ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এগিয়ে চলি একসাথে

  • আপডেট সময় : ১০:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তাজুল ইসলাম : ই-ক্যাব নির্বাচনে টিম ‘ঐক্য’ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কথা হল তাঁর সঙ্গে। জানালেন তাঁর প্রতিশ্রুতির কথাÑ‘আমি লজিস্টিকসের ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে চাই’

প্রশ্ন: নিজেকে ই-ক্যাব নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী মনে করেন কেন?
মোঃ তাজুল ইসলাম: ৯০ এর দশকে ই-কমার্স শব্দটির সঙ্গে আমার পরিচয়। ইন্টারনেট কানেকশনকে কানেক্ট করতে কাজ করেছি। তখন আমরা ম্যানুয়াল প্লাটফর্মে অর্ডার নিতাম ওভার ফোনে এবং ডোর টু ডোর ডেলিভারি করতাম। ই-কমার্সের শুরুর দিকে আমার প্রতিষ্ঠান আইএক্সপ্রেস লি. প্রায় সব প্লাটফর্মের হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিয়েছে। তখন অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথম ই-কমার্সের সেম ডে ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেছি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারব বলে মনে করি। ছাত্র জীবন থেকে আজ পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রির লজিস্টিকস পাটে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিসেস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এবং ভনপপর স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লজিস্টিকস কুরিয়ার সার্ভিসেসের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করছি।
প্রশ্ন: আসন্ন ই-ক্যাব নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
মোঃ তাজুল ইসলাম: সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এখানে যারা ভোটার বা সদস্য আছেন ওনারা প্রত্যেকেই যোগ্য ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। বর্তমানে ই-কমার্সের চিহ্নিত ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে যারা জোরালো ভূমিকা রাখবেন আমাদের সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে তাদেরকেই বেছে নেবেন।
প্রশ্ন: আপনার প্যানেলের নাম ঐক্য রাখার কারণ কী?
মোঃ তাজুল ইসলাম: একতা ছাড়া কোনো কাজে সফলতা আনা কঠিন। আমরা সব সদস্যেদের নিয়ে ভালো কাজগুলো সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে সব প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকদের সঙ্গে ঐক্য স্থাপন করে পদক্ষেপ নেব। আমাদের প্যানেলের স্লোগানটাই কিন্তুÑ ‘এগিয়ে চলি একসাথে’।
প্রশ্ন: নির্বাচিত হলে ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে কি কি করতে চান?
মোঃ তাজুল ইসলাম: ই-ক্যাব একটা মাল্টি ফাঙ্কশনাল বিজনেস ওরিয়েন্টেড এসোসিয়েশন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জড়িত। কেউবা লার্জ স্কেলে, কেউবা স্মল স্কেলে, কিন্তু প্লাটফর্ম একটাই। এই সেক্টরের উন্নয়নে সঠিক কর্মপরিকল্পনা এবং সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
বিশ্বজুড়ে এই সেক্টরের বিশালতা রয়েছে। সুতরাং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে সমান পদচারণার জন্য সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে নিয়মনীতি ঠিক করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমরা জানি, বিগত সময়ে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের এই সম্ভাবনাময় খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আসন্ন নির্বাচনে যারাই ট্রেড বডিতে আসুক না কেন তাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবেÑ গ্রাহকদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করা।
আমরা চাই সবার সার্বিক সহযোগিতায় ই-ক্যাবের স্থায়ী কার্যালয় হোক। পাশাপাশি জেলাগুলোতে ই-ক্যাবের আঞ্চলিক কার্যালয় করতে হবে যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তা ও গ্রাহকরা যেন সেবা পান। লজিস্টিকস সাপোর্ট ই-কমার্স খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সমস্যা রয়েছে। সমস্যার সমাধান ও সাসটেইনেবল বিসনেস প্রসেস দাঁড় করতে না পারলে ই-কমার্স খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পরবে। আমি লজিস্টিকসের ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে চাই। এছাড়াও লজিস্টিকস কোম্পানিগুলোর অনেক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আছে যেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কাজ করে সমাধান করতে চাই।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এবার ‘কাকতাড়ুয়া দহন’ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন কারিগরির শিক্ষার্থীরা

এগিয়ে চলি একসাথে

আপডেট সময় : ১০:২৬:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২

মোঃ তাজুল ইসলাম : ই-ক্যাব নির্বাচনে টিম ‘ঐক্য’ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কথা হল তাঁর সঙ্গে। জানালেন তাঁর প্রতিশ্রুতির কথাÑ‘আমি লজিস্টিকসের ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে চাই’

