ঢাকা ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

এবার উড়োজাহাজ চলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়

  • আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, জেনারেটিভ এআইয়ের সম্ভাবনা সীমাহীন। এই জেনারেটিভ এআই হলো একধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা ছবি, ভিডিও, অডিও, টেক্সট ও থ্রিডি মডেলের মতো বিভিন্ন ধরনের তথ্য তৈরি করতে পারে। এ খাতের নতুন নতুন সম্ভাবনা এখন খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা নিয়ে আরও এক সুখবর দিলেন এমিরেটস এয়ারলাইনসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক। তিনি বলেন, আকাশপথে ভ্রমণের ভবিষ্যৎ হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
ক্লার্ক বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন যাত্রীবাহী বিমানে বাস্তব জীবনের বৈমানিকের জায়গা দখল করে নেবে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হওয়ায় ভবিষ্যতে কোনো উড়োজাহাজে একজন মাত্র বৈমানিক থাকবেন।
এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভবিষ্যতে একজন বৈমানিক চালিত উড়োজাহাজ দেখতে পাবেন। প্রশ্ন থাকতে পারে, কোনো উড়োজাহাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারবে কি না? আমার উত্তর হচ্ছে—হ্যাঁ। প্রযুক্তি ওই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু উড়োজাহাজের যাত্রীরা দুজন বৈমানিক আছেন, তা ভাবতে পছন্দ করেন। তাই আমার মনে হয়, স্বয়ংক্রিয় উড়োজাহাজে একজন বৈমানিক প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। কিন্তু এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে আরও সময় লাগবে।’
ক্লার্ক আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী করতে পারে আর কী পারে না, তা নিয়ে অনেক মানুষ উদ্বেগে রয়েছে। কিন্তু যদি আপনি ব্যবসায়ী হন এবং শক্তিশালী কোনো প্রোগ্রাম হাতে পান, তবে তা আপনার জন্য কী ধরনের সুবিধা বয়ে আনবে, তা দেখার জন্য সময় দিতে হবে। ক্লার্ক মনে করেন, কোনো উড়োজাহাজ যদি সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত হয় তারপরও উড়োজাহাজে একজন চালক থাকতে হবে। কারণ, যাত্রীরা এআইয়ের চেয়ে বৈমানিকের ওপর আস্থা রাখেন বেশি। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈমানিকদের দক্ষতার ওপর আরও জোর দিয়ে বলেন, উড়োজাহাজ চালানোর বাইরেও তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ক্লার্ক বলেন, বৈমানিকেরা কেবল উড়োজাহাজ চালান না। দক্ষ পেশাদার হিসেবে তাঁরা বিস্তৃত নিরাপত্তাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেন। তাঁরা যাত্রী, ক্রু এবং মালামাল (কার্গো) নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

এবার উড়োজাহাজ চলবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায়

আপডেট সময় : ০৩:১৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

প্রত্যাশা ডেস্ক : বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, জেনারেটিভ এআইয়ের সম্ভাবনা সীমাহীন। এই জেনারেটিভ এআই হলো একধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা ছবি, ভিডিও, অডিও, টেক্সট ও থ্রিডি মডেলের মতো বিভিন্ন ধরনের তথ্য তৈরি করতে পারে। এ খাতের নতুন নতুন সম্ভাবনা এখন খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সক্ষমতা নিয়ে আরও এক সুখবর দিলেন এমিরেটস এয়ারলাইনসের প্রেসিডেন্ট টিম ক্লার্ক। তিনি বলেন, আকাশপথে ভ্রমণের ভবিষ্যৎ হতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। নিউইয়র্ক পোস্ট–এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
ক্লার্ক বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একদিন যাত্রীবাহী বিমানে বাস্তব জীবনের বৈমানিকের জায়গা দখল করে নেবে। এ ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহৃত হওয়ায় ভবিষ্যতে কোনো উড়োজাহাজে একজন মাত্র বৈমানিক থাকবেন।
এমিরেটসের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ভবিষ্যতে একজন বৈমানিক চালিত উড়োজাহাজ দেখতে পাবেন। প্রশ্ন থাকতে পারে, কোনো উড়োজাহাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে পারবে কি না? আমার উত্তর হচ্ছে—হ্যাঁ। প্রযুক্তি ওই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। কিন্তু উড়োজাহাজের যাত্রীরা দুজন বৈমানিক আছেন, তা ভাবতে পছন্দ করেন। তাই আমার মনে হয়, স্বয়ংক্রিয় উড়োজাহাজে একজন বৈমানিক প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। কিন্তু এ প্রযুক্তি বাস্তবায়নে আরও সময় লাগবে।’
ক্লার্ক আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী করতে পারে আর কী পারে না, তা নিয়ে অনেক মানুষ উদ্বেগে রয়েছে। কিন্তু যদি আপনি ব্যবসায়ী হন এবং শক্তিশালী কোনো প্রোগ্রাম হাতে পান, তবে তা আপনার জন্য কী ধরনের সুবিধা বয়ে আনবে, তা দেখার জন্য সময় দিতে হবে। ক্লার্ক মনে করেন, কোনো উড়োজাহাজ যদি সম্পূর্ণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত হয় তারপরও উড়োজাহাজে একজন চালক থাকতে হবে। কারণ, যাত্রীরা এআইয়ের চেয়ে বৈমানিকের ওপর আস্থা রাখেন বেশি। তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈমানিকদের দক্ষতার ওপর আরও জোর দিয়ে বলেন, উড়োজাহাজ চালানোর বাইরেও তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। ক্লার্ক বলেন, বৈমানিকেরা কেবল উড়োজাহাজ চালান না। দক্ষ পেশাদার হিসেবে তাঁরা বিস্তৃত নিরাপত্তাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করেন। তাঁরা যাত্রী, ক্রু এবং মালামাল (কার্গো) নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করেন।