমাত্র রেপ্লিকা মেশিন, যেখানে কয়েন ব্যবহার করা যায়। এতে করে মেশিনটিকেও ‘সত্যিকারের মনে হয়’। ঐতিহাসিক মেশিনটির পুরোদস্তর কার্যকর রেপ্লিকা তৈরির লক্ষ্য পূরণে এতে ব্যবহার করা হয়েছে হেবারের ইলেকট্রনিকস ও পুরোনো এক সিআরটি মনিটর, যেটি এর আগে বিবিসি’র মালিকানাধীন ছিল।
কম্পিউটার স্পেস-এর রেপ্লিকা মেশিনটি এখন জাদুঘরের দর্শনার্থীদের খেলার জন্য উন্মুক্ত বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
এবার ৭০ দশকের আর্কেড রেপ্লিকা বানাল ৩ডি প্রিন্টার
জনপ্রিয় সংবাদ