ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

এটি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সফল ভারত সফর : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমার দেখা সফরগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সফলতম সফর ছিল এবারের ভারত সফর। যারা এই সফর হওয়ার আগে এবং পরে অণুবীক্ষণ-দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে, রাজনৈতিক মতাদর্শ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তাদের কাছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক অগ্নি রায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ আমেনা মহসিন, টাইমস অব ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর মহুয়া চট্টোপাধ্যায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ, টেলিগ্রাফের সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এবং দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদক কল্লোল ভট্টাচার্য।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এই সফরে ৩৩ দফার একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সাতটি সমঝোতার উল্লেখ আছে, ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা কন্সট্রাকশন শুরু অথবা কোন পর্যায়ে আছে সেটি দুই জাতিকে অবহিত করা হয়েছে। এই সফরের প্রেক্ষিতে আমি মনে করি না চাওয়া-পাওয়ার কথা একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। একটি সফরে কেউ কম পাবে, কেউ বেশি পাবে। এখানে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি পর্যায়ে এসেছে যেটি সে ডিজার্ভ করে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির জায়গা থেকে বাংলাদেশ সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আলোচনায় শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যান তখন একটা প্রত্যাশার পারদ তৈরি হয়ে যায়। প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। ফলে একটা প্রকৃত মূল্যায়ন আমরা চাই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এমন একটি জায়গায় চলে গেছে যেটিকে আমি এখন মনে করি যে ‘চাওয়া-পাওয়ার’মধ্যে নেই। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যখন বৈঠক হয় তখন সব বিষয় আলোচনায় আসে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক। তারা একান্তে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি দুজন আরও এক ঘণ্টা মধ্যাহ্নভোজে আলোচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের পরিবারকে বৃত্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি গ্লোবাল পারস্পেক্টিভে আমরা এই সফরটিকে দেখতে চাই।
দেবদীপ পুরোহিত বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে লোক নানা কথা বলবে। আমি মনে করি বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী। এখানে সম্পর্কের অনেক ডায়নামিক্স আছে। কিছু ভালো হবে কিছু খারাপ হবে। তবে ফোকাসটা যাতে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এটা একটা সম্পর্কের স্পিরিট হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে ডায়নামিক্সটা এমন হয়ে গেছে যে প্রথম প্রশ্নই আসে-বাংলাদেশ কী পেলো? আমি ২০১১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক কাভার করছি। আমার কাছে এবারের সফর খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে এবং অত্যন্ত ইতিবাচক মনে হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অনেক পরিণত। যিনি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আমি যদি এগিয়ে যাই তাহলে আমার দেশ এবং বন্ধু-সবাই উপকৃত হয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যখন এই আস্থা নিশ্চিত হয়ে যায় যে ভারত আছে আমার চারপাশে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত, আমরা আছি ভারতের পেটের ভেতরে। আমাদের দিক থেকে ভারতের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। এই আস্থার জায়গা হলে আমরা চারদিকে সবার সহযোগিতার হাত গ্রহণ করতে পারি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি বিনা দ্বিধায়।
অগ্নি রায় বলেন, আগে একসময় আমরা দূতাবাসের ঠিকানাই জানতাম না, যাওয়া হতো না। একমাত্র দুদেশের সীমান্তরক্ষীর মিটিং হলে তখন প্রেস কনফারেন্সের একটি কাগজ দিয়ে দিতো। আর এখন দূতাবাসে গিয়ে চা খেতে খেতে ভিসা হয়ে গেলো, চলে এলাম। এটা কী বুঝিয়ে দেয় না যে সম্পর্ক কতটা বদলে গেছে। সুতরাং ওই যে ‘চাওয়া পাওয়া’ এর মধ্যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক যদি ফ্রেম করে রাখি তাহলে মনে হয় একটু অবিচার করা হয়ে যাবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেলে আমরা পৌঁছাইনি তবে সে পথে হাঁটছি। আমাকে যদি বলা হয় রোল মডেল কোথায়, আমি তাহলে বলবো ইউরোপীয় ইউনিয়নে এটা আমি দেখি। সাউথ এশিয়ার কনটেক্সটে অবশ্যই আমরা রোল মডেল, তবে গ্লোবাল প্রেক্ষাপটে আমাদের আরও এগুতে হবে।
