বিদেশের খবর ডেস্ক : গাজা উপত্যকার আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে প্রচ- বিস্ফোরণের একদিন পরও মরদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুঁজছেন ফিলিস্তিনিরা। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঘটা এ বিস্ফোরণে অন্তত ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) হাসপাতালের বাইরে থেকে বিবিসি’র প্রতিবেদক রুশদি আবুলউফ বলেন, মানুষ এখনো ‘শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংগ্রহ করছেন’। ইসরায়েলি বিমান হামলার কারণে ওই হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর করেছে, এটি হামাসের ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণের ফলাফল। তবে ইসরাইলের এ দাবি প্রত্যাখান করেছে হামাস। এ ঘটনায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাস তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। একই কারণে গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি। হামাস নেতৃত্বাধীন গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, আল-আহলি আল-আরাবি হাসপাতালে ইসরাইলি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০০-এর বেশি নিহত হয়েছেন। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে। নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, গাজা শহরের আল-আহলি হাসপাতালে হামলা ২০০৮ সালের পর সংঘটিত পাঁচটি যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ইসরাইলি বিমান হামলা। হাসপাতালে গণহত্যা আমাদের ইতিহাসে নজিরবিহীন। যদিও আমরা অতীতে অনেক ট্র্যাজেডি দেখেছি। রাতে যা ঘটেছে তা একটি গণহত্যার সমান। চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে গাজা শহরের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল হাজার হাজার মানুষের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে। গাজা সিটির বহু মানুষ ইসরাইলি নির্দেশ মেনে শহর ত্যাগ করতে পারেননি। তাদের বেশিরভাগই ইসরাইলি বোমাবর্ষণ থেকে রেহাই পাওয়ার আশায় হাসপাতাল ও বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।


























