ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এতিম শিশুকে নৃশংসভাবে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, শিক্ষকের অব্যাহতি

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • ২৩ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতকে নৃশংসভাবে এতিম ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুকে পেটাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক। একপর্যায়ে সহ্য না করতে পেরে শিশুটি পা ধরে ফেলে শিক্ষকের। তারপরও রেহাই পায়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা মো. আবদুল মুকিত শিশুটিকে বেধড়ক পেটানোর এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিষয়টি এতিমখানার যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিচালকদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা শিক্ষককে অব্যাহতিপত্র ধরিয়ে দেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুল মুকিত মৌখিকভাবে নির্যাতনের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে অব্যাহতিপত্রে। এর আগেও তিনি এভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজি ইউসুফ আলী এতিমখানা হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আবদুল মুকিত একই উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই ভিডিওটি কয়েক মাস আগের। এ নির্মম ঘটনার ভিডিওটি মাদরাসারই অন্য কোনো শিক্ষক গোপনে ধারণ করেন। কয়েক দিন পরে এটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিনজন এতিম শিশু দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে স্টিলের স্কেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুকিত। ৮ থেকে ৯ বছরের এতিম শিশুরা হলো একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবু তাহের, শফিউর রহমান ও নিলয় মিয়া। শফিউর ও নিলয়কে এর আগে বেদম প্রহার শেষে ৮ থেকে ৯ বছরের আবু তাহেরকে দুই হাত বের করে স্টিলের স্কেল দিয়ে সমানে পিটাতে থাকেন মো. আবদুল মুকিত। অনেক সময় ধরে পেটানোর পর ওই শিশুটি পা ধরে বসে থাকে। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষকও ইতোমধ্যে অন্য একটি মাদরাসায় চাকরি নিয়েছেন। তবে এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে পরিচালনা পরিষদ। হাজি ইউসুফ আলী এতিমখানা হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসুল বলেন, গত ৬ নভেম্বর আবদুল মুকিতকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন শিশুকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। গোলাম রসুল বলেন, ওই শিক্ষকের কৃতকর্ম সংশ্লিষ্ট সব কিছুই সংক্ষিপ্তভাবে তার অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ আছে। ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এতিম শিশুকে নৃশংসভাবে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, শিক্ষকের অব্যাহতি

আপডেট সময় : ০১:৩১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতকে নৃশংসভাবে এতিম ৮ থেকে ৯ বছরের এক শিশুকে পেটাচ্ছেন মাদরাসা শিক্ষক। একপর্যায়ে সহ্য না করতে পেরে শিশুটি পা ধরে ফেলে শিক্ষকের। তারপরও রেহাই পায়নি। প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা মো. আবদুল মুকিত শিশুটিকে বেধড়ক পেটানোর এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বিষয়টি এতিমখানার যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিচালকদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা শিক্ষককে অব্যাহতিপত্র ধরিয়ে দেন। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আবদুল মুকিত মৌখিকভাবে নির্যাতনের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে অব্যাহতিপত্রে। এর আগেও তিনি এভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজি ইউসুফ আলী এতিমখানা হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আবদুল মুকিত একই উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই ভিডিওটি কয়েক মাস আগের। এ নির্মম ঘটনার ভিডিওটি মাদরাসারই অন্য কোনো শিক্ষক গোপনে ধারণ করেন। কয়েক দিন পরে এটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিনজন এতিম শিশু দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে স্টিলের স্কেল নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল মুকিত। ৮ থেকে ৯ বছরের এতিম শিশুরা হলো একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবু তাহের, শফিউর রহমান ও নিলয় মিয়া। শফিউর ও নিলয়কে এর আগে বেদম প্রহার শেষে ৮ থেকে ৯ বছরের আবু তাহেরকে দুই হাত বের করে স্টিলের স্কেল দিয়ে সমানে পিটাতে থাকেন মো. আবদুল মুকিত। অনেক সময় ধরে পেটানোর পর ওই শিশুটি পা ধরে বসে থাকে। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষকও ইতোমধ্যে অন্য একটি মাদরাসায় চাকরি নিয়েছেন। তবে এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে পরিচালনা পরিষদ। হাজি ইউসুফ আলী এতিমখানা হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসুল বলেন, গত ৬ নভেম্বর আবদুল মুকিতকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন শিশুকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। গোলাম রসুল বলেন, ওই শিক্ষকের কৃতকর্ম সংশ্লিষ্ট সব কিছুই সংক্ষিপ্তভাবে তার অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ আছে। ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’