ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

এবার ওহাইওতে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত

  • আপডেট সময় : ১১:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ইয়াংসটাউন শহরে এবার পানশালার বাইরে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত আটজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার ভোররাতের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন। দুজনের মধ্যে বাগ্বিত-ার জেরে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে পারে। একপর্যায়ে দুজনই বন্দুক বের করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন।
নগরের পুলিশপ্রধান কার্ল ডেভিস বলেন, গত রোববার ভোররাতের দিকে তাঁদের কাছে ফোন আসে। ইয়াংসটাউন শহরের টর্চ বার অ্যান্ড গ্রিল নামের পানশালার কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তি পড়ে আছে। সেখানে টহলরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন। পানশালার বাইরে গোলাগুলির সময় মানুষের বেশ ভিড় ছিল। এরই মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পানশালার ভেতরে কোনো বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ বলছে, ঠিক কী কারণে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটনার জন্য দায়ী এক বা একাধিক ব্যক্তি কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো ঘটনার জন্য দায়ী কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নগরীর মেয়র জামাইল টিটো ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন,এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মধ্যরাতের পর যখন পুলিশপ্রধান মেয়রকে ফোন করে জানাতে হয়, নগরীতে গোলাগুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তখন নগরপিতা হিসেবে তাঁর দুঃখজনক সময় পার করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা সাম্প্রতিক সময় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এমন বড় বড় ঘটনা ঘটলেই সবাই নড়েচড়ে বসেন, আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন করার কথা আলোচনায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গড়ে বন্দুক সহিংসতায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি গ্রীষ্ম মৌসুমে বেড়ে যায়। মানুষের আনন্দ সমাবেশ, পারিবারিক পার্টিতে সামান্য কথা–কাটাকাটি থেকেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার দিয়েছে। জীবনের দাম দিয়ে মার্কিন জনগণ যেন এখন সাংবিধানিক এই অধিকার রক্ষা করছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আবু সাঈদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা

এবার ওহাইওতে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত

আপডেট সময় : ১১:৪১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মে ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ইয়াংসটাউন শহরে এবার পানশালার বাইরে গোলাগুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত আটজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত রোববার ভোররাতের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত শুক্রবার মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গোলাগুলির ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও আটজন। দুজনের মধ্যে বাগ্বিত-ার জেরে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটতে পারে পারে। একপর্যায়ে দুজনই বন্দুক বের করে গুলি ছুড়তে শুরু করেন।
নগরের পুলিশপ্রধান কার্ল ডেভিস বলেন, গত রোববার ভোররাতের দিকে তাঁদের কাছে ফোন আসে। ইয়াংসটাউন শহরের টর্চ বার অ্যান্ড গ্রিল নামের পানশালার কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কয়েকজন ব্যক্তি পড়ে আছে। সেখানে টহলরত কয়েকজন পুলিশ সদস্যও ছিলেন। পানশালার বাইরে গোলাগুলির সময় মানুষের বেশ ভিড় ছিল। এরই মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পানশালার ভেতরে কোনো বিরোধ থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ বলছে, ঠিক কী কারণে ঘটনা ঘটেছে বা ঘটনার জন্য দায়ী এক বা একাধিক ব্যক্তি কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো ঘটনার জন্য দায়ী কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নগরীর মেয়র জামাইল টিটো ব্রাউন এক বিবৃতিতে বলেন,এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মধ্যরাতের পর যখন পুলিশপ্রধান মেয়রকে ফোন করে জানাতে হয়, নগরীতে গোলাগুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তখন নগরপিতা হিসেবে তাঁর দুঃখজনক সময় পার করতে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা সাম্প্রতিক সময় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এমন বড় বড় ঘটনা ঘটলেই সবাই নড়েচড়ে বসেন, আগ্নেয়াস্ত্র আইন সংশোধন করার কথা আলোচনায় আসে। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে গড়ে বন্দুক সহিংসতায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি গ্রীষ্ম মৌসুমে বেড়ে যায়। মানুষের আনন্দ সমাবেশ, পারিবারিক পার্টিতে সামান্য কথা–কাটাকাটি থেকেও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান নাগরিকদের অস্ত্র রাখার অধিকার দিয়েছে। জীবনের দাম দিয়ে মার্কিন জনগণ যেন এখন সাংবিধানিক এই অধিকার রক্ষা করছে।