প্রশ্ন: নিজেকে ই-ক্যাব নির্বাচনে একজন যোগ্য প্রার্থী মনে করেন কেন?
মোঃ তাজুল ইসলাম: ৯০ এর দশকে ই-কমার্স শব্দটির সঙ্গে আমার পরিচয়। ইন্টারনেট কানেকশনকে কানেক্ট করতে কাজ করেছি। তখন আমরা ম্যানুয়াল প্লাটফর্মে অর্ডার নিতাম ওভার ফোনে এবং ডোর টু ডোর ডেলিভারি করতাম। ই-কমার্সের শুরুর দিকে আমার প্রতিষ্ঠান আইএক্সপ্রেস লি. প্রায় সব প্লাটফর্মের হোম ডেলিভারি সার্ভিস দিয়েছে। তখন অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি। বাংলাদেশে প্রথম ই-কমার্সের সেম ডে ডেলিভারি সার্ভিস চালু করেছি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে এ খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারব বলে মনে করি। ছাত্র জীবন থেকে আজ পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রির লজিস্টিকস পাটে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বর্তমানে কুরিয়ার সার্ভিসেস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এবং ভনপপর স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লজিস্টিকস কুরিয়ার সার্ভিসেসের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে কাজ করছি।
প্রশ্ন: আসন্ন ই-ক্যাব নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা কী?
মোঃ তাজুল ইসলাম: সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। এখানে যারা ভোটার বা সদস্য আছেন ওনারা প্রত্যেকেই যোগ্য ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। বর্তমানে ই-কমার্সের চিহ্নিত ও অন্যান্য সমস্যা সমাধানে যারা জোরালো ভূমিকা রাখবেন আমাদের সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে তাদেরকেই বেছে নেবেন।
প্রশ্ন: আপনার প্যানেলের নাম ঐক্য রাখার কারণ কী?
মোঃ তাজুল ইসলাম: একতা ছাড়া কোনো কাজে সফলতা আনা কঠিন। আমরা সব সদস্যেদের নিয়ে ভালো কাজগুলো সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই। আমরা নির্বাচিত হলে সব প্যানেলের প্রার্থী এবং সমর্থকদের সঙ্গে ঐক্য স্থাপন করে পদক্ষেপ নেব। আমাদের প্যানেলের স্লোগানটাই কিন্তুÑ ‘এগিয়ে চলি একসাথে’।
প্রশ্ন: নির্বাচিত হলে ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে কি কি করতে চান?
মোঃ তাজুল ইসলাম: ই-ক্যাব একটা মাল্টি ফাঙ্কশনাল বিজনেস ওরিয়েন্টেড এসোসিয়েশন। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জড়িত। কেউবা লার্জ স্কেলে, কেউবা স্মল স্কেলে, কিন্তু প্লাটফর্ম একটাই। এই সেক্টরের উন্নয়নে সঠিক কর্মপরিকল্পনা এবং সেটা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
বিশ্বজুড়ে এই সেক্টরের বিশালতা রয়েছে। সুতরাং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে সমান পদচারণার জন্য সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে নিয়মনীতি ঠিক করা দরকার বলে আমি মনে করি। আমরা জানি, বিগত সময়ে ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের এই সম্ভাবনাময় খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আসন্ন নির্বাচনে যারাই ট্রেড বডিতে আসুক না কেন তাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হবেÑ গ্রাহকদের আস্থার জায়গাটা তৈরি করা।
আমরা চাই সবার সার্বিক সহযোগিতায় ই-ক্যাবের স্থায়ী কার্যালয় হোক। পাশাপাশি জেলাগুলোতে ই-ক্যাবের আঞ্চলিক কার্যালয় করতে হবে যাতে প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তা ও গ্রাহকরা যেন সেবা পান। লজিস্টিকস সাপোর্ট ই-কমার্স খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। অনেক সমস্যা রয়েছে। সমস্যার সমাধান ও সাসটেইনেবল বিসনেস প্রসেস দাঁড় করতে না পারলে ই-কমার্স খাত বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে পরবে। আমি লজিস্টিকসের ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দিতে চাই। এছাড়াও লজিস্টিকস কোম্পানিগুলোর অনেক চ্যালেঞ্জ ও সমস্যা আছে যেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কাজ করে সমাধান করতে চাই।