ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

এবার ওসি-এসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে থেকে আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে সাত কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসির পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ঢাবি শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়ভার হিসেবে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। এর আগে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

অধিভুক্তি বাতিল ও ঢাবির প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে রোববার বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়, টেকনিক্যাল মোড় এবং তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন এবং ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা প্রথমে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে তারা ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন।

এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরিস্থিতি শান্ত করতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান। এ ঘটনার ভিডিও রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়।

রোববার রাতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার সংঘর্ষের পর সোমবার জরুরি বৈঠকে অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। সেই হিসেবে প্রায় আট বছর ঢাবির অধীনে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চলে সাত কলেজে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ওসি-এসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ পদত্যাগ না করলে সাত কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা।

ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসির পদত্যাগ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদ ঢাবি শিক্ষার্থী এবং সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেওয়ার দায়ভার হিসেবে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেওয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও এবং সাত কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। এর আগে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।

অধিভুক্তি বাতিল ও ঢাবির প্রো-ভিসির পদত্যাগ চেয়ে রোববার বিকেলে সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়, টেকনিক্যাল মোড় এবং তাঁতীবাজারে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিলেন। রাত সাড়ে ১০টায় সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন এবং ঢাবি প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীরা প্রথমে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে তারা ঢাবি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রো-ভিসির বাসভবন ঘেরাও করেন।

এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরিস্থিতি শান্ত করতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। কিন্তু সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে তিনি ব্যর্থ হয়ে সেখান থেকে ফিরে যান। এ ঘটনার ভিডিও রাতেই ভাইরাল হয়ে যায়।

রোববার রাতে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার সংঘর্ষের পর সোমবার জরুরি বৈঠকে অধিভুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে সেই সিদ্ধান্তের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন থাকা রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত করা হয়। সেই হিসেবে প্রায় আট বছর ঢাবির অধীনে ভর্তি ও শিক্ষা কার্যক্রম চলে সাত কলেজে।