ঢাকা ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না: হিরো আলম

  • আপডেট সময় : ০১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

বগুড়া সংবাদদাতা : এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, আমি আজ (বৃহস্পতিবার) বগুড়ায় এসেছি। আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবো। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তাকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে যে-কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই। হিরো আলম বলেন, এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এ জন্য নির্বাচনের মাঠে থাকছি। নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ জনগণ দেবে, যারা আমাকে ভালোবাসে। আর জনগণ আমাকে ভালোবেসেই ভোট দিতে আসবেন। হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বার বার বলেছে। আর এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দিব কয়বার? তুমি পাশ করলে তাও জিতলে না। পরে আবারও ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থাকলাম। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। মানুষের এসব প্রশ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্যও ভোটের মাঠে আছি।

হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৪ জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আজ হিরো আলম এখানে এসেছিলেন। তার কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি নির্বাচনে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে। এদিকে গত ২৯ নভেম্বর বগুড়া-৪ আসনে সুপ্রিম পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। পরবর্তীতে রাতারাতি তা পাল্টিয়ে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। এবারও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

 

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না: হিরো আলম

আপডেট সময় : ০১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

বগুড়া সংবাদদাতা : এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বগুড়া পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। গণমাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, আমি আজ (বৃহস্পতিবার) বগুড়ায় এসেছি। আগামীকাল থেকে প্রচারণা শুরু করবো। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তাকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে যে-কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই। হিরো আলম বলেন, এবার ফাঁকা মাঠে কাউকে গোল দিতে দেব না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এ জন্য নির্বাচনের মাঠে থাকছি। নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ জনগণ দেবে, যারা আমাকে ভালোবাসে। আর জনগণ আমাকে ভালোবেসেই ভোট দিতে আসবেন। হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বার বার বলেছে। আর এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এক প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দিব কয়বার? তুমি পাশ করলে তাও জিতলে না। পরে আবারও ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থাকলাম। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। মানুষের এসব প্রশ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্যও ভোটের মাঠে আছি।

হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী জানান, বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৪ জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আজ হিরো আলম এখানে এসেছিলেন। তার কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি নির্বাচনে কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে। এদিকে গত ২৯ নভেম্বর বগুড়া-৪ আসনে সুপ্রিম পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন হিরো আলমের পক্ষে তার ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। পরবর্তীতে রাতারাতি তা পাল্টিয়ে ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। পরে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনেও অংশ নেন হিরো আলম। এবারও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসনে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।