ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

এত বাড়ির মালিক, তবু পূর্বাচলে প্লট লাগবে কেন : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১২৯ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বিশাল বিশাল অট্টালিকা থাকলেও নতুন গড়ে উঠা পূর্বাচলে একটি প্লটের জন্য অনেকের মরিয়াভাবের কথা তুলে ধরে তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অবশিষ্ট মূল অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত একহাজার ৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত সম্পদ গড়ার মানসিকতা পরিহারের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের এত বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বাড়িঘর ফ্ল্যাট সবই আছে, তাদের আরো লাগবে কেন? মরলে তো সবাইকে যেতে হবে সেই কবরে- মাত্র তিন হাত-সাড়ে তিন হাত জায়গায়। এই ধনসম্পদ কেউ সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। এই কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায় আমি জানি না।
‘আমরা শহর গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দেশে যারা বিত্তশালী তারা প্লট কেনেন, ভালো ভালো দৃষ্টিননন্দন বাড়িঘর বানান। যখন পূর্বাচল শুরু হলো, তখন আমি দেখেছি.. এমনকি গুলশান, বারিধারায় বিশাল বিশাল অট্টালিকাও যাদের, তাদেরও পূর্বাচলে একটা প্লট না থাকলে নাকি ইজ্জতই থাকে না। এই রকমও কিছু কিছু মানুষের মানসিকতা আমি দেখেছি।’
রোববার যারা প্লটের বরাদ্দ পেলেন, তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু যাদের সত্যিকার প্রাপ্য, আপনারা কিন্তু বঞ্চিত ছিলেন। কাজেই আমার সব সময় একটা প্রচেষ্টা ছিল যে কীভাবে আপনাদের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেব। আপনারা জমি দিয়েছেন, অথচ আপনারা প্লট পাবেন না এটা হতে পারে না।’
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পূর্বাচলে জাতির পিতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের একটা প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব এলেও তাতে সায় দেননি বলে অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান জানান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ফাইলে আমি লিখে দিয়েছিলাম, এখানকার যারা আদিবাসী তারা প্লট পাবে। তারপর আমি এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব। তার আগে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেব না এবং কীভাবে প্লট বের করবে সেটা যেন মন্ত্রণালয় বা রাজউক যেন খুঁজে বের করে- সেই নির্দেশনাটাই আমি দিয়েছি।
‘আমি এইটুকু চাই- বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যেইটুকু পারি, যেভাবে পারি একটা মানুষকে একটা ঘর, একটা মাথা গোজার ঠাঁই সেটা আমরা করে দেব এবং প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে, আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে, লেখাপড়া শিখবে।
যুব সমাজকে আতœনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শুধু কেতাবি না, সাথে সাথে ‘ভোকেশনাল ট্রেইনিং’ নিতে হবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এত বাড়ির মালিক, তবু পূর্বাচলে প্লট লাগবে কেন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১


নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বিশাল বিশাল অট্টালিকা থাকলেও নতুন গড়ে উঠা পূর্বাচলে একটি প্লটের জন্য অনেকের মরিয়াভাবের কথা তুলে ধরে তার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অবশিষ্ট মূল অধিবাসী ও সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত একহাজার ৪৪০ জনের মধ্যে প্লট বরাদ্দ প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি অতিরিক্ত সম্পদ গড়ার মানসিকতা পরিহারের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের এত বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বাড়িঘর ফ্ল্যাট সবই আছে, তাদের আরো লাগবে কেন? মরলে তো সবাইকে যেতে হবে সেই কবরে- মাত্র তিন হাত-সাড়ে তিন হাত জায়গায়। এই ধনসম্পদ কেউ সাথে নিয়ে যেতে পারবে না। এই কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায় আমি জানি না।
‘আমরা শহর গড়ে তুলতে চাই। আমাদের দেশে যারা বিত্তশালী তারা প্লট কেনেন, ভালো ভালো দৃষ্টিননন্দন বাড়িঘর বানান। যখন পূর্বাচল শুরু হলো, তখন আমি দেখেছি.. এমনকি গুলশান, বারিধারায় বিশাল বিশাল অট্টালিকাও যাদের, তাদেরও পূর্বাচলে একটা প্লট না থাকলে নাকি ইজ্জতই থাকে না। এই রকমও কিছু কিছু মানুষের মানসিকতা আমি দেখেছি।’
রোববার যারা প্লটের বরাদ্দ পেলেন, তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু যাদের সত্যিকার প্রাপ্য, আপনারা কিন্তু বঞ্চিত ছিলেন। কাজেই আমার সব সময় একটা প্রচেষ্টা ছিল যে কীভাবে আপনাদের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেব। আপনারা জমি দিয়েছেন, অথচ আপনারা প্লট পাবেন না এটা হতে পারে না।’
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে পূর্বাচলে জাতির পিতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের একটা প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব এলেও তাতে সায় দেননি বলে অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান জানান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই ফাইলে আমি লিখে দিয়েছিলাম, এখানকার যারা আদিবাসী তারা প্লট পাবে। তারপর আমি এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব। তার আগে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেব না এবং কীভাবে প্লট বের করবে সেটা যেন মন্ত্রণালয় বা রাজউক যেন খুঁজে বের করে- সেই নির্দেশনাটাই আমি দিয়েছি।
‘আমি এইটুকু চাই- বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যেইটুকু পারি, যেভাবে পারি একটা মানুষকে একটা ঘর, একটা মাথা গোজার ঠাঁই সেটা আমরা করে দেব এবং প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে, আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে, লেখাপড়া শিখবে।
যুব সমাজকে আতœনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার প্রত্যয়ের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লেখাপড়া শুধু কেতাবি না, সাথে সাথে ‘ভোকেশনাল ট্রেইনিং’ নিতে হবে, কারিগরি শিক্ষা নিতে হবে, যেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।