ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫

এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে কোরিয়ান ছবি

  • আপডেট সময় : ০১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: হলিউড-বলিউড পেরিয়ে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে যুক্ত হচ্ছে কোরিয়ান ছবি। ২ জুন স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশটির সাম্প্রতিক আলোচিত ছবি ‘৬/৪৫’। ৩১ মে এমনটাই নিশ্চিত করেছে স্টার কর্তৃপক্ষ। কমেডি ঘরানার এ ছবির পরিচালক পার্ক গাইয়ু-তাই। একটি লটারি টিকিটের ওপর কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। একজন দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্য একটি লটারির টিকিট খুঁজে পেয়েছিল, কিন্তু একদিন এটি উত্তর কোরিয়ায় উড়ে যায় এবং সেখানকার এক সৈন্য খুঁজে পায়। এটি নিয়েই চলতে থাকে মজার সব ঘটনা। স্টার সিনেপ্লেক্সের এক মুখপাত্র জানান, এই সামরিক কমেডি সিনেমাটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার একটি এলাকায় ঘটে। জায়গাটি ডিমিলিটারাইজড জোন নামেও পরিচিত। যদিও বাস্তবে এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা। লটারি টিকিটকে ঘিরে তৈরি হয় দারুণ এক গল্প। হাস্যরসাত্মক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দর্শকদের বিনোদন দেয় ছবিটি। বক্স অফিসেও দারুণ সাফল্য পায় এটি। এরইমধ্যে কোরিয়ান বেশ কিছু পুরস্কারও জিতে নিয়েছে ‘৬/৪৫’।
নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগ থেকে সিনেমা ও ড্রামা সিরিজের ফ্রেমে ফ্রেমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোরিয়ান সংস্কৃতি; কোরিয়ান সংস্কৃতির এ উত্থানকে ‘কোরিয়ান ঢেউ’ হিসেবে বিবেচনা করেন বিশ্লেষকেরা। শূন্য দশকের গোড়ার দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘কোরিয়ান ঢেউ’ আছড়ে পড়েছে। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তুমুল আলোচিত দুই কোরিয়ান সিনেমা ‘ওল্ড বয়’ ও ‘মেমোরিজ অব মার্ডার’ বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যেও আলোড়ন তুলেছিল। এই দুই সিনেমা দেখেই কোরিয়ান সিনেমার ‘খনি’ আবিষ্কারের কথা বলেছেন অনেক দর্শক। পরে ‘মিরাকল ইন সেল নম্বর সেভেন’, ‘ট্রেন টু বুসান’এর মতো সিনেমার বদৌলতে কোরিয়ান সিনেমার পাঁড় ভক্তদের ছাপিয়ে সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালে অস্কারে বাজিমাত করেছে বং জুন-হোর ‘প্যারাসাইট’; অস্কারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-ইংরেজিভাষী কোনও চলচ্চিত্র সেরার পুরস্কার ঘরে তুলেছে। যারা কোরিয়ান সিনেমার নিয়মিত দর্শক না, এমন অনেকেও ‘প্যারাসাইট’, ‘মিরাকল ইন সেল নম্বর সেভেন’, ‘ট্রেন টু বুসান’ দেখেছেন। গত আগস্টে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘কার্টার’ নিয়ে তো বলা যায় বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল টপচার্টে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৯০টি দেশে সেরা দশের তালিকায় ছিল সিনেমাটি। ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর ওয়ান টেক সিনেমার মতো করে তৈরি করা ‘কার্টার’ দিয়ে দর্শককে বলা যায় আবিষ্ট করে রেখেছেন নির্মাতা। জনপ্রিয়তার কথা তো গেল, এবার একটু পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যাক। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কোরিয়ার সিনেমার সাম্প্রতিক সাফল্য ঈর্ষণীয়। অবাক করা বিষয়, কোরীয় চলচ্চিত্র স্থানীয় বাজারের ৬০ শতাংশ শেয়ার দখল করে রেখেছে। নিজ দেশের চলচ্চিত্র বাজারে এমন রাজত্ব করা দেশ মাত্র তিনটি। কোরিয়া ছাড়া বাকি দুটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। এমনকি কোরিয়ান সিনেমা এখন বলিউডেও নিয়মিত রিমেক হচ্ছে।
এদিকে একই দিনে (২ জুন) বাংলাদেশের মাল্টিপ্লেক্সটি মুক্তি দিচ্ছে ‘স্পাইডারম্যান’ ফ্র্যাঞ্চাইজির অ্যানিমেশন সিনেমা ‘স্পাইডারম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার ভার্স’। ফিল লর্ড, ক্রিস্টোফার মিলার এবং ডেভিড ক্যালাহামের চিত্রনাট্য থেকে ছবিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে জোকিম ডস সান্তোস, কেম্প পাওয়ারস এবং জাস্টিন কে. থম্পসন। অস্কার আইজ্যাক, হেইলি স্টেইনফেল্ড, জেক জনসন, ইসা রে, ব্রায়ান টাইরি হেনরি এবং লুনা লরেন ভেলেজের সাথে শ্যামিক মুর কণ্ঠ দিয়েছেন। মার্ভেলের কমিকস সিরিজের চরিত্র হলেও এই স্পাইডারম্যান টম হল্যান্ড নন। বরং এটি পুরোপুরি একটি কম্পিউটার অ্যানিমেটেড সিনেমা। যেখানে তরুণ স্পাইডার ম্যান কৃষ্ণাঙ্গ। এর তার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন শামিক মুর। পিটার পার্কারের ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়েছেন মার্কিন অভিনেতা জেক জনসন। গোয়েন স্টেসির ভূমিকায় শোনা যাবে হেইলি স্টেনফিল্ডের কণ্ঠ।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে কোরিয়ান ছবি

আপডেট সময় : ০১:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক: হলিউড-বলিউড পেরিয়ে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে যুক্ত হচ্ছে কোরিয়ান ছবি। ২ জুন স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দেশটির সাম্প্রতিক আলোচিত ছবি ‘৬/৪৫’। ৩১ মে এমনটাই নিশ্চিত করেছে স্টার কর্তৃপক্ষ। কমেডি ঘরানার এ ছবির পরিচালক পার্ক গাইয়ু-তাই। একটি লটারি টিকিটের ওপর কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। একজন দক্ষিণ কোরিয়ার সৈন্য একটি লটারির টিকিট খুঁজে পেয়েছিল, কিন্তু একদিন এটি উত্তর কোরিয়ায় উড়ে যায় এবং সেখানকার এক সৈন্য খুঁজে পায়। এটি নিয়েই চলতে থাকে মজার সব ঘটনা। স্টার সিনেপ্লেক্সের এক মুখপাত্র জানান, এই সামরিক কমেডি সিনেমাটি দক্ষিণ কোরিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার একটি এলাকায় ঘটে। জায়গাটি ডিমিলিটারাইজড জোন নামেও পরিচিত। যদিও বাস্তবে এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ এলাকা। লটারি টিকিটকে ঘিরে তৈরি হয় দারুণ এক গল্প। হাস্যরসাত্মক নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দর্শকদের বিনোদন দেয় ছবিটি। বক্স অফিসেও দারুণ সাফল্য পায় এটি। এরইমধ্যে কোরিয়ান বেশ কিছু পুরস্কারও জিতে নিয়েছে ‘৬/৪৫’।