মহুয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের দুই মাস আগেও আমরা ঢাকায় একরকম তোড়জোড় দেখেছি। আমরা যারা বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক কাভার করি, তাদের মধ্যেও কিন্তু একটা প্রস্তুতি ছিল। এই তিন বছরের গ্যাপে ট্রেড, ইকোনমি ছাড়াও রাজনৈতিক অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমেনা মহসিন বলেন, ফরেন পলিসি একটা প্রসেস ওরিয়েন্টেড বিষয়। সেই জায়গা থেকে বললে আমরা সঠিক পথে আছি। এখানে এত চিন্তা ভাবনার সুযোগ নেই। আমার কাছে এই সফরের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক মনে হয়েছে কানেক্টিভিটির জায়গা। এই জায়গা ভীষণভাবে ফোকাসড ছিল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এটি প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম সফল ভারত সফর : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আমার দেখা সফরগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সফলতম সফর ছিল এবারের ভারত সফর। যারা এই সফর হওয়ার আগে এবং পরে অণুবীক্ষণ-দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে, রাজনৈতিক মতাদর্শ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তাদের কাছে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার। গতকাল শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত ‘প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর সঞ্চালনায় গোলটেবিল আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার সাংবাদিক অগ্নি রায়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ আমেনা মহসিন, টাইমস অব ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর মহুয়া চট্টোপাধ্যায়, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ, টেলিগ্রাফের সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর এবং দ্য হিন্দু পত্রিকার প্রতিবেদক কল্লোল ভট্টাচার্য।
শাহরিয়ার আলম বলেন, এই সফরে ৩৩ দফার একটি যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে সাতটি সমঝোতার উল্লেখ আছে, ছয়টি প্রকল্পের উদ্বোধন কিংবা কন্সট্রাকশন শুরু অথবা কোন পর্যায়ে আছে সেটি দুই জাতিকে অবহিত করা হয়েছে। এই সফরের প্রেক্ষিতে আমি মনে করি না চাওয়া-পাওয়ার কথা একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। একটি সফরে কেউ কম পাবে, কেউ বেশি পাবে। এখানে বাংলাদেশ অবশ্যই একটি পর্যায়ে এসেছে যেটি সে ডিজার্ভ করে। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির জায়গা থেকে বাংলাদেশ সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আলোচনায় শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে যান তখন একটা প্রত্যাশার পারদ তৈরি হয়ে যায়। প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তি নিয়ে অনেক আলোচনা আছে। ফলে একটা প্রকৃত মূল্যায়ন আমরা চাই। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এমন একটি জায়গায় চলে গেছে যেটিকে আমি এখন মনে করি যে ‘চাওয়া-পাওয়ার’মধ্যে নেই। দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যখন বৈঠক হয় তখন সব বিষয় আলোচনায় আসে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠক। তারা একান্তে প্রায় আধঘণ্টা বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি দুজন আরও এক ঘণ্টা মধ্যাহ্নভোজে আলোচনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয় সেনাদের পরিবারকে বৃত্তি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি গ্লোবাল পারস্পেক্টিভে আমরা এই সফরটিকে দেখতে চাই।
দেবদীপ পুরোহিত বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে লোক নানা কথা বলবে। আমি মনে করি বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী। এখানে সম্পর্কের অনেক ডায়নামিক্স আছে। কিছু ভালো হবে কিছু খারাপ হবে। তবে ফোকাসটা যাতে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এটা একটা সম্পর্কের স্পিরিট হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে ডায়নামিক্সটা এমন হয়ে গেছে যে প্রথম প্রশ্নই আসে-বাংলাদেশ কী পেলো? আমি ২০১১ সাল থেকে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক কাভার করছি। আমার কাছে এবারের সফর খুব ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে এবং অত্যন্ত ইতিবাচক মনে হয়েছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমদ বলেন, ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন অনেক পরিণত। যিনি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আমি যদি এগিয়ে যাই তাহলে আমার দেশ এবং বন্ধু-সবাই উপকৃত হয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যখন এই আস্থা নিশ্চিত হয়ে যায় যে ভারত আছে আমার চারপাশে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত, আমরা আছি ভারতের পেটের ভেতরে। আমাদের দিক থেকে ভারতের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই। এই আস্থার জায়গা হলে আমরা চারদিকে সবার সহযোগিতার হাত গ্রহণ করতে পারি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারি বিনা দ্বিধায়।
অগ্নি রায় বলেন, আগে একসময় আমরা দূতাবাসের ঠিকানাই জানতাম না, যাওয়া হতো না। একমাত্র দুদেশের সীমান্তরক্ষীর মিটিং হলে তখন প্রেস কনফারেন্সের একটি কাগজ দিয়ে দিতো। আর এখন দূতাবাসে গিয়ে চা খেতে খেতে ভিসা হয়ে গেলো, চলে এলাম। এটা কী বুঝিয়ে দেয় না যে সম্পর্ক কতটা বদলে গেছে। সুতরাং ওই যে ‘চাওয়া পাওয়া’ এর মধ্যে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক যদি ফ্রেম করে রাখি তাহলে মনে হয় একটু অবিচার করা হয়ে যাবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেলে আমরা পৌঁছাইনি তবে সে পথে হাঁটছি। আমাকে যদি বলা হয় রোল মডেল কোথায়, আমি তাহলে বলবো ইউরোপীয় ইউনিয়নে এটা আমি দেখি। সাউথ এশিয়ার কনটেক্সটে অবশ্যই আমরা রোল মডেল, তবে গ্লোবাল প্রেক্ষাপটে আমাদের আরও এগুতে হবে।
মহুয়া চট্টোপাধ্যায় বলেন, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের দুই মাস আগেও আমরা ঢাকায় একরকম তোড়জোড় দেখেছি। আমরা যারা বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক কাভার করি, তাদের মধ্যেও কিন্তু একটা প্রস্তুতি ছিল। এই তিন বছরের গ্যাপে ট্রেড, ইকোনমি ছাড়াও রাজনৈতিক অনেক ঘটনা ঘটে গেছে। আমেনা মহসিন বলেন, ফরেন পলিসি একটা প্রসেস ওরিয়েন্টেড বিষয়। সেই জায়গা থেকে বললে আমরা সঠিক পথে আছি। এখানে এত চিন্তা ভাবনার সুযোগ নেই। আমার কাছে এই সফরের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক মনে হয়েছে কানেক্টিভিটির জায়গা। এই জায়গা ভীষণভাবে ফোকাসড ছিল।