ঢাকা ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার বইমেলায় গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পেলেন যারা

  • আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪
  • ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মূলত, গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশ, নান্দনিক স্টল এবং শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
গত শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার- ২০২৪’ দেওয়া হয়েছে।
‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছে ৩টি প্রকাশনী সংস্থা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ : শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাতিহাস : বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস এই পুরস্কার পেয়েছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খিকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে, অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) এবং বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)। এসব প্রতিষ্ঠানকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ এর জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে শনিবার ছিল অমর একুশে বইমেলার ৩১তম দিন। ছুটির দিন হিসেবে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সেদিন নতুন বই এসেছিল ১৪৯টি। এ পর্যন্ত (২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত) নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি।
প্রকাশকরা বলছেন, বিক্রি বেশি হলেও সার্বিক ব্যবস্থাপনা আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি বলেন, বইমেলা আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো। তবে বইমেলার আয়োজন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে বাংলা একাডেমির হাতে আসার কারণে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার জায়গা নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পাইরেটেড বইয়ের ছড়াছড়ি ছিল এবারের বই মেলায়। যারা প্রকৃত প্রকাশক তাদেরই বইমেলা স্থান পাওয়া প্রয়োজন। নামমাত্র প্রকাশকরা যদি বেড়ে যায় তাহলে বইমেলার সার্বিক ভাবগাম্ভীর্যতা বিনষ্ট হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বইমেলার সার্বিক বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত ২ দিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রং। বইমেলার সদস্য-সচিব ড. মুজাহিদুল ইসলাম তার প্রতিবেদনে বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই বইমেলায় বাংলা একাডেমি (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে বলেও জানান তিনি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার বইমেলায় গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার পেলেন যারা

আপডেট সময় : ০১:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : শেষ হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। মূলত, গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশ, নান্দনিক স্টল এবং শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
গত শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে ২০২৩ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক বই প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশকে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার- ২০২৪’ দেওয়া হয়েছে।
‘মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ পেয়েছে ৩টি প্রকাশনী সংস্থা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে শৈল্পিক ও গুণমান বিচারে সেরা বই বিভাগে মনজুর আহমদ রচিত একুশ শতকে বাংলাদেশ : শিক্ষার রূপান্তর গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশন, মঈন আহমেদ রচিত যাত্রাতিহাস : বাংলার যাত্রাশিল্পের আদিঅন্ত গ্রন্থের জন্য ঐতিহ্য এবং আলমগীর সাত্তার রচিত কিলো ফ্লাইট প্রকাশের জন্য জার্নিম্যান বুকস এই পুরস্কার পেয়েছে।
২০২৩ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ বইয়ের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য ময়ূরপঙ্খিকে ‘রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০২৪’ দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে, অন্যপ্রকাশ (প্যাভিলিয়ন), নিমফিয়া পাবলিকেশন (২-৪ ইউনিট) এবং বেঙ্গল বুকস (১ ইউনিট)। এসব প্রতিষ্ঠানকে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০২৪’ এর জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে শনিবার ছিল অমর একুশে বইমেলার ৩১তম দিন। ছুটির দিন হিসেবে মেলা শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। সেদিন নতুন বই এসেছিল ১৪৯টি। এ পর্যন্ত (২রা ফেব্রুয়ারি থেকে ২রা মার্চ পর্যন্ত) নতুন বই এসেছে ৩৭৫১টি।
প্রকাশকরা বলছেন, বিক্রি বেশি হলেও সার্বিক ব্যবস্থাপনা আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি বলেন, বইমেলা আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো। তবে বইমেলার আয়োজন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে বাংলা একাডেমির হাতে আসার কারণে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার জায়গা নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পাইরেটেড বইয়ের ছড়াছড়ি ছিল এবারের বই মেলায়। যারা প্রকৃত প্রকাশক তাদেরই বইমেলা স্থান পাওয়া প্রয়োজন। নামমাত্র প্রকাশকরা যদি বেড়ে যায় তাহলে বইমেলার সার্বিক ভাবগাম্ভীর্যতা বিনষ্ট হবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বইমেলার সার্বিক বিষয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত ২ দিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রং। বইমেলার সদস্য-সচিব ড. মুজাহিদুল ইসলাম তার প্রতিবেদনে বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গুলোর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই বইমেলায় বাংলা একাডেমি (১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত) ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে বলেও জানান তিনি।