ঢাকা ০৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

এনআইডি সংশোধন বন্ধ করা যাবে না

  • আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি জানায়, তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠপর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাঠানো হয়। ওই মুদ্রিত ভোটার তালিকা মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বরের পরও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন নিবন্ধন বা এনআইডি প্রাপ্তির প্রয়োজনে নাগরিকদের বায়োমেট্রিকসহ তথ্যাদি গ্রহণে আপত্তি/অনাগ্রহ দেখান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সে ক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অর্থ অবমুক্ত ও অনুদান না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইসি জানায়, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ (সংলগ্নী-২) অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে, অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি বা আধা-সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ ও অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন দ-নীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালার বিধি-১৮ অনুযায়ী দ-নীয় হবেন। চিঠিতে ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মাশুল প্রদান করেও এসব ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৩ অনুসারে নির্বাচনের আগে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাচনী এলাকায় অনুদান, ত্রাণ বিতরণ বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অনুমোদিত প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এনআইডি সংশোধন বন্ধ করা যাবে না

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না বলে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি জানায়, তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী নির্দেশনাটি সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ এ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ১৫ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠপর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাঠানো হয়। ওই মুদ্রিত ভোটার তালিকা মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বরের পরও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির জন্য তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন নিবন্ধন বা এনআইডি প্রাপ্তির প্রয়োজনে নাগরিকদের বায়োমেট্রিকসহ তথ্যাদি গ্রহণে আপত্তি/অনাগ্রহ দেখান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা পাঠানো হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার হিসেবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে। এ জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বাছাইসহ সব কার্যক্রম সর্বশেষ প্রেরিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বা সিডি বা মুদ্রিত তালিকা অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে। ১৪ সেপ্টেম্বরেরর পর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে কারও নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ও ৩০ সেপ্টেম্বরের পর ভোটার স্থানান্তর করা হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হবে এবং সে ক্ষেত্রে সম্পূরক ভোটার তালিকার ভিত্তিতেও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অর্থ অবমুক্ত ও অনুদান না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা -২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইসি জানায়, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ (সংলগ্নী-২) অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে, অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি বা আধা-সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ ও অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন দ-নীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালার বিধি-১৮ অনুযায়ী দ-নীয় হবেন। চিঠিতে ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মাশুল প্রদান করেও এসব ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৩ অনুসারে নির্বাচনের আগে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাচনী এলাকায় অনুদান, ত্রাণ বিতরণ বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অনুমোদিত প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।