নব্বইয়ের দশকের শেষ ভাগ থেকে সিনেমা ও ড্রামা সিরিজের ফ্রেমে ফ্রেমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কোরিয়ান সংস্কৃতি; কোরিয়ান সংস্কৃতির এ উত্থানকে ‘কোরিয়ান ঢেউ’ হিসেবে বিবেচনা করেন বিশ্লেষকেরা। শূন্য দশকের গোড়ার দিক থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘কোরিয়ান ঢেউ’ আছড়ে পড়েছে। ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তুমুল আলোচিত দুই কোরিয়ান সিনেমা ‘ওল্ড বয়’ ও ‘মেমোরিজ অব মার্ডার’ বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যেও আলোড়ন তুলেছিল। এই দুই সিনেমা দেখেই কোরিয়ান সিনেমার ‘খনি’ আবিষ্কারের কথা বলেছেন অনেক দর্শক। পরে ‘মিরাকল ইন সেল নম্বর সেভেন’, ‘ট্রেন টু বুসান’এর মতো সিনেমার বদৌলতে কোরিয়ান সিনেমার পাঁড় ভক্তদের ছাপিয়ে সাধারণ দর্শকদের মধ্যেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ২০২০ সালে অস্কারে বাজিমাত করেছে বং জুন-হোর ‘প্যারাসাইট’; অস্কারের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অ-ইংরেজিভাষী কোনও চলচ্চিত্র সেরার পুরস্কার ঘরে তুলেছে। যারা কোরিয়ান সিনেমার নিয়মিত দর্শক না, এমন অনেকেও ‘প্যারাসাইট’, ‘মিরাকল ইন সেল নম্বর সেভেন’, ‘ট্রেন টু বুসান’ দেখেছেন। গত আগস্টে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া ‘কার্টার’ নিয়ে তো বলা যায় বিশ্বজুড়ে হইচই পড়ে গেছে। নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল টপচার্টে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৯০টি দেশে সেরা দশের তালিকায় ছিল সিনেমাটি। ধুন্ধুমার অ্যাকশন আর ওয়ান টেক সিনেমার মতো করে তৈরি করা ‘কার্টার’ দিয়ে দর্শককে বলা যায় আবিষ্ট করে রেখেছেন নির্মাতা। জনপ্রিয়তার কথা তো গেল, এবার একটু পরিসংখ্যানের দিকে তাকানো যাক। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে কোরিয়ার সিনেমার সাম্প্রতিক সাফল্য ঈর্ষণীয়। অবাক করা বিষয়, কোরীয় চলচ্চিত্র স্থানীয় বাজারের ৬০ শতাংশ শেয়ার দখল করে রেখেছে। নিজ দেশের চলচ্চিত্র বাজারে এমন রাজত্ব করা দেশ মাত্র তিনটি। কোরিয়া ছাড়া বাকি দুটি দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। এমনকি কোরিয়ান সিনেমা এখন বলিউডেও নিয়মিত রিমেক হচ্ছে।
এদিকে একই দিনে (২ জুন) বাংলাদেশের মাল্টিপ্লেক্সটি মুক্তি দিচ্ছে ‘স্পাইডারম্যান’ ফ্র্যাঞ্চাইজির অ্যানিমেশন সিনেমা ‘স্পাইডারম্যান: অ্যাক্রস দ্য স্পাইডার ভার্স’। ফিল লর্ড, ক্রিস্টোফার মিলার এবং ডেভিড ক্যালাহামের চিত্রনাট্য থেকে ছবিটি পরিচালনা করেছেন যৌথভাবে জোকিম ডস সান্তোস, কেম্প পাওয়ারস এবং জাস্টিন কে. থম্পসন। অস্কার আইজ্যাক, হেইলি স্টেইনফেল্ড, জেক জনসন, ইসা রে, ব্রায়ান টাইরি হেনরি এবং লুনা লরেন ভেলেজের সাথে শ্যামিক মুর কণ্ঠ দিয়েছেন। মার্ভেলের কমিকস সিরিজের চরিত্র হলেও এই স্পাইডারম্যান টম হল্যান্ড নন। বরং এটি পুরোপুরি একটি কম্পিউটার অ্যানিমেটেড সিনেমা। যেখানে তরুণ স্পাইডার ম্যান কৃষ্ণাঙ্গ। এর তার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন শামিক মুর। পিটার পার্কারের ভূমিকায় কণ্ঠ দিয়েছেন মার্কিন অভিনেতা জেক জনসন। গোয়েন স্টেসির ভূমিকায় শোনা যাবে হেইলি স্টেনফিল্ডের কণ্ঠ।