ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিক্ষা উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ

এবার খালি হাতে ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী

  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

বছরের প্রথম দিন অনেক শিক্ষার্থী নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দিত- ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই এবং মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণির তিনটি-বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়েছে রাজধানীর বিদ্যালয়গুলো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু-একটি ক্লাসের কিছু বই দেওয়া হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বই পায়নি। কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পাবে তারও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বই না পেয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী খালি হাতে বাড়ি ফিরেছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে যেসব বই পৌঁছেছে, সেগুলোই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য বছর বই কম থাকলেও কোনও শিক্ষার্থী একটিও বই পায়নি, এমনটি হয়নি।

এদিকে, বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বই ছাপানোর কাজে পদে পদে ষড়যন্ত্র ছিল, যা অতিক্রম করা হয়েছে। আজও কোনও কোনও জেলায় ষড়যন্ত্র করে বই আটকে রাখা হয়েছিল। বই ছাপানোর কাজে অনেক প্রেসের মালিক, কাগজ উৎপাদনকারী সংস্থা কম মূল্যে কাগজ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এখনই সব বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছাতে না পেরে আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। সান্ত্বনা এতটুকুই, বইগুলো আগের চেয়ে সুন্দর হবে এবং বছরের মাঝখানে মলাট ছিঁড়ে যাবে না।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন, ‘১৫ জানুয়ারি’, আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন, ‘৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেওয়া যাবে।’ আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেবো না। পাঠ্যবই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলবো না। বই ছাপার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। আমি মনে করি, পাঠ্যবই ছাপার কাজটা এবার শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মতো হয়েছে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম সমস্যাটা হলো- আমরা বিদেশে বই ছাপাবো না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে অনিবার্য কারণে, তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেকগুলো বই পরিমার্জন করতে হয়েছে।’
পরিমার্জন বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষ সবকিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
বই ছাপার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুদের কাছে বই যাবে, সেটা ভালো কাগজে ছাপা না হলে তো হয় না। সেজন্য উন্নতমানের ছাপা, উন্নত মানের কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বসানো হয়েছে, তারা অনঅভিজ্ঞ। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির যে নেতা, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়াটা করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও এর মধ্যে ঢুকতে হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কাগজের মান ঠিক রাখা এবং আমাদের বই ছাপানোর কাজ বাদ দিয়ে যাতে নোই বইয়ের ছাপার কাজ না হয়, সে বিষয় তদারকির জন্য ঢাকার শিক্ষকদের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার টিমের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

বুধবার (১ জানুয়ারি) সরেজমিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি বইও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, চলতি দায়িত্ব) মো. ইমামুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পাওয়া গেছে। অন্য শ্রেণির বই যখন পাওয়া যাবে, তখন দেওয়া হবে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুননাহার লিপি বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পাইনি। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) শুধু সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পাওয়া গেছে, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা পারভীন জানান, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য ক্লাসের বই পাননি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ফতেপুর বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা মো. ফারুক হোসেন জানান, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি পেয়েছেন, অন্যান্য বই পাওয়া যায়নি।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষা উপদেষ্টার দুঃখ প্রকাশ

এবার খালি হাতে ফিরেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই এবং মাধ্যমিকের সপ্তম শ্রেণির তিনটি-বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়েছে রাজধানীর বিদ্যালয়গুলো। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দু-একটি ক্লাসের কিছু বই দেওয়া হলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বই পায়নি। কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবই পাবে তারও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। বই না পেয়ে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী খালি হাতে বাড়ি ফিরেছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) বছরের প্রথম দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে যেসব বই পৌঁছেছে, সেগুলোই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, অন্যান্য বছর বই কম থাকলেও কোনও শিক্ষার্থী একটিও বই পায়নি, এমনটি হয়নি।

এদিকে, বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বই ছাপানোর কাজে পদে পদে ষড়যন্ত্র ছিল, যা অতিক্রম করা হয়েছে। আজও কোনও কোনও জেলায় ষড়যন্ত্র করে বই আটকে রাখা হয়েছিল। বই ছাপানোর কাজে অনেক প্রেসের মালিক, কাগজ উৎপাদনকারী সংস্থা কম মূল্যে কাগজ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। এখনই সব বই ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছাতে না পেরে আমি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের প্রতি অন্তরের অন্তস্তল থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি। সান্ত্বনা এতটুকুই, বইগুলো আগের চেয়ে সুন্দর হবে এবং বছরের মাঝখানে মলাট ছিঁড়ে যাবে না।’
বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান বলছেন, ‘১৫ জানুয়ারি’, আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বলছেন, ‘৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই দেওয়া যাবে।’ আমি কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো কমিটমেন্ট দেবো না। পাঠ্যবই কবে ছাপা শেষ হবে, তা নিয়ে আমি কিছু বলবো না। বই ছাপার প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে কিছু কথা বলবো। আমি মনে করি, পাঠ্যবই ছাপার কাজটা এবার শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মতো হয়েছে।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম সমস্যাটা হলো- আমরা বিদেশে বই ছাপাবো না। তারপর শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করা হয়েছে অনিবার্য কারণে, তাতে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। যখন কাজ শুরু করা হয়েছিল, সেটা অনেক দেরিতে হয়েছে। অনেকগুলো বই পরিমার্জন করতে হয়েছে।’
পরিমার্জন বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনীতিতে নিরপেক্ষ বলে কিছু থাকে না, দলীয় রাজনীতি নিরপেক্ষ সবকিছু যেন বইয়ে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
বই ছাপার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুদের কাছে বই যাবে, সেটা ভালো কাগজে ছাপা না হলে তো হয় না। সেজন্য উন্নতমানের ছাপা, উন্নত মানের কাগজ ও মলাটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়া এনসিটিবিতে আগে যারা কাজ করেছেন, তাদের অনেককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাদের বসানো হয়েছে, তারা অনঅভিজ্ঞ। কিন্তু মুদ্রণ শিল্প সমিতির যে নেতা, তাদের সঙ্গে কীভাবে বোঝাপড়াটা করতে হয়, এটা তাদের অভিজ্ঞতায় নেই। সেটা করতে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাকেও এর মধ্যে ঢুকতে হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কাগজের মান ঠিক রাখা এবং আমাদের বই ছাপানোর কাজ বাদ দিয়ে যাতে নোই বইয়ের ছাপার কাজ না হয়, সে বিষয় তদারকির জন্য ঢাকার শিক্ষকদের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার টিমের মাধ্যমে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।’

বুধবার (১ জানুয়ারি) সরেজমিন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি বইও দেওয়া সম্ভব হয়নি।

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন শিক্ষা অফিস পরিদর্শন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, চলতি দায়িত্ব) মো. ইমামুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই পাওয়া গেছে। অন্য শ্রেণির বই যখন পাওয়া যাবে, তখন দেওয়া হবে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুননাহার লিপি বলেন, ‘চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই পাইনি। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এবং মাধ্যমিক স্তরের (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম) শুধু সপ্তম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পাওয়া গেছে, সেগুলো দেওয়া হয়েছে।’

মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খালেদা পারভীন জানান, প্রাথমিকের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির সব বই শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য ক্লাসের বই পাননি।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ফতেপুর বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা মো. ফারুক হোসেন জানান, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, গণিত ও ইংরেজি পেয়েছেন, অন্যান্য বই পাওয়া যায়নি।