ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার স্ত্রীর পদবি ব্যবহারে স্বীকৃতি দক্ষিণ আফ্রিকায়

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

এবার স্ত্রীর পদবি ব্যবহারে স্বীকৃতি দক্ষিণ আফ্রিকায়

প্রত্যাশা ডেস্ক: অনেক সময় অনেক দেশে নারীদের বিয়ের পর স্বামীর পদবি গ্রহণ করতে দেখা যায়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষেরা স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশটির উচ্চ আদালত বলেছেন, পুরুষদের জন্যও স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত।
এ ক্ষেত্রে দেশটিতে আইনি যে বাধা ছিল, সেটিকে ‘ঔপনিবেশিক আমলে আমদানি’ এবং ‘লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য’ বলে বর্ণনা করেছেন আদালত।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবিধানিক আদালত গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, এই আইনি নিষেধাজ্ঞা যেহেতু সরকারি কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে না, তাই এই আইন স্থগিত করা হলো।
নারীদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে আদালতের রায়ে আরো বলা হয়, আইন করে পুরুষদের স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এটা নারীদের প্রতি শুধু বৈষম্যমূলক আচরণই ছিল না; বরং তার চেয়ে আরো অনেক বেশি ‘গভীর ও সূক্ষ্ম বিষয় ছিল’। সাংবিধানিক আদালতের এ রায়ের ফলে এখন পার্লামেন্টে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন এবং তার বিধিমালা সংশোধনের পথ প্রশস্ত হবে, যেন এ রায় কার্যকর হতে পারে।

আদালত বলেছেন, ওই আইনে পিতৃতান্ত্রিক লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক মানদণ্ডকে শক্তিশালী করে দেখানো হয়েছে। একজন নারী তার স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হবেন, সরকারিভাবে ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এটাকেই স্বাভাবিক বলে দেওয়া হয়েছিল। পিতৃতান্ত্রিক এ আইন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই জুটি।

তাদের মধ্যে এক জুটির পুরুষ তার স্ত্রীর মৃত মা-বাবাকে সম্মান জানাতে তাদের পদবি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী কম বয়সে নিজের মা-বাবাকে হারিয়েছেন। অন্য মামলায় একজন নারী নিজের নামের সঙ্গে তার পারিবারিক পদবি রেখে দেওয়ার আবেদন করেন। তিনি তার পরিবারের একমাত্র সন্তান। বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা ন্যায়বিচার ও সাংবিধানিক উন্নয়নমন্ত্রী-কেউই আদালতে ওই দুই জুটির আবেদনের বিপক্ষে অবস্থান নেননি; বরং তারাও বলেছেন, আইনটি অনেক পুরোনো। এখন এটির পরিবর্তন দরকার।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে একজন পুরুষকে নিজের পদবি পরিবর্তন করতে হলে স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তরে আবেদন করতে হতো। সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করা হতো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদন গ্রহণ করা হতো না।

সানা/আপ্র/১৫/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার স্ত্রীর পদবি ব্যবহারে স্বীকৃতি দক্ষিণ আফ্রিকায়

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: অনেক সময় অনেক দেশে নারীদের বিয়ের পর স্বামীর পদবি গ্রহণ করতে দেখা যায়। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার পুরুষেরা স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। দেশটির উচ্চ আদালত বলেছেন, পুরুষদের জন্যও স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত।
এ ক্ষেত্রে দেশটিতে আইনি যে বাধা ছিল, সেটিকে ‘ঔপনিবেশিক আমলে আমদানি’ এবং ‘লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য’ বলে বর্ণনা করেছেন আদালত।

দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবিধানিক আদালত গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। আদালতের রায়ে বলা হয়, এই আইনি নিষেধাজ্ঞা যেহেতু সরকারি কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারছে না, তাই এই আইন স্থগিত করা হলো।
নারীদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে আদালতের রায়ে আরো বলা হয়, আইন করে পুরুষদের স্ত্রীর পদবি গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। এটা নারীদের প্রতি শুধু বৈষম্যমূলক আচরণই ছিল না; বরং তার চেয়ে আরো অনেক বেশি ‘গভীর ও সূক্ষ্ম বিষয় ছিল’। সাংবিধানিক আদালতের এ রায়ের ফলে এখন পার্লামেন্টে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন এবং তার বিধিমালা সংশোধনের পথ প্রশস্ত হবে, যেন এ রায় কার্যকর হতে পারে।

আদালত বলেছেন, ওই আইনে পিতৃতান্ত্রিক লিঙ্গভিত্তিক সামাজিক মানদণ্ডকে শক্তিশালী করে দেখানো হয়েছে। একজন নারী তার স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হবেন, সরকারিভাবে ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে এটাকেই স্বাভাবিক বলে দেওয়া হয়েছিল। পিতৃতান্ত্রিক এ আইন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই জুটি।

তাদের মধ্যে এক জুটির পুরুষ তার স্ত্রীর মৃত মা-বাবাকে সম্মান জানাতে তাদের পদবি ব্যবহার করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী কম বয়সে নিজের মা-বাবাকে হারিয়েছেন। অন্য মামলায় একজন নারী নিজের নামের সঙ্গে তার পারিবারিক পদবি রেখে দেওয়ার আবেদন করেন। তিনি তার পরিবারের একমাত্র সন্তান। বিবিসির খবরে বলা হয়, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা ন্যায়বিচার ও সাংবিধানিক উন্নয়নমন্ত্রী-কেউই আদালতে ওই দুই জুটির আবেদনের বিপক্ষে অবস্থান নেননি; বরং তারাও বলেছেন, আইনটি অনেক পুরোনো। এখন এটির পরিবর্তন দরকার।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে একজন পুরুষকে নিজের পদবি পরিবর্তন করতে হলে স্বরাষ্ট্র অধিদপ্তরে আবেদন করতে হতো। সেই আবেদন যাচাই-বাছাই করা হতো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে আবেদন গ্রহণ করা হতো না।

সানা/আপ্র/১৫/০৯/২০২৫