ঢাকা ১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

এনসিপির সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি

  • আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে সমাবেশ শেষে এনসিপির নেতা-কর্মীদের ঘিরে ফেলে হামলা চালান একদল ব্যক্তি -ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শহরের পৌর পাকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
পরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।
এদিকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপি নেতারা: গোপালগঞ্জ থেকে সভা শেষ করে মাদারীপুর যাওয়ার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলায় সমাবেশ শেষ করে বের হয়ে যাওয়ার সময় হামলার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। জানা গেছে, সমাবেশ পরবর্তী হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের হতে না পেরে এনসিপি নেতাদের গাড়ি বহর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন দাবি করেন, আমাদেরকে পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। খুনি হাসিনার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে এখানে আসার পথেই বাধা দিচ্ছিল। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন হয়েছে যে প্রশাসনকে আমরা প্রটোকল দিয়ে নিয়ে আসছিলাম। আমরা গোপালগঞ্জবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে সমাবেশ করছিলাম। করার পর বের হওয়ার সময় আওয়ামীলীগের গুন্ডারা মুহুর্মুহু গুলি শুরু করেছে। পুলিশ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন, আমরা জানতাম না এটা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। আমাদেরকে পুলিশ ফেলে চলে যাওয়ায় আমরা যেদিকে পেরেছি বহর নিয়ে চলে আসছি। আসার পর আমরা দেখলাম যে এটা পুলিশ সুপারের কার্যালয়।

এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা, বোমাবাজি: এর আগে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, বোমাবাজি হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এ সময় সেখানে কয়েকটি ককটেল ফাটানো হয় এবং সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি বলেও এনসিপির অভিযোগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলা যখন হয়, তখন বৃষ্টি চলছিল। সমাবেশমঞ্চে ছিলেন এনসিপির স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছালেই পুরোদমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরুর জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় খাল পার হয়ে এসে লাঠিসোঁটা নিয়ে পৌরপার্কে সমাবেশস্থলে ঢুকে পড়েন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই থেকে তিনশন নেতাকর্মী। তারা বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন একং সমাবেশ মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। হঠাৎ আক্রমণে হতচকিত এনসিপি কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। তবে অল্প সময়ের মধ্যে তারা সামলে উঠে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানও ঘটনাস্থলে আসেন।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ২টার পরপরই সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এরপর পুরোদমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে বুধবার গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ছিল দলটির।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর আগে সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে। এ সময় সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয় বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান। এরপর বেলা ১১টার দিকে টেকেরহাট সড়কের কংশুর এলাকায় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসানের গাড়িতেও হামলা হয়। এ সময় গাড়িচালক মইন আহত হন। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টির মধ্যে সমাবেশ মঞ্চে হামলা হয়। এর আগে সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এনসিপির সমাবেশ ঘিরে রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা জারি

আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে হামলার চেষ্টা করে। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্য দিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা শহরের লঞ্চঘাট এলাকার শহরের পৌর পাকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল।
পরে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।
এদিকে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এনসিপি নেতারা: গোপালগঞ্জ থেকে সভা শেষ করে মাদারীপুর যাওয়ার পথে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলায় সমাবেশ শেষ করে বের হয়ে যাওয়ার সময় হামলার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইটপাটকেল। জানা গেছে, সমাবেশ পরবর্তী হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জ শহর থেকে বের হতে না পেরে এনসিপি নেতাদের গাড়ি বহর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ের ভেতর প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রবেশ করে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন দাবি করেন, আমাদেরকে পুরোপুরি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। খুনি হাসিনার কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে এখানে আসার পথেই বাধা দিচ্ছিল। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন হয়েছে যে প্রশাসনকে আমরা প্রটোকল দিয়ে নিয়ে আসছিলাম। আমরা গোপালগঞ্জবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে সমাবেশ করছিলাম। করার পর বের হওয়ার সময় আওয়ামীলীগের গুন্ডারা মুহুর্মুহু গুলি শুরু করেছে। পুলিশ লেজ গুটিয়ে পালিয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আরো বলেন, আমরা জানতাম না এটা পুলিশ সুপারের কার্যালয়। আমাদেরকে পুলিশ ফেলে চলে যাওয়ায় আমরা যেদিকে পেরেছি বহর নিয়ে চলে আসছি। আসার পর আমরা দেখলাম যে এটা পুলিশ সুপারের কার্যালয়।

এনসিপির সমাবেশ মঞ্চে হামলা, বোমাবাজি: এর আগে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, বোমাবাজি হয়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা মিছিল করে এসে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে গোপালগঞ্জ শহরের পৌরপার্ক এলাকায় সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে এনসিপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ। এ সময় সেখানে কয়েকটি ককটেল ফাটানো হয় এবং সাউন্ড বক্স, মাইক, চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পুলিশ হামলাকারীদের বাধা দেওয়ার কোনো চেষ্টা করেনি বলেও এনসিপির অভিযোগ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলা যখন হয়, তখন বৃষ্টি চলছিল। সমাবেশমঞ্চে ছিলেন এনসিপির স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা পৌঁছালেই পুরোদমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরুর জন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় খাল পার হয়ে এসে লাঠিসোঁটা নিয়ে পৌরপার্কে সমাবেশস্থলে ঢুকে পড়েন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই থেকে তিনশন নেতাকর্মী। তারা বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন একং সমাবেশ মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। হঠাৎ আক্রমণে হতচকিত এনসিপি কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান। তবে অল্প সময়ের মধ্যে তারা সামলে উঠে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানও ঘটনাস্থলে আসেন।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বেলা ২টার পরপরই সমাবেশস্থলে পৌঁছান। এরপর পুরোদমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে বুধবার গোপালগঞ্জে পদযাত্রা ছিল দলটির।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহর গোপালগঞ্জে পৌঁছানোর আগে সকালে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় ও ভাঙচুর করে। এ সময় সেখানে কয়েকজন পুলিশ সদস্য মারধরের শিকার হয় বলে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান। এরপর বেলা ১১টার দিকে টেকেরহাট সড়কের কংশুর এলাকায় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসানের গাড়িতেও হামলা হয়। এ সময় গাড়িচালক মইন আহত হন। এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টির মধ্যে সমাবেশ মঞ্চে হামলা হয়। এর আগে সকালে সদর উপজেলার গান্ধীয়াশুর এলাকায় ঘোনাপাড়া-টেকেরহাট আঞ্চলিক সড়কে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।