ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রাপ্তি যেসব ক্রিকেটার

  • আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: বিপিএলের বাইরে আরও একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব ছিল আগে থেকেই। গত বিপিএলের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একটা ইন্টারভিউ সেই তাগিদ উসকে দিয়েছিল আরও খানিকটা।

এরপরেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দেখা গেল জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নতুন প্রতিযোগিতা। দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যার শেষটা হয়েছে লো-স্কোরিং এক ফাইনালে রংপুর বিভাগের শিরোপা উৎসবের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট তিনজনেই পরিচিত এবং পরিণত নাম। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাইম শেখ। জাতীয় দলে অনেকটা দিন ধরেই খেলেছেন। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী আলাউদ্দিন বাবু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন লম্বা সময় ধরে। ৩৩ বছর বয়েসী আলাউদ্দিন বাবু একেবারেই চেনা নাম। আর টুর্নামেন্ট সেরা আবু হায়দার রনি জাতীয় দলে অভিষেকের স্বাদ পেয়েছেন অনেকটা আগে। এখন অবশ্য ইমার্জিং দলের হয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে আছেন।
তবে এর বাইরে গিয়ে খোঁজ করার চোখ রাখলে পাওয়া যাবে কয়েকজনকে। যার মধ্যে জিসান আলম, আজিজুল হাকিম তামিম, হাবিবুর রহমান সোহান বড় নাম।

দুজনেই বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জিসান খেলেছেন সিলেটের হয়ে। আসরের প্রথম ম্যাচেই ৫২ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। পরে ছিল আরও দুই ফিফটি। ১৫৮.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান করা জিশানের ব্যাট থেকে এসেছে আসরের সর্বোচ্চ ২২টি ছক্কা। আজিজুল হাকিম তামিম সদ্য সমাপ্ত যুব এশিয়া কাপ থেকেই দেশের ক্রিকেটে বহুল উচ্চারিত নাম। ৯ ম্যাচে করেছেন ২৩৭ রান, সেটাও ১৩৭ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইকরেটে। প্রশংসা পেতেই পারেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বর্তমান অধিনায়ক। একইরকম প্রশংসা প্রাপ্য হাবিবুর রহমান সোহানের। এবারের আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ ছক্কা তার।

হাবিবুর রাজশাহীর হয়ে ম্যাচে ১৬০.৮৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৫৯ রান। আলাদা করে বলতে হয় আকবর আলীর কথা। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। এবার রংপুরকে দিয়েছেন শিরোপার স্বাদ। ১৪ ছক্কায় ১৪৯.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ২০৮ রান করা আকবর উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল করেছেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১২টি। নিজের সাবেক সতীর্থদের পাশে জাতীয় দলে নিজের জায়গার জোর দাবিও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। বল হাতে ২০ বছর বয়েসের আহমদ শরীফকে বলা যেতে পারে আলোচিত নাম।

চট্টগ্রামের এই বোলার এনসিএলে ৪ ম্যাচে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। এরপর এনসিএলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বল হাতে নিলেন ১৭ উইকেট। আর তিনে থাকা রাকিবুল এরইমাঝে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। জাতীয় দলে প্রবেশ করার একেবারেই কাছাকাছি আছেন যুব বিশ্বকাপ জেতা এই অফস্পিনার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রাপ্তি যেসব ক্রিকেটার

আপডেট সময় : ০৬:০৩:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক: বিপিএলের বাইরে আরও একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব ছিল আগে থেকেই। গত বিপিএলের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের একটা ইন্টারভিউ সেই তাগিদ উসকে দিয়েছিল আরও খানিকটা।

এরপরেই ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দেখা গেল জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নতুন প্রতিযোগিতা। দেশের তরুণ ক্রিকেটারদের তুলে আনার লক্ষ্য নিয়েই শুরু হয়েছিল এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যার শেষটা হয়েছে লো-স্কোরিং এক ফাইনালে রংপুর বিভাগের শিরোপা উৎসবের মাধ্যমে। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এবং ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট তিনজনেই পরিচিত এবং পরিণত নাম। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাইম শেখ। জাতীয় দলে অনেকটা দিন ধরেই খেলেছেন। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী আলাউদ্দিন বাবু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন লম্বা সময় ধরে। ৩৩ বছর বয়েসী আলাউদ্দিন বাবু একেবারেই চেনা নাম। আর টুর্নামেন্ট সেরা আবু হায়দার রনি জাতীয় দলে অভিষেকের স্বাদ পেয়েছেন অনেকটা আগে। এখন অবশ্য ইমার্জিং দলের হয়ে নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে আছেন।
তবে এর বাইরে গিয়ে খোঁজ করার চোখ রাখলে পাওয়া যাবে কয়েকজনকে। যার মধ্যে জিসান আলম, আজিজুল হাকিম তামিম, হাবিবুর রহমান সোহান বড় নাম।

দুজনেই বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। জিসান খেলেছেন সিলেটের হয়ে। আসরের প্রথম ম্যাচেই ৫২ বলে করেছেন সেঞ্চুরি। পরে ছিল আরও দুই ফিফটি। ১৫৮.৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৮১ রান করা জিশানের ব্যাট থেকে এসেছে আসরের সর্বোচ্চ ২২টি ছক্কা। আজিজুল হাকিম তামিম সদ্য সমাপ্ত যুব এশিয়া কাপ থেকেই দেশের ক্রিকেটে বহুল উচ্চারিত নাম। ৯ ম্যাচে করেছেন ২৩৭ রান, সেটাও ১৩৭ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইকরেটে। প্রশংসা পেতেই পারেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বর্তমান অধিনায়ক। একইরকম প্রশংসা প্রাপ্য হাবিবুর রহমান সোহানের। এবারের আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ ছক্কা তার।

হাবিবুর রাজশাহীর হয়ে ম্যাচে ১৬০.৮৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২৫৯ রান। আলাদা করে বলতে হয় আকবর আলীর কথা। ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন। এবার রংপুরকে দিয়েছেন শিরোপার স্বাদ। ১৪ ছক্কায় ১৪৯.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ২০৮ রান করা আকবর উইকেটের পেছনে ডিসমিসাল করেছেন টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১২টি। নিজের সাবেক সতীর্থদের পাশে জাতীয় দলে নিজের জায়গার জোর দাবিও জানিয়ে রেখেছেন তিনি। বল হাতে ২০ বছর বয়েসের আহমদ শরীফকে বলা যেতে পারে আলোচিত নাম।

চট্টগ্রামের এই বোলার এনসিএলে ৪ ম্যাচে পেয়েছিলেন ১১ উইকেট। এরপর এনসিএলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে বল হাতে নিলেন ১৭ উইকেট। আর তিনে থাকা রাকিবুল এরইমাঝে নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ে। জাতীয় দলে প্রবেশ করার একেবারেই কাছাকাছি আছেন যুব বিশ্বকাপ জেতা এই অফস্পিনার।