ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫

এবছর সর্বনি¤œ ফিতরা ৭৫, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবছর বাংলাদেশে ফিতরার হার নির্ধারণ করেছে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটি। আগের বছরের তুলনা ৫ টাকা বাড়িয়ে জনপ্রতি সর্বনি¤œ ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। গত বছর সর্বনি¤œ ফিতরা ছিল ৭০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল দুই হাজার ৩১০ টাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামি শরিয়াহ মতে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন। আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম (এক সা’) বা এর বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। এছাড়া তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি। মাওলানা রুহুল আমিন আরও বলেন, ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় ফিতরা সংক্রান্ত কমিটির উপস্থিত সদস্যরা উল্লেখ করেন, নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এবছর সর্বনি¤œ ফিতরা ৭৫, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা

আপডেট সময় : ১২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : এবছর বাংলাদেশে ফিতরার হার নির্ধারণ করেছে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটি। আগের বছরের তুলনা ৫ টাকা বাড়িয়ে জনপ্রতি সর্বনি¤œ ৭৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভায় এই হার নির্ধারণ করা হয়। গত বছর সর্বনি¤œ ফিতরা ছিল ৭০ টাকা। আর সর্বোচ্চ ফিতরা ছিল দুই হাজার ৩১০ টাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। এতে ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, ইসলামি শরিয়াহ মতে মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের যে কোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে পারবেন। আটার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’)। খেজুর, কিসমিস, পনির ও যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রামের (এক সা’) মাধ্যমে সাদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করতে হয়। এসব পণ্যের বাজার মূল্য হিসাব করে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা’) বা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা। যবের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম (এক সা’) বা এর বাজার মূল্য ৩০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে। এছাড়া তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৪২০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। খেজুরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য এক হাজার ৬৫০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৩১০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে বলে জানান কমিটির সভাপতি। মাওলানা রুহুল আমিন আরও বলেন, ফিতরার পণ্যের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্য পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় ফিতরা সংক্রান্ত কমিটির উপস্থিত সদস্যরা উল্লেখ করেন, নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রূপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়।