আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তরুণদের ব্যাপক আন্দোলন ও পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন নেপালের কৃষিমন্ত্রী রামনাথ অধিকারী। এর আগে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আন্দোলে পুলিশের গুলিতে ১৯ জন নিহত হওয়ার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।
নিজের পদত্যাগপত্রে নেপালি কংগ্রেসের এই রাজনীতিকি লেখেন, রাষ্ট্র নাগরিকদের গণতান্ত্রিক প্রশ্ন তোলার প্রাকৃতিক অধিকার স্বীকার না করে দমননীতি, হত্যাকাণ্ড ও অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের পথ বেছে নিয়েছে। তার ভাষায়, সরকার দেশকে গণতন্ত্র নয়, বরং স্বৈরাচারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
অধিকারী আরো উল্লেখ করেন, যে তরুণ প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার কথা, তাদের ওপর সহিংস আচরণ চালানোর কোনো জবাব সরকার না দেওয়ায় তিনি আর ক্ষমতায় থাকতে পারছেন না।
অন্যদিকে, নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, নিরীহ তরুণদের অকারণে হত্যা করা হয়েছে। এ দমননীতির দায় প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। তাকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।
থাপা আরো বলেন, নেপালি কংগ্রেস এ অবস্থায় একদিনও সাক্ষী হয়ে থাকতে বা সরকারের অংশীদার হতে পারবে না। এ বিষয়ে তিনি দলীয় বৈঠকেও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব তুলবেন।
নেপালের তরুণরা মূলত সরকারের দুর্নীতি ও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।
সোমবার বিক্ষোভকারীরা নির্দেশনা ভেঙে নেপালের পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় পুলিশ জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠলে পুলিশ গুলি চালায় ও তাতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই বিক্ষোভ।
সূত্র: কাঠমান্ডু পোস্ট
এসি/আপ্র/০৯/০৯/২০২৫