ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

এখন ২০-৩০ বছর বয়সিদেরও হার্ট অ্যাটাকের ভয়

  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫
  • ২ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন হার্ট অ্যাটাকেরবয়স ধরা হতো ‘৬০ বছর’। কিন্তু এখন ওই ধারণা বদলে যাচ্ছে। ২০, ৩০ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে- অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, ধূমপান ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মিলিয়েই বিপদের ভীতি তৈরি করছে।

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতে তরুণদের হৃদরোগের সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হৃদরোগ চিকিৎসকরা। তাদের মতে- সময় থাকতেই যদি হার্ট স্ক্রিনিং করিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতের বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

কার্ডিওলজিস্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘হার্টের যত্ন এখন আর শুধু মধ্যবয়সি বা বয়স্কদের বিষয় নয়। গত দশ বছরে দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে মানসিক চাপ, অলস জীবনযাপন, ধূমপান, ভুল খাওয়া-দাওয়া, ঘুম কম হওয়া ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেক বেড়েছে। ফলে আগেভাগেই হার্টের টেস্ট করানো এখন খুবই জরুরি।’ তারা জানান, আজকাল এমন অনেক সেলিব্রিটি, ক্রীড়াবিদ, কিংবা সাধারণ তরুণ-তরুণী; যাদের বাইরে থেকে দেখে খুব ফিট বলে মনে হয়, তারাও হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন। এটা অনেককেই ভাবাচ্ছে। প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, কম চলাফেরা, দ্রুত গতির জীবন- এসবও তরুণদের বিপদে মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন শুধু মেট্রো শহর নয়; ছোট ও মফস্বল শহরের তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগের আতঙ্ক বাড়ছে। ধূমপান, মাদক জাতীয় জিনিসের প্রতি আসক্তি এই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। আগে করোনারি আর্টারি ডিজিজ মানে বুঝতাম বয়স্কদের রোগ। কিন্তু এখন ৩০-৪৫ বছরের মানুষরাই এই সমস্যায় পড়ছেন। মানে যারা আগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ছিলেন না, এখন তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ।

করণীয় কী: ২৫ বছর পার করলেই প্রথম হার্ট চেক-আপ করিয়ে নেওয়া ভালো; পরিবারে হৃদরোগজনিত ইতিহাস থাকলে আরও সতর্ক থাকা দরকার; নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম, ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি; ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে ভালো; ওজন ও রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এখন ২০-৩০ বছর বয়সিদেরও হার্ট অ্যাটাকের ভয়

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন হার্ট অ্যাটাকেরবয়স ধরা হতো ‘৬০ বছর’। কিন্তু এখন ওই ধারণা বদলে যাচ্ছে। ২০, ৩০ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে- অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, স্ট্রেস, অনিয়মিত খাদ্যাভাস, ধূমপান ও পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব মিলিয়েই বিপদের ভীতি তৈরি করছে।

এখনকার সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতে তরুণদের হৃদরোগের সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক বেশি। এ নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হৃদরোগ চিকিৎসকরা। তাদের মতে- সময় থাকতেই যদি হার্ট স্ক্রিনিং করিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতের বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।

কার্ডিওলজিস্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘হার্টের যত্ন এখন আর শুধু মধ্যবয়সি বা বয়স্কদের বিষয় নয়। গত দশ বছরে দেখা গেছে, তরুণদের মধ্যে মানসিক চাপ, অলস জীবনযাপন, ধূমপান, ভুল খাওয়া-দাওয়া, ঘুম কম হওয়া ও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেক বেড়েছে। ফলে আগেভাগেই হার্টের টেস্ট করানো এখন খুবই জরুরি।’ তারা জানান, আজকাল এমন অনেক সেলিব্রিটি, ক্রীড়াবিদ, কিংবা সাধারণ তরুণ-তরুণী; যাদের বাইরে থেকে দেখে খুব ফিট বলে মনে হয়, তারাও হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ভর্তি হচ্ছেন। এটা অনেককেই ভাবাচ্ছে। প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, কম চলাফেরা, দ্রুত গতির জীবন- এসবও তরুণদের বিপদে মুখে ঠেলে দিচ্ছে।’

বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন শুধু মেট্রো শহর নয়; ছোট ও মফস্বল শহরের তরুণদের মধ্যেও হৃদরোগের আতঙ্ক বাড়ছে। ধূমপান, মাদক জাতীয় জিনিসের প্রতি আসক্তি এই ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। আগে করোনারি আর্টারি ডিজিজ মানে বুঝতাম বয়স্কদের রোগ। কিন্তু এখন ৩০-৪৫ বছরের মানুষরাই এই সমস্যায় পড়ছেন। মানে যারা আগে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ছিলেন না, এখন তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ।

করণীয় কী: ২৫ বছর পার করলেই প্রথম হার্ট চেক-আপ করিয়ে নেওয়া ভালো; পরিবারে হৃদরোগজনিত ইতিহাস থাকলে আরও সতর্ক থাকা দরকার; নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম, ঘুম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি; ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকাই সবচেয়ে ভালো; ওজন ও রